প্রতিদিন মগজ জুড়ে অজস্র চিন্তা চলতে থাকে। শিকড়হীন ডালপালাওয়ালা সেসব চিন্তা মৌসুমী ফলের মত। এখন আছে আবার এখনই নেই।
ইদানীং একটা জিনিস লক্ষ্য করছি। আমার নিজেকে নিয়ে আমার কোন অসন্তুষ্টি নেই। আগে যা প্রচুর পরিমাণে আমার মগজে বিদ্যমান ছিল।
এখন যাচ্ছি পরিবাগের দিকে। রিক্সাওয়ালার সাথে গল্প করতে করতে।
রিক্সাওয়ালা পরিচিত। মাসদুয়েক আগে এক সন্ধ্যায় নাটক সরণী থেকে বাসায় আসার পথে তার ...
তবে মাঝে মধ্যে পুরাই উল্টা কিসিমের অভিভাবকও দেখা যায়। তারা নিজেদের ছেলেমেয়েদের দিকে কোন নজরই দেন না। আর বলাই বাহুল্য, এইরকম অভিভাবকরা ওইসব গর্বিত বাবা-মায়েদের থেকে অনেক বেশি বিরক্তিকর। মি. ওয়ার্মউড আর তার বউ ছিলেন এইরকম দুই বাবা-মা। তাদের এক ছেলে, মাইকেল আর এক মেয়ে, মাটিল্ডা।
মাটিল্ডাকে তারা মনে করতেন এমন একটা কিছু যার সংগে স্রেফ মরা চামড়ার তূলনা করা চলে। আমরা যেমন অধীর আগ্রহ ...
প্রথম তরঙ্গ
তিনটে দিন টানা বন্ধেও দেখা যায় অনেকসময় কিছুই করার থাকে না। একগাদা ছবি নিয়ে এসেছি প্রায় মাস দুয়েক আগে। দু'চারটা ছাড়া সেগুলোর বেশিরভাগই দেখা হয় নি। এমনিতেই বিদ্যুৎবিভ্রাট। আর, ওটা থাকলেও প্রায়ই চোখ চলে যায় মুভি চ্যানেলগুলো কী দেখাচ্ছে তার দিকে। তারপর, অদ্যভক্ষ ধনুর্গুণ করে দেখা যায় ডিভিডি প্লেয়ারটা ছাড়ার সুযোগ বা ইচ্ছে কোনটাই আর থাকে না।
তবে, এবারে ব্যতিক্রম ঘটলো...
বিখ্যাত লোকদের নিয়ে রম্যরচনা সবসময়ই হয়েছে। সচলায়তন এর আদম চরিতের লেখককে যে কোন সাহিত্যের শিক্ষক দশে ছয় দিতে বাধ্য, সেখানে পাঠক আরো বেশী দিয়েছেন।আমি সেই পাঠকদের একজন। একজন তির্যক লেখককে আরেকজন তির্যক লেখক দ্রোণ ছুঁড়েছেন।অনেকদিন পর ভারতের দেশ পত্রিকার সাতের দশকের মত আজকাল সচলায়তনে কিছু দ্রোণাচর্যের দেখা পাওয়া যাচ্ছে।নীলক্ষেত থেকে আজ অবধি যারা দেশ পত্রিকা পড়েন, তারা নিশ্চয়...
…
কবি কিংবা শিল্পী, হওয়া না-হওয়ায় কী এসে যায় ?
সমাজে একজন ব্যক্তির কবি বা শিল্পী হওয়া না-হওয়ায় আদৌ কি কিছু এসে যায় ? অত্যন্ত বিরল-ব্যতিক্রম বাদ দিলে আমাদের বর্তমান আর্থিক মানদণ্ড প্রধান সমাজে একজন কবি বা শিল্পীকে কোন অবহেলিত গোত্রের প্রতিনিধি বলেই মনে হয়। তাই একজন ব্যক্তির কবি কিংবা শিল্পী তথা একজন স্রষ্টা হয়ে ওঠায় ব্যক্তির লাভ-ক্ষতির হিসাবের জবেদা টানার চেয়ে সমাজে এর কী প্রভাব ...
