[justify]
১
কিছু জিনিস পাল্টানো সম্ভব, কিছু জিনিস পাল্টানো তত্ত্বগতভাবে অসম্ভব। আমি কি ধরনের মানুষ হবো, সেটার সিদ্ধান্ত মোটামুটি হয়তো আমি নিতে পারি, কিন্তু আমার গায়ের রং বা আমার পারিপার্শ্বিকের সাথে সম্পৃক্ত বেশ কিছু চলকে মৌলিক পরিবর্তন আনা আমার পক্ষে প্রায় অসম্ভব। এগুলো আবার পরবর্তীতে কিন্তু আমি কি ধরনের মানুষ হবো সেটাকেও প্রভাবিত করে।
এটি কেবল ব্যক্তির ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ ন...
হঠাৎ একটা পাখির কথা মনে পড়ছে আজ। নিঃসঙ্গ পাখিটা সবুজ বাঁশের জঙ্গলে নির্জন দুপুরে লাল ঠোঁট নিয়ে চুপ করে বসে থাকতো। দিনরাত একই জায়গায় বসে থাকতো সে। পাখিটা আমার ছেলেবেলার সবচেয়ে স্পষ্ট স্মৃতি। একদিন সেই পাখিটার জন্য মাকেও ত্যাগ করেছিলাম। সেই গল্পটাই বলি আজ মা দিবসে।
চাটগাঁর ভাষায় ভাতের প্লেটকে বলে 'বাসন'। যে পাখিটার কথা বললাম সেই পাখিটা দাদা বাড়ির একটা বাসনের উপর আঁকা ছিল। সাদা...
কত কিছুই তো লিখবো ঠিক করেছিলাম। আমার মায়ের কথা, আমাদের অজস্র স্মৃতির কথা,বলগাহীন স্বপ্নদের কথা। কিন্তু হাতে কলম(কী-বোর্ড)ধরার সাথে সাথে দলবেধে সব হুড়মুড়িয়ে গায়েব। মাথার মাঝে কোণঠাসা হয়ে আছে হাজারো শব্দ, অথচ হাত গলে বেড়িয়ে আসতে চাইছে না একটিও। আবেগমাখা লেখা লিখতে পারিনি আগেও, আজকেও পারবো না সেটাই স্বাভাবিক।
আজকের এই পোস্টটির ছোট একখানা ইতিহাসের আবার পাতিহাঁসও আছে। আগেরবার 'মা...
আমার হাসিমুখ তোমাদের দেখাই,
রাগ, ঘৃণা গোপনে লুকাই।
ওসব তোমাদের জন্য,
তোমরা, যারা সমস্ত হাসির পেছনে জমা রেখেছ আমার কান্নার দিন।
আমার প্রেমমুখ তোমাদের দেখাই,
ব্যর্থতা অস্বীকার করে।
ওসব তোমাদের জন্য।
যাবতীয় না-পারার যাবতীয় গ্লানি তোমাদের দিয়ে,
সমুদ্রে হাওয়া খেতে যাই।
আমার ভালমুখ তোমাদের দেখাই,
আর বিপর্যস্ত রাত, বেহিসেবি ভুল তোমাদের।
তোমাদের চোখের জল, শিশু-ফ্রক-ফুল পাড়িয়ে গে...
ইউরোপের সবগুলো ফুটবল লীগ এখন প্রায় শেষের দিকে। কিছু কিছু লীগের চ্যাম্পিয়ন রানার্স আপ প্রায় চুড়ান্ত হয়ে গেলেও(ফ্রেঞ্চ, জার্মান, হল্যান্ড) বাকিগুলোর(ইংলিশ, স্প্যানিশ, ইতালি) মনে হয় শেষ খেলা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তবে চ্যাম্পিয়ন রানার্স আপ ছাড়াও আরেকটা তুমুল লড়াই প্রায় সবগুলো লীগেই চলছে - সেইটা হল চ্যাম্পিয়ন্স লীগে জায়গা পাওয়ার লড়াই। সেরা লীগগুলোর প্রথম তিনটি(জার্মান, ফ্রেঞ্...
বয়সের হিসাবে খুব বৃদ্ধ না হলেও নিজেরে বয়স্ক ভাবা শুরু করেছি এরই মধ্যে। এই তো, বছর দুয়েক আগে ৩০ বছর অতিক্রম করেছি, এখন এই কোমর থেকে পড়ে যাওয়া যাওয়া প্যান্ট পড়া, বডি ফিটীং শার্ট পড়া ছেলে পুলে দেখলে নিজেকে বুড়োই মনে হয়।
আমার নানা-দাদা দের মত করে বলতে ইচ্ছা করে সেই ১৯৫৬ সালে, তখন ... কিংবা আমার নানীর মত করে এক হাতের কনুই বরাবর আরেক হাত দিয়ে ধরে মাপ দিয়ে বলতে ইচ্ছে করে এত বড় ফজলি আম আমার বাপ...
(টাইপোগ্রাফী বিষয়টা যতটা না মজার তার চেয়ে অনেক বেশি শ্রমসাধ্য। বিষয়টাকে একটু সহজ করার জন্যে আমরা সরাসরি আমাদের অভিজ্ঞতার কথা বলব। তাতে হয়ত উপস্থাপনা খুব গোছানো থাকবে না। কিন্তু আশা করি বিষয়টা একটু সহজবোধ্য হবে। এই পর্ব থেকে আমরা দুজন আমাদের অভিজ্ঞতার কথা সরাসরি তুলে ধরব। সেই সূত্রেই আমার উপস্থিতি।)
বর্ণমালার সাথে পরিচয় তো সেই ছোটবেলায় যখন ভাঙ্গা ভাঙ্গা লাইন-এ প্রথম ...
১.
মাঝে মাঝে আমার দুপুরগুলো আটকে যেত। শুধু আমার না, আমাদের সবারই। হয়তো টেনিস বলটা হারিয়ে গেছে, টেপির বাড়ির পেয়ারাগুলোও শেষ। কিছুই করার পাচ্ছি না। রোদ-বৃষ্টি তো গায়ে মাখিনি কখনো। লাগতো না। তারপরও এইসব দামাল ছেলেরাই দুপুর জালে আটকা পড়তাম। আটকা পড়লে বুঝি কথা বলাও মানা। পাঁচিল ঘেঁষা সুপারি গাছে হেলান দিয়ে, নিয়ামুল ভাইদের ছাদ থেকে উঁকি দেওয়া, ডালিয়ার সারি দেখতাম। মাঝে মাঝে এক পশলা ব...
প্রাঙ্গণে মোর শিরীষশাখায় ফাগুন মাসে
কী উচ্ছ্বাসে
ক্লান্তিবিহীন ফুল ফোটানোর খেলা।
ক্ষান্তকূজন শান্তবিজন সন্ধ্যাবেলা
প্রত্যহ সেই ফুল্ল শিরীষ প্রশ্ন শুধায় আমায় দেখি
'এসেছে কি-- এসেছে কি।'
আর বছরেই এমনি দিনেই ফাগুন মাসে
কী উচ্ছ্বাসে
নাচের মাতন লাগল শিরীষ-ডালে
স্বর্গপুরের কোন্ নূপুরের তালে।
প্রত্যহ সেই চঞ্চল প্রাণ শুধিয়েছিল, '...