ছোট বেলায় শত মনীষীর কথা নামে একটি গ্রন্হ সমগ্র পড়েছিলাম। চার খন্ডের ধারাবাহিক ছিলো এটি। সেখানে পড়েছিলাম প্রায় চারশত মনীষীর জীবনকথা। তার একজন ছিলেন মহাকবি কালিদাস। জেনে ছিলাম এক অতি সাধারন যুবকের মহাকবি হওয়ার পেছনের গল্প। কালিদাস এর জীবন সম্পর্কে খুব একটা বেশি তথ্য পাওয়া যায়নি। খুব সম্ভবত তার জন্ম চতুর্থ বা পঞ্চম খ্রীষ্টাব্দে গুপ্ত সাম্রাজ্য এর সময়ে হিমালয়ের কাছাকাছি কোনো ...
পল টিবেটস, ২য় বিশ্ব যুদ্ধে প্রথম পারমাণবিক বোমা নিক্ষেপকারী বিমানের চালক ছিলেন (মোটামুটি আমারা সবাই কমবেশী এই তথ্যটি জানি)। পাইলট পল টিবেটস বিমান থেকে বোমা ফেলার কয়েক সেকেন্ড পর হিরোশিমার যে কল্পনাতীত ভয়ংকর দৃশ্য অবলোকন করেছিলেন, পরবর্তী সময়ে তিনি উন্মাদে পরিণত হন এবং অকালমৃত্যু তাঁকে এ যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দেয়। এই অসাধরণ তথ্যটুকু খুব সম্ভবত অনেকই জানতেন না! আমিও জানতাম না। ...
মানুষের উপকার করতে আমার খুব ভালো লাগে। আমি সবসময় চাই মানুষের উপকার করতে, ছোটবেলায় পড়া রচনাগুলোর মত উপকারি প্রাণি হতে। কিন্তু কেউ বিপদে না পড়লে উপকার কেমনে করুম? তাই আমি তক্কে তক্কে থাকি কখন কেউ বিপদে পড়বে আর আমি উপকার করমু। দরকার পড়লে আমিই বিপদে ফালামু, তারপরে সাহায্য করুম। কিন্তু উপকার আমারে করতেই হইবো।
তখন মনে হয় ক্লাস ওয়ান এ পড়ি। উপকারের প্রবল নেশা। এটাই স্বাভাবিক। যারা বড় ...
যুদ্ধ কি শুধু বন্দুক হাতে, যুদ্ধ কি শুধু ফ্রন্টে?
যুদ্ধ হয়েছে দেশ থেকে দূরে, গানে-গর্জনে কণ্ঠে
যুদ্ধ হয়েছে যুদ্ধশেষের সেই মাহেন্দ্র ক্ষণ চেয়ে
সেই যুদ্ধকে শুনি, দেখি ম্যাডিসন গার্ডেনে মঞ্চে
লক্ষ মানুষ হারিয়েছে প্রাণ, কোটি লোক শরণার্থী
হ্যারিসন হাতে তুলেছে গিটার শুনে আমাদের আর্তি
টিকিটের টাকা যোগাতে কি পারে কোটি মানুষের অন্ন?
নিউ ইয়র্কে জমেছে মানুষ বাংলাদেশের জন্য
রবি শঙ্ ...
প্রেমের কবিতা
লন অটো
মেয়েটির জন্য তিনি একটা কবিতা লিখেন। ভালোবাসা দিবসের প্রেমের কবিতা। তার মনের আকুতি কবিতার ভাষার একদম ঠিকঠাক ফুটেছে। কাব্যগুণ আর রূপক ব্যবহারে দুর্বোধ্য হয়ে যায় নি। তিনি কবিতাটি বারবার আবৃত্তি করলেন। এতো ভালো মানের কবিতা আগে কখনো লিখতে পারেননি। তাই খুব আনন্দ হলো।
রাতে মেয়েটার ঠিকানায় পাঠিয়ে দিবেন। হাতে পাওয়ার সাথে সাথে খুলে দেখবে। কবিতার সৌকর্যে মুগ ...
