পিথিবির সবচেয়ে বাজে লুকটা এই মাত্র মারা গেলেন। উনি আমার বাবা ছিলেন। উনাকে আমি ভালবাসতাম না। উনিও আমাকে না।
শেষদিকে উনি বেলেহাজের মতো একটা মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেটর জন্য ঘুরতো। আমি নানাভাবে এইজন্য তাকে অপমান করেছি। কারণ একদিন এই লুক সার্টিফিকেট ছিড়তে ছিড়তে বলছিলন, চেনা বামুনের পৈতা লাগে না।
কালের পরিক্রমায় অতিচেনা বামুনও পৈতাহীন হলে অচেনা হয়ে যায়।
আজকে অনেকগুলি কাজ হয়ে যাবার কথা ছিল। ঘাপলাটা বাধিয়ে দিলো মাইক্রোপিপেট। না সেটা খুঁজে পাওয়া গেল পুরানো বিল্ডিংয়ে না নতুন ভবনে। শিক্ষকদের কেউ খোঁজ জানতে পারেন। কিন্তু তারা একটা মিটিংযে আছেন। মুশকিলে পরলাম। ল্যাব অ্যাটেন্ডেন্ট আলি ভাই ল্যাবের কম্পিউটারে বিকট শব্দে গান ছেড়ে বসে আছেন। হৃদয় খানের গান। স্পিকার বা কম্পিউটারের কোথাও সমস্যা আছে। হৃদয় খানের গলা মহিলাদের মত ...
জহিরুল ইসলাম নাদিম
গ্রামের নামটি রাজাখালী। ভারি ছোট্ট সেই গ্রাম। কিন্তু দৈর্ঘ্যে সে যতটা ছোট প্রস্থে কিন্তু ততটা নয়। সেই গ্রামটিকে দুভাগ করে দিয়ে তার সিঁথী হয়ে বয়ে গিয়েছিল এক নদী। কোনো কালে সে ভরা ছিল—এখন মরা। তো তার একপাড়ে জড়াজড়ি করে দাঁড়িয়েছিল দুটো আদ্যিকালের তালগাছ। অনেক দিন ওরা ওভাবে দাঁড়িয়েছিল। কত দিন? তা কিন্তু বলা যাবে না। গাঁয়ের লোকেরা শুধু ওদুটোকে দাঁড়িয়ে থাকতেই দ...
===নিশা===
"সে যেদিন আমার বুকে মুখ গুঁজিয়া ফুঁপাইয়া ফুঁপাইয়া কাঁদিয়াছিল, সেদিনের কথা আমি ভুলি নাই ।...সেই অন্ধকার গভীর রাত্রে সে আর আমি একা ।...তাহার অশ্রুজলে আমার বুক ভাসিয়া যাইতেছে ।.."
"...সেদিন অন্ধকার নয়, সেদিন জ্যোত্স্নায় পৃথিবী ভাসিয়া যাইতেছে । আমাকে বুকের মধ্যে জড়াইয়া যে উন্মাদনা সে প্রকাশ করিয়াছিল, তাহারও ভাষা নাই ।..."
"...কোনদিন তাহাকে কিছু বলি নাই । অথচ তাহার নিত্যসঙ্গী ছিলাম ...
বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশ যে কয়টি ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে, তার একটি হচ্ছে প্রাথমিক স্তরে শিশুদের ভর্তির হার সন্তোষজনক পর্যায়ে উন্নীত করা। ব্যানবেইসের হিসাবমতে, বর্তমানে বাংলাদেশে প্রাথমিক স্তরে ভর্তিযোগ্য শিশুদের ৯৪ শতাংশই প্রথম শ্রেণীতে ভর্তি হচ্ছে। সাফল্যটির সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ দিক হচ্ছে, বছরের পর বছর এ উচ্চ-অর্জনকে ধরে রাখা সম্ভব হয়েছে। এ অর্জন বৈশ্বি...
