কেমন রাগটা লাগে? এর কোনও মানে হয়? এমনিতেই আমি সময় পাইনা, মানে লিখালিখির সময় পাইনা। অন্য যেকারো লেখা পড়লেই মনে হয় ‘আরে এই লেখা তো আমিও লিখতে পারি। এটা কোনও লেখা হলো?’ ভাবি একবার যদি সময় বের করতে পারি শুধু একবার, বেশী না কেবল ১০ মিনিট---তাহলেই হলো। এমন এক লেখা লিখে ফেলবো, সে লেখায় ক্লিক করতে করতে সব পাঠকের তর্জনী ব্যাথা হয়ে যাবে। কমেন্টের পর কমেন্ট পড়বে। আমার এই লিখা নিয়ে বিশ্লেষণ শুরু হ...
একাকীত্বের স্বাধীনতা
শঙ্খনীলের রঙ যে ধুলোয় মাছ-রাঙানোর পালটা তুলে ঘর পোড়ানোর গন্ধ বুকের হাড় পুড়িয়ে স্বপ্ন জ্বালে।
ঘাস-ফড়িংয়ের মাঠ ছুঁয়ে তোর বৃষ্টি ভেজা ঠোঁটে আমার গা-শুকোনোর বয়স গেলো মিথ্যে স্বাধীনতার খোঁজে।
হারিয়ে যাওয়ার সাধ্য কোথায় বাধ সেধেছে চোখ দুটো সেই নিমেষটুকু আগলে রাখার নেশায় আমার যাচ্ছে বয়ে।
জানিস কি তুই অন্ধ হয়ে হাত বাড়িয়ে মেঘ জুড়োনোর সাধ নিয়ে যে শরীর সেদিন হা...
[justify]গত আড়াই দিন ধরে টানা রোদ পাচ্ছি। তবে ঠাণ্ডা কমার নাম নাই। কারণ গত শুক্রবার রাতে সর্বনাশ যা হবার হয়ে গেছে। রাত দশটা থেকে ভোর চারটার মধ্যে সপ্তাহখানেকের তুষার একসাথে পড়েছে। তারপর শুরু হয়েছে প্রকৃতির আরেক খাইস্টা রাজনীতি। ভোরবেলা থেকে সকাল দশটা সাড়ে দশটা পর্যন্ত মাইনাস সাত-আট আর তারপরে ফটাশ করে প্লাস শুণ্য থেকে এক-দুই। তুষার গলে রাস্তাঘাট মোটামুটি কাদা হতে হতে আবার সন্ধ্যা স...
এই লেখাটা একটা ঘোরের মধ্যে আচ্ছন্ন থেকে লেখা, এবং তীব্র আবেগ থেকে। প্রথমে ইংলিশে, পরে বাংলায় পৃথক পৃথক ভাবে। ভয় ছিল লাগাম ছুটে যাবে। সম্ভবত তা ছোটেনি, বরং বোধয় একটু কষে গেছে। নিরীক্ষাধর্মী এটাকে বলব কি? সেই মানসিকতা নিয়েই এগোনো যদিও, তার সাফল্য বা ব্যর্থতা ত পাঠকদের ওপরই।
বোদ্ধা পাঠক নিশ্চয়ই এত ফাউ প্যাচাল থেকেই বুঝে ফেলেছেন যে পরবর্তী যা আছে তা খুব একটা সুবিধের হবে না। তবু বলি, ...
এক.
“বাবা আমার কিন্তু একটা কম্পিউটার লাগবে। আমার সব বন্ধুর বাসায় কম্পিউটার আছে, শুধু আমার বাসায় নাই। আর তুমি কিন্তু আমাকে কথা দিছিলা যে পরীক্ষায় প্রথম হইলে তুমি আমারে এইবার কম্পিউটার কিনে দিবা।” রাশেদ সাহেবের ছেলে রাজীব আবদার এর সুরে বলে তার বাবাকে।
--“দিব রে বাবা, আর কয়েকটা দিন অপেক্ষা কর” টিভি থেকে চোখ না সরিয়েই বলেন রাশেদ সাহেব।
--“তুমি তো এই কথা কতদিন ধরে বলতেছো, দিব দি...
