যৌবন কাজের সময়। তাই দোয়েল চত্বর থাইকা মতিঝিল যাইতে হবে। আমি আর বাল্যবন্ধু। মাঝখানে প্রেসক্লাবের মোড় আইসা তার সাথে দেখা। হাতে গু। রিকসা থাইকা লাফ দিতে পারতেসিলাম না, পাশে পদ্মা অয়েলের তেলবাহন। এই বেলা কারে তেল সাপ্লাই দিতে যায় বুঝি নাই। বুঝার টাইমও নাই। কারণ তার সাথে দেখা। হাতে গু।
পকেটে ৪০ টাকা আছিল। ৪০ ট্যাকায় এক পেগ জরিনা+৫টাকা। কিন্তু গুবাবায় আরো উচ্চক্ষমতার মাল টানে। সুত ...
আমি ক্যামেলিয়া ছুঁড়ে ফেলেছি
প্যারিসের রাজপথে আমার হাহাকার,
অথবা আমাজানের গভীর বনভূমিতে
ফেলে আসা কিছু স্বপ্ন...
কনস্ট্যান্টিনোপোলে জমিয়ে রাখা ভালবাসাগুলো
ব’য়ে এনেছি তোমার দরোজায়;
---খুলে দাও---
শেলির কাব্যগাঁথা জঞ্জালের স্তুপ,
ফ্রস্ট এখন বোগাস বু-র মত অদৃশ্য
জীবন থেকে। মধুসূদন হারিয়েছি মধুর ক্যান্টিনে।
লংফেলোর এক এনশায়ান্ট মেরিনার আমি,
দু’হাত ভরা কাগজে আছে আমার কবিতাগুলো;
...
তার বুকে ঢেউ ওঠে, তার চুলে রাত্রি নামাই, তার ঠোঁটে গোলাপ ফোটাই। অনুভবে...বন্ধু অনুভবে।
তাকে নিয়ে ভাবতে ভালো লাগে। তাকে নিয়ে ভাবি। ভাবনার ডানা উড়ে যায়, কতদূরে যায় সব আর মনে থাকে না বা মনে করি না। আকাশে তার ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা। মেঘ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে সে আকাশের নীল বারান্দায়। তাকে আমি দ্যাখি, দ্যাখে দ্যাখে চোখ পুড়াই, পরাণ জুড়াই।
সে এমনই ইচ্ছে করলেই ছুঁয়ে দেয়া যায় না অথচ অনিচ্ছায় সে আমার ...
১
আমেরিকায় বসে খালি আমেরিকা নিয়ে লিখতে বা ছবি দিতে ইচ্ছা করে না, যদিও গত দু'দিনে নিউ ইয়র্কে দারুণ কিছু ছবি তোলা হয়েছে। কেমন জানি একটা স্যাচুরেশন আসে।
বরং ইচ্ছা করে জগাখিচুড়ি ধরনের লেখা লিখতে। বিভিন্ন জিনিস নিয়ে। এটা অনেকটা সেরকমই একটা লেখা, পরীক্ষামূলক। কিছু ভ্রমন পর্যবেক্ষণ আছে, বিয়ে/রিলেশনশিপ ইত্যাদি নিয়ে কিছু চিন্তাভাবনা আছে।
লেখাটা লিখেছি বিভিন্ন জায়গায় বসে; কিছু অং ...
ঘড়িতে সাড়ে আটটা। কাল রাতে জানালার পর্দা সরিয়ে রেখেছিলাম। জানালার স্বচ্ছ কাঁচের এপাশ দিয়ে দেখলাম অঝোর বৃষ্টি। আমি ওপাশ ফিরে খুশি হয়েই আবার ঘুমিয়ে পড়লাম। সাড়ে দশটার দিকে উঠেই পড়লাম। বৃষ্টির এখনও থামার কোন লক্ষণ নেই। ভাবলাম, আজ না হয় একটু দেরি করেই বের হই।
কোথাও যাওয়াই হয়নি আজ। সারাটা দিন ধরেই অনেক কাঁদলো আকাশটা। কখনও খুব উচ্চঃস্বরে আর কখনওবা ধীর লয়ে। সারাটা দিন ...