[justify]
বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে ব্রাজিলিয়ান এক তরুণীর আশেপাশে বসে ক্লাস করছি আজকাল। না মানে ইয়ে, প্রিয় দলকে সাপোর্ট করা আরকি…
মজার ব্যাপার ঘটল সেদিন স্ট্যাটিসটিক্স ক্লাসে। প্রথম দিনই প্রফেসর এসে বললেন, 'এখানে সকার দেখে কে কে?' আমরা চার-পাঁচ জন কেবল হাত তুললাম ত্রিশজনের মধ্যে। একেবারে সামনে বসেছিলাম সেদিন। বৃদ্ধ প্রফেসর বেশ স্নেহের দৃষ্টিতে তাকালেন আমার দিকে। আমি মনে মনে বলি, কেল্লা ...
ফন্টের খুঁটিনাটি : পর্ব ১
আবার ফিরে এলাম ফন্টের খুঁটিনাটি নিয়ে। প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি দেরি করার জন্য। চলুন তবে আজকের পর্ব শুরু করা যাক।
গত পর্বে আমরা ফন্টের প্রাথমিক কিছু ধারণা নিয়ে আলোচনা করেছিলাম। এ পর্ব থেকে ফন্ট তৈরীতে হাত দেব।
প্রথমেই আপনাদের ফন্টের টাইপ ডিজাইন প্রস্তুত করতে হবে। টাইপ ডিজাইন হলো আপনার ফন্টটার চেহারা। এরপর প্রয়োজন হবে ফন্টের গ্লিফ বা অক্ষরগুলোর ত...
টানা প্রায় পাঁচ বছর পর দেশে ফিরে কী দেখছি তাই নিয়ে এ লেখা। যারা দেশে আছেন তাদের কাছে আহামরি কিছু মনে হওয়ার কথা না। তবে যারা দু'তিন বছর ধরে বিদেশ আছেন তাদের কাছে কিছুটা অবাককর মনে হতে পারে। এ লেখাটা ইচ্ছে করেই প্রমিত বানানে লিখা না।
১.
প্লেনের চাক্কা মাডি ছানছে কি ছানছে না, লোকজন মোবাইল বাইর করা সারা। করে কী! হ, মামা আমি অমুক। তুমি কই? না, থাইল্যান্ডে দেরি অয় নাই। আমারে নিবার আও।...
স্বর্গদূত আনিসাইল একটি ঢ্যাঁড়া পিটাইতে পিটাইতে নন্দন কাননের বাজারে গোল হইয়া চক্কর মারিতে মারিতে তারস্বরে চিৎকার করিতেছিল, "আদমের আরারাত বিজয়! আদমের আরারাত বিজয়! ভাইসব, এইক্ষণে সাপ্তাহিক চান্দের আলো ক্রয় করিয়া পাঠ করুন এই অত্যাশ্চর্য সংবাদ! আদমের আরারাত বিজয়! আদমের আরারাত বিজয় ...!"
বাজারে দক্ষযজ্ঞ হুলুস্থুলু লাগিয়া গেল।
সাপ্তাহিক চান্দের আলোর প্রথম পৃষ্ঠায় অমানুষিক বৃহদা ...
'হই হই! আব্বু,আম্মু,মামা আমি জিপিএ-৫ পাইসি'- আকাশচুম্বি স্বপ্ন দেখা সে শুরু করেছিল। তখন কি আমার ছোট ভাই জানত তার সাথে কি ঘটতে যাবে? শান্ত(আমার ছোট ভাই) এর ভাষায়, 'ভাইয়া এত পড়ালেখা করে কি লাভ হল? আমার যেসব বন্ধুরা সারাক্ষন ঘুরে বেরাত তাদের রেজালট আর আমার রেজাল্ট একই, আমার বয়স ও কম' , দুরভাগ্যবশত একটাতে A+ না পাওয়ায় ও সব ভাল কলেজের দৌড় থেকে বাইরে। নিজের ভাই বলে বলছি না, ও আসলেই অনেক ভাল...