সর্বশেষ নির্বাচনের সপ্তাহ দুই আগে রিপাবলিকান দলের প্রেসিডেন্ট ও ভাইস-প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী দুইজন এনবিসির ব্রায়ান উইলিয়ামসকে একটা যৌথ সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন। নির্বাচনের অর্ধেক টিকেটের মালিকের দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন উইলিয়ামস্, ‘গভর্নর, অভিজাত/এলিট কে? কে কে অভিজাত গোত্রের মধ্যে পড়েন?' উত্তরে পালিন বলেন, ‘আমি মনে করি - যে নিজেকে অন্যদের চেয়ে শ্রেষ্ঠ মনে করে তাকে অভিজাত/ ...
তিনি এসেছিলেন ঝড়ের পরে। সাতাত্তরের এপ্রিলে। মাত্র তিন মিনিটে একটি শহর লণ্ডভণ্ড হয়ে গেল। আমাদের টিউকলটি একটি নারিকেল গাছে স্প্রিংএর মতো পেঁচিয়ে গিয়েছিল। টিনের ঘরগুলো কাগজের মতো হাওয়ায় উড়েছিল। আর অনেকের মতো আমাদের হারুনকাকুকে পাওয়া গিয়েছিল নদীর অন্যপাড়ে। সকালে তিনি গাছপালা-ঘরবাড়ি উজিয়ে এলেন। আমরা দুভাই, মেঝ বোনটি আর বাবা—নিঃসহায়ের মত বসে আছি। মা গেছে মামাবাড়ি। তার কোনো সং ...
কেন হাসি, এককথায় এ প্রশ্নের জবাব দেওয়া মুশকিল। হাসি জিনিসটা মানুষের মজ্জাগত, এ নিয়ে যেমন সংশয় নেই ,ঠিক তেমনি এটা ভয়ানক রকম সংক্রামকও বটে। বেমক্কা কারো হাসি চলে আসলে সেই হাসি চেপে রাখতে যে হ্যাপাটা পোহাতে হয় সেটা আশা করি অনেকেরই জানা আছে। উচ মাধ্যমিক পরীক্ষার একদিন আমাদের হলে টহল দিচ্ছিলেন একজন বুড়োমত শিক্ষক। যে কোন কারণেই হোক, তিনি আমাদের রেজিস্ট্রেশন কার্ডটি বারবার খতিয়ে দেখ ...
কেমন করে সইবো সখি
কেমন করে বল,
অবাক হয়ে চেয়ে দেখি,
বৃষ্টির চোখে জল।।
হৃদয় আমার কাঁদে সখি
প্রানটা আমার পুড়ে
কষ্ট নামের মেঘ জমেছে
আমার আকাশ জুড়ে।।
চোখের জলে ভিজে সখি
পদ্ম ফুলের পাতা
মন আকাশে মেঘ জমেছে
আঁধার নিরবতা।।
“আসলে সোনার বাংলাদেশের সোনার ছেলেরা কোনো বিষয়েই সোনার মেডেল বিশ্বদরবার হইতে আনিতে পারে নাই, তাই তাহারা গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লেখাইয়া দেশের গৌরব সারা পৃথিবীবাসীর কর্ণকুহরের মধ্য দিয়া মর্মে পৌঁছাইতে চাহিতেছে যে, দেখো, পৃথিবীতে এমন দেশও আছে, যেই দেশে এক দল শিক্ষার্থী আরেক দল শিক্ষার্থীকে যথাসম্ভব উচ্চ ভবনে তুলিয়া শূন্যে ছুড়িয়া মারে? তোমরা কি কেহ এই রূপ অভিনব ভাবনা ...
‘স্বাধীন বাঙলা বিপ্লবী বেতার কেন্দ্র’ যা পরবর্তীতে ‘স্বাধীন বাঙলা বেতার কেন্দ্র’ নামে পরিচিত হয় তার প্রতিষ্ঠালগ্নে যে দশ জন শব্দসৈনিক জড়িত ছিলেন তাঁদের কয়েকজনের সাক্ষাতকারের উপর ভিত্তি করে সৈয়দ আবুল মকসুদ “স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী বেতার কেন্দ্র অরণ্য-বেতার” নামে একটি রচনা লেখেন যা অক্টোবর ২০০৬-এ প্রকাশিত ‘প্রথম আলো’র ঈদসংখ্যায় ছাপা হয়। রচনাটিতে প্রকাশিত
'আমার' বলে কিছু
আছে নাকী!
মাঝে মাঝে নিজেকে চিনতে পারি না
আর তুমি!
কতোইবা? বড়জোর ছ', বেশি হলে দশ
ধরলামই না হয়
শূন্য থেকে পরস্পরকে আমরা চিনি-
(তাই কী!)
তারপরও চকিত চোখে এখনও যখন তাকাও
কেঁপে উঠি--স্রষ্টার সামনে যেমন
লুপ্ত হয় লৌকিক জীবনজীবিকা...
বা হাতের মসৃণ মুঠোয়
হৃদয়টিকে খোসা ছাড়িয়ে
স্ট্রবেরির মতো স্ট্রেটকাট নিজের করে
চেপে রাখলেই
কী একান্ত হয়ে গেলাম!
হাসানতো বলে গেছে
মানুষ তার ...
লিখে যাচ্ছি নিঃসঙ্গতা আর খুলে যাচ্ছে
একটি বাদামী-দরোজা........................
জিতে যচ্ছে
জিতে যাচ্ছে প্রবল-প্রতাপ অবসাদ;
অসহ-দহনে ক্ষয়ে যাচ্ছে আয়ুর সোনালী ডানাগুলো
কোথায় পালাবো?
কোথায় ফিরবো?
যুদ্ধ-বিধ্বস্ত নগরীতে ঠিকানা দিক্-চিহ্ন হীন।
অথবা
কোথাও কি কখনো আদৌ কোন ঘর ছিল?
দূরাগত মিহি সুরে বেজে ওঠা বীণ;
স্পর্শাতীত দিগন্ত-বলয়;
দিগন্ত-বালিকার কোন ঘর থাকেনা।
'চামেলী হাতের নিম্নমানের মানুষ' বাবা আমার রক্তে পড়ার নেশা ধরিয়ে দিয়েছিলেন একেবারেই শৈশবে। নানা ঘটনা-দূর্ঘটনায় আর্থিক অস্বচ্ছলতা তখন আরামসে জাঁকিয়ে বসেছে, অনেক ঈদেই নতুন কাপড় কেনা হয়নি কিন্তু বাবা আমার বই কিনে আনতেন।
রবিনসন্স ক্রুশো, হাকলবেরী ফিন, হাঞ্চবেক অফ নটরডেম পড়া হয়ে গেছে তৃতীয় শ্রেনীতেই। অনুবাদ নয়, একেবারে ইংরেজী। বাবা নিজে অনুবাদ করে করে শুনাতেন। উচ্চবিদ্যালয়ে উঠ ...