এই দুইটা তো হিন্দুর বাচ্চা
দারিদ্রের শেখানো চাতুরির ফাঁক গলে টুপটাপ ঝরছে শৈশবের সারল্য। থমকে যাওয়া শহুরে সংস্কৃতির মুখের ওপর আবারও পড়ে হাসিমাখা চাবুক।
হিন্দু , এই দুইটা হিন্দু।
যে দুজনের পরিচয় দেওয়া হচ্ছে তারা সদ্য উপার্জিত দশটাকার কিয়দংশ খরচ করে কেনা গাজর যে তুচ্ছার্থে তাদের পরিচয় তুলে ধরছে তারই সঙ্গে কামড়চুক্তিতে পেটে চালান করতে ব্যস্ত। একজন একবার কামড় দিতে পারবে কাজ...
[justify]তিনি মাত্র তিরিশটা গল্প লিখেছেন। এতেই তাঁর নাম বাংলা সাহিত্যে অক্ষয় হয়ে গেছে। ‘নিরুদ্দেশ যাত্রা’ গল্পটি ছাড়া বাকি সব গল্পে প্লেটোনিক ভাষার আখতারুজ্জামান ইলিয়াসকে পাওয়া যায় না। তিনি সেখানে খুব শক্তভাবে জীবনঘনিষ্ঠ। আর সাথে আছে নিখুঁত ডিটেইলস্। দেহ মনের যোগসূত্রে যে অস্তিত্ব তার ভাবগতিক ইলিয়াসের লেখায় যেভাবে ফুটে উঠেছে, অন্য কারো লেখায় তার যথাযথ আবহ আসে না। ইলিয়াস এইদিক...
দৌড়াই দৌড়াই...
দাঁড়া নদী দাঁড়া-
নদী সরে সরে যায়
ক্লান্ত পা পুনরায় পোড়ে
নদী ডাকে আয়...
ছুঁয়ে দেখ, মেখে দেখ, চেখে দেখ-
দৌড়াই ফের-
জলের দীঘল ছায়া, ধূ ধূ গন্ধের বালি
আঙ্গুলের ফাঁক গলে পড়ে
যেন ব্যর্থ মোহর!
স্রোতের সিন্দুকে চড়ে বেলা যায়
দীর্ঘশ্বাসের দীর্ঘ দড়ি হাতে আমি তার পিছু পিছু
দূরত্ব মেপে চলি বরাবর আর
নদীর শূন্য দাগ হয়ে থাকি...
২৭/০২/১০
সিডনি, অস্ট্রেলিয়া।
২০০০ সালে জানুয়ারিতে দে’জ থেকে প্রকাশিত নির্মল হালদার এর‘শ্রেষ্ঠ কবিতা’ গ্রন্থের ভূমিকায় নির্মল বলেন— ‘কবিতা লিখতে লিখতে ক্ষয়ের দিকে যাওয়া। কবিতা লিখতে লিখতে আলোর দিকে অন্ধকারের দিকে যাওয়া। আমি আমার দিকেও যাই। কবিতা ছাড়া আমার আর কিছু নেই।’ নির্মলের কবিতা পাঠ করলে পাঠককে ক্ষয়ের দিকেই যেতে হবে; প্রাত্যহিক জীবনই নির্মলের কবিতা...। যতই নির্মলকে পাঠ করি; পুলকিত হই। আমার অনুরোধে ...
মামদো ভূতে ঘুমের ঘোরে
ঘুরছে যে ঢ্যাং ঢ্যাং,
সুযোগ বুঝে ওরাং ওটাং
মারছে তারে ল্যাং!
বাঁদরগুলো রব ভুলে বেশ
করছে ঘ্যাঙর ঘ্যাঙ,
জিরাফ নাকি জল খাবেনা
চাইছে গরম ট্যাং!
ভীমরুলেরা দল বেঁধেছে,
খুলবে বিরাট গ্যাং,
চিংড়ি হঠাত্ গুমড়ে বলে,
"ডাকবি আমায় চ্যাং!!"
শেয়ালমামার মনটা খারাপ,
চিন্তা যে তার হ্যাং,
তাই না দেখে হুতুম প্যাঁচক
বেশ সেজেছে ঝ্যাং।
আজগুবী সব কান্ড দেখে
পটল তোলে ব্যাঙ,
ভূত...