দুনিয়া এখন যে জায়গায় এখানে কিছুই ছিলনা। এমন কি মাটিও না, ছিল শুধু অন্ধকার, জল আর ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়। না ছিল মানুষ, পাখি, মাছ এমন কী হেন কোন জীব। নির্জন এই জায়গায় শুধু থাকতো হ্যাক্টসিনরা। অনাদি কাল থেকে তারা আছে। তাদের কাছেই ছিল জগত সৃষ্টির সকল বস্তু। এই ব্রহ্মাণ্ড তৈরীর পর পরম যত্নে তৈরী করে পৃথিবী পাতালপুরী তারপর ঢেকে দেয় আকাশ দিয়ে।উর্ধমূখী জীবন্ত রমণীর অবয়বে তৈরী করা এই ধরণীকে তার...
মায়ের পেট থেকে নামবার পর, একদিন যখন হামাগুড়ি দিয়ে বারান্দায় যেয়ে, আকাশে কালো মেঘ দেখে মনে হলো বুঝি ভাল্লুক, আরো কিছুদিন পর যখন নিজের হাতের ছায়া দিয়ে দেয়ালে একটা হরিণ নিয়ে খেলতে শিখেছি, যখন ছাদের পাঁচিলটা ডাকতো- আয় ছুটে আয় খালি পায়, যখন নিজের কানদুটি কোন শব্দ গ্রহণ করে তার অর্থ মনে প্রবেশ করতে শেখালো, তখন থেকে লোকটার গান শুনি, নিজের সাথে বড্ড বেশি মিলে যায় তাই, ফিরে ফিরে এসে শুনতে হয়!
...
[justify]
৩
এইবার শুরু হল আসল সমস্যা। নামায় তো দিল আমারে বিশাল এক মহাদেশের পশ্চিম সাইডে। এরপর আমি কি করুম?
মানে, কি করুম বলতে আমি বুঝাচ্ছি কোনটা ছাইড়া কোনটা করুম। আমার লোভ সীমাহীন। আমি আমার প্রথম ড্রাফট লোনলি প্ল্যানেট ফোরামে দিসিলাম - মানুষ বলে তুমি আর আস্তা থাকবা না, মইরা যাইবা। তারচেয়ে প্লেনে চইড়া তিন চার জায়গায় যাও - তিন চার পাঁচ দিন থাকো। আরাম পাইবা।
আমি গত দুই তিন সপ্তাহে বই ওয়...
পাপুন্তুস একটা কাল্পনিক চরিত্র। সে বাস করে পানিতে। খুদা লাগলে খালি একটা লাথি দিলেই চলে। খাবার হাজির। পানিতেই থাকে, পানিতেই শ্বাস নেয় এমনকি পানিতেই ইয়ে করে (এহেম..)। যদিও মৎসকন্যা বা মৎসকুমারের কথা পাঠকের মাথায় আসতে পারে, কিন্তু সে তা নয়। সে হল পাপুন্তুস।
এই সিরিজে কখনও পাপুন্তুস নিজে নিজে কথা বলে তার বাবার সাথে। কখনও কখনও মায়ের সাথে। আমার অন্য সব সিরিজের মত এই সিরিজও খাপছাড়া।
...
[justify]
গত সপ্তাহে বোঁচকার মধ্যে ক্যামেরা আর হাতে ট্রাইপড নিয়ে ছাড়া আধঘন্টা রোদের মধ্যে দাঁড়িয়েছিলাম। পাশে ধূমায়মান হের চৌধুরী। তারও হাতে বোঁচকা।
জার্মানিতে মিটফার বলে একটা ব্যবস্থা চালু আছে, এটা জার্মানবাসী সচলের লেখা পড়লে টের পাওয়া যায়। ব্যবস্থাটা উপকারী। ধরুন আপনি একজন গাড়িঅলা [বা গাড়িঅলি], জার্মানির এক শহর থেকে আরেক শহরে [সেটা জার্মানির বাইরেও হতে পারে] যাচ্ছেন। ম্যালা ত...