মেয়েটা যখন আমাদের মহল্লায় আসে, আমাদের মহল্লায় যখন মেয়েটা আসে আমি তখন আকাশের দিকে ফিরি। বিধাতা বলে কেউ থাকলে তাকে ধন্যবাদ দেই। আমি ফিরে ফিরে তার দিকে তাকাতে থাকি। আমার এই পলকহীন তাকানো সে খেয়াল করে। মুখের পেশীতে কোনো বর্ণ না ছড়িয়ে ঢুকে যায় তার বাসায়, দরজা বন্ধ করে আরো কিছুদূর হেঁটে নিজের ঘরের ঢোকে। হয়ত সেই ঘরের দরজাও বন্ধ করে। বিছানায় শোয় কিংবা কোনো প্রয়োজনীয় জানালা দিয়ে বাইরে দ ...
- অনন্ত আত্মা
আমার নাখাস্তা গল্পগুলো যারা করুণা করে পড়েন, তারা আমার বন্ধু কমলের নাম নিশ্চয়ই জানেন। আজকের লেখা কমলকে নিয়েই। কমল ওর নামের মতই হালকা, পলকা কিন্তু আসর জমানো ছেলে বলে আমাদের কাছে ওর কদর বি এন্ড এইচ এর চেয়ে কম না।
আমাদের আর কমলদের বাসার দূরত্ব খুব বেশি না। যখনকার কথা বলছি, কমলদের বাড়ীটা তখন একতলা। গেট দিয়ে ঢুকতেই প্রথমে যেই রুমটা পরে সেটা কমলের। কমলের রুমে কমল একাই ঘুম ...
[আরিফ বুলবুল]
আমরা কোনদিন ছিলাম না শিশু
কিন্তু শৈশবস্মৃতি দুরন্ত শিশুর মতো
কলকলিয়ে আমাদেরর তাড়া করে ফেরে
আমরা কোনদিন পাই নি ব্যাথা
তবু ব্যাথাতুর হৃদয়ের কান্না
বেজে চলে প্রতিক্ষণ আমাদের বুকে।
এরকম আমরা কয়েকজন;
সন্ধ্যায় সূর্যাস্তকে সামনে রেখে
দিগন্তে তৈরি করি কিছু স্বপ্নময় সিলুয়েট;
দূরবর্তী কোন জীবনের সম্ভাবনা আমাদের
উদ্দীপ্ত করে; যেমন আচ্ছন্ন করে রাখে
অতীতের ম ...
মে মাসের এক সন্ধ্যায় ডির্পাটমেন্ট থেকে বের হবো। হঠাৎ সুপারভাইজারের ডাক।বেশ একটু উচ্চস্বরে। ভাবলাম আবার কোন কাজ করতে হবে। পরে দেখি বেশ চমৎকার এক হাসি খুশি ভাব । রুমে যেতেই বলা শুরু করলেন আগামী সামারে তোমার তো কাজ নেই। দেশে তো যাচ্ছো না। তার চেয়ে বরং জার্মানিতে একটি ট্রেনিং আছে ঘুরে এসো, একটু ইতস্তত করতেই বললেন ওরা তোমার সব খরচ দেবে আর ইরাসমুস প্রোগ্রাম তো তাই টাকা পয়সা যে একেবা ...
[বিষণ্ণ বাউন্ডুলে]
..পথ চলছে,
খেয়াল থাকুক আর নাই থাকুক..
তারপর কোন একদিন..
প্রতিদিনকার চেনা ঘুম,
অচেনা পথের পথিক করে দিবে..
প্রিয় ডায়রী'র লেখা পাতাগুলো হঠাৎ করেই দিশেহারা,
শুকনো ঝরা পাতা যেন..এক নিমিশেই স্তদ্ধ..
ক'ফোটা চোখের জল আর ঠোটের কোণে আলতো হাসি,
হঠাৎ