আষাঢ়ের সকাল বাসি মুখেই দুপুরে গড়ায়। রাতের সঙ্গে কলহকাতরতায় হয়ত মুখভার করে রাখেতো রাখেই। বেলায় বেলায় তার বসন পাল্টানোয় অভ্যস্ত আমি তার এই বৈচিত্রহীন বিরাগে কিছুটা ব্যবহারিক সমস্যায় পড়লেও বিচলিত হইনা। আরামদায়ক আলস্যে মোড়ানো সকালটা অবলীলায় বিছানায় খরচ করে বেলা দ্বিপ্রহরে হাতে তুলে নেই চায়ের কাপ। পত্রিকাটা খুলতেই মুখে লাগে রক্তের ছিটা। টিস্যু পেপারে মুছে দেই তড়িৎ হাতে। আমা...
সত্য হল এই যে সত্য আসলে নাই। যে যার মতো সত্য বানায়। তাই পিথিবি জুইড়া এত মারামারি এত কাড়মাকাড়মি। আর এই কাড়মাকাড়মি মারামারিতে যার গলা ও উলের পুতায় জুর বেশি হেই হালায়ই জিতে। অন্যরা মাঠিতে গড়াগড়ি দিয়া হায় হুসেন হায় হাসান বইলা চিকির পাড়ে আর কাঁন্দে..উউউউউ।
ইয়ার পরে আসলে কতা চলে না। কিন্তু মানুষ যেহেতু প্রিয়তমা বউ ও ততোধিক প্রিয় পুলাহান মরিয়া যাওয়ার পরো বাঁচিয়া থাকে, তাই নানাবিধ গিয়...
আমি এই ক্ষুদ্র জীবনে বই-পুস্তক থেকে যতটা শিখেছি তারচেয়ে ঢের বেশি শিখেছি, শিখছি চারপাশের মানুষের কাছ থেকে। একজন মানুষ, তা সে যে অবস্থানেই থাকুক বা যে বয়সেরই হোক তার কাছ থেকে কিছু না কিছু শেখার মতো আছে- এ তত্ত্বে আমি বরাবর বিশ্বাসী। সে বিশ্বাস থেকেই মানুষের কাছে যাই, পাশে বসি, মন খুলে মিশি—জানি, শিখি, বোঝার চেষ্টা করি। জীবনে এত ঘাত-প্রতিঘাত সহ্য করেও মানুষের প্রতি আমার এই দুর্দমনীয় আ...
নিয়মিত লেখা হচ্ছেনা অনেকদিন। অনেক ধুলোবালি জমা হয়ে গেছে। কিছুটা ঝাঁড়ফুক দরকার। এই লেখাগুলো যেমন ইচ্ছে, যখন পারি টাইপের। একঘেঁয়ে।
[justify]
টের পাই ইদানিং, মানুষে মানুষে আসলে তেমন ফারাক নেই। দেশ ও সংস্কৃতিভেদে যে মানুষেরা ক্ষমতা কাঠামো নিয়ন্ত্রন করে অথবা আশেপাশে থাকে তাদের সকলের চরিত্র কমবেশী একই রকম, কমবেশী একইরকম সেই মানুষেরাও, যারা ক্ষমতা কাঠামো থেকে দূরবর্তী।
আমি নিজে সেই দ...
কতো কাল আমি ভোর দেখি না!
কতো কাল কাকের ভোরে
ওরকম আর ডাক শুনি না!
সন্ধে তবু পথে পড়ে মাঝে-সাঝে,
রাতের ঘন মালার ঘেরে, ঘোরে,
ভুলে গেছি গোনা-
কতো যুগ যুগ আমি আর ভোর দেখি না!
আঁধারের রতি শেষে
যে-ক্ষণে পালায় রাত ধীরে চোর-পায়ে;
জেগে যদি থাকি-ও,
ঘুমের চেয়ে বেশি ক’রে
টেনে রাখে অঘুমও, কী ঘোর বেঘোরে!
মুখস্থ চোখস্থ একই সেই পুরোনো দৃশ্যাবলি
একঘেয়ে একগুঁয়ে-
ঘটতে থাকে, ঘাঁটতে থাকে।
দিনরাত, রাতদিন-
ক...