কাজ নেই তাই তোমায় ভাবি
দু’চোখ জুড়ে কান্না আসে মেলা
এ আমার নিশুত রাতের
দুঃখ দুঃখ খেলা।
কি জানি ছাই,কোন সাহসে
কোন ভরসায় ,কোন আশাতে
কোন নেশাতে মাতাল আমি
টলতে টলতে চলতে চলতে
চলতে চলতে টলতে টলতে
পথের মাঝে থমকে দাঁড়াই
অন্য কোনো আমি।
মাতলামি নয় পাগলামি নয়
অন্য রকম অন্য কিছু
তোমার জন্য কেবল শুধু
অন্য রকম আমি।
[justify]একটি গাছ। বাড়ির পাশেই থাকে। গাছের পাতা ডাল মাঝে মাঝে বাতাসে দোলে। আমার চোখের সামনেই তরুশিশু থেকে তার একটু একটু করে বেড়ে ওঠা। তবে আমি তাকে মৃত মনে করি। গাছটির নাম মাঝে মাঝে পাল্টাই। আজ তার নাম দিলাম ঈশ্বরী।
একটা পাথর। পড়ে আছে বাড়ির সামনেই। স্থির। বাতাসে দোলে না। গতকাল বেরোনোর সময় পাথরে লেগে আমার পায়ের বুড়ো আঙ্গুলের নখের দফারফা। ব্যথা দেয়ার অদম্য প্রাণশক্তি দেখে তাকে মৃত ভা...
পিথিবির সবচেয়ে বাজে লুকটা এই মাত্র মারা গেলেন। উনি আমার বাবা ছিলেন। উনাকে আমি ভালবাসতাম না। উনিও আমাকে না।
শেষদিকে উনি বেলেহাজের মতো একটা মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেটর জন্য ঘুরতো। আমি নানাভাবে এইজন্য তাকে অপমান করেছি। কারণ একদিন এই লুক সার্টিফিকেট ছিড়তে ছিড়তে বলছিলন, চেনা বামুনের পৈতা লাগে না।
কালের পরিক্রমায় অতিচেনা বামুনও পৈতাহীন হলে অচেনা হয়ে যায়।
আজকে অনেকগুলি কাজ হয়ে যাবার কথা ছিল। ঘাপলাটা বাধিয়ে দিলো মাইক্রোপিপেট। না সেটা খুঁজে পাওয়া গেল পুরানো বিল্ডিংয়ে না নতুন ভবনে। শিক্ষকদের কেউ খোঁজ জানতে পারেন। কিন্তু তারা একটা মিটিংযে আছেন। মুশকিলে পরলাম। ল্যাব অ্যাটেন্ডেন্ট আলি ভাই ল্যাবের কম্পিউটারে বিকট শব্দে গান ছেড়ে বসে আছেন। হৃদয় খানের গান। স্পিকার বা কম্পিউটারের কোথাও সমস্যা আছে। হৃদয় খানের গলা মহিলাদের মত ...
জহিরুল ইসলাম নাদিম
গ্রামের নামটি রাজাখালী। ভারি ছোট্ট সেই গ্রাম। কিন্তু দৈর্ঘ্যে সে যতটা ছোট প্রস্থে কিন্তু ততটা নয়। সেই গ্রামটিকে দুভাগ করে দিয়ে তার সিঁথী হয়ে বয়ে গিয়েছিল এক নদী। কোনো কালে সে ভরা ছিল—এখন মরা। তো তার একপাড়ে জড়াজড়ি করে দাঁড়িয়েছিল দুটো আদ্যিকালের তালগাছ। অনেক দিন ওরা ওভাবে দাঁড়িয়েছিল। কত দিন? তা কিন্তু বলা যাবে না। গাঁয়ের লোকেরা শুধু ওদুটোকে দাঁড়িয়ে থাকতেই দ...