আজকেও যেতে যেতে দেরি হয়ে গেলো। মরার কাজ আর শেষ হয় না। ততক্ষণে মেলা জমে গেছে। সচলদেরও অনেকেই জমায়েত। মূল দরজা পর্যন্ত যেতেই দেখা পলাশ রঞ্জন স্যানাল আর মনামীর সঙ্গে। ওপাশে ছিলেন অনিন্দ্য রহমান, পরিচয় হলো। আমার ধারণা ছিলো মনামী বিদেশে থাকে, এখন দেখি লোকাল।
নিবিড় আর সুহান রিজওয়ান আগে থেকেই ছিলো। ছিলো জুয়েরিযাহ মউ [বানান ভুল হইলে আমি দায়ী না]। ব্যাস, মেলায় আর ঢুকতেই পারলা ...
কত কিছুই ঘটে, হাত না-পেতে সমভাবে
জেনে রেখো চুপচাপ, নিঃশব্দ জলফুল ফুটে
নিরূপায় বললে নির্ভরতা কমে
দ্বিমত করো না-দ্বিধা
শর্তহীন লোভে পুড়ে
তারপরও বলবো কেন যে কোনো খবর রাখো না-মনের
অনায়াসে আদর-চুম্বনসহ নিলাজ দাঁতের বিস্তার
দয়া করো ক্লান্ত দেহ থেকে উড়ে যাক বেদনাভার
মাঝে মাঝে মাথায় একটা লাইন ঘুরতে থাকে, মনে হয় সেই লাইনটাকে আরো কয়েকটা লাইনের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়ে একটা কবিতা গোছের কিছু না দাঁড়া করালে আরে চলছেই না। এইভাবে অনেক কিছুই লেখা হয়েছে যা মাঝে মাঝে অন্য কাউকে দেখাতে ইচছা করে, কিন্তু সাহস তো পাইনা। তাই ভাবলাম এক কাজ করি, আমার প্রিয় একটা ইংরেজি কবিতার অনুবাদটা সবার সামনে প্রকাশ করি। তারপর না হয় অবস্থা বুঝে নিজের মৌলিক লেখাগুলোও একসময় দেও ...
দেখা হয়েছিলো তোমাতে আমাতে, মনে পড়ে, কোন শরতে?
আমায় কিন্তু সেই দেখা-দেখি দাগ কাটে প্রতি পরতে।
জীবন বহিয়া চলে,
অসীম কালের তলে।
হয়তো অনেক বাকি রয়ে গেছে, যা চেয়েছো তুমি আমাতে।
জেনেছিগো আমি কোনও কোনও অপ্রাপ্তি পারেনি তোমাকে থামাতে
আমায় চাওয়ার তরে।
অনেক বছর পরে
আজও ঘুরে ঘুরে শরৎ আসে যে, কিন্তু কি তুমি জানো?
প্রথম শারদ আবেশ এ প্রাণে তুমি শুধু বয়ে আনো।
জলপাই জড়ানো তোমার হাতে যখন
গর্জে ওঠে রাইফেল আর
মূর্ছা যায় সারি সারি সিঁদুর...
তহন কি তুমি আর মোগো গাঁর রহিমুদ্দী থাহো?
তহন কি ঝাঁক ঝাঁক বেহেশতি কৈতর
দরাজ ভাইটালি টানে ধরফর করতি করতি
বানের পানির লাহান আসমান ছিঁড়া নাইমা আসে
তুমার তালুতি বাপ?
অথবা যখন তুমি
সাহেবের বেশে হাজার তলার চিমনিতে বসে
কলমের তুচ্ছ খোঁচায়
পাজরের অলিতে গলিতে চালিয়ে দাও বুলডোজার
তহন, দাতাল শুয়ারের গপ্পো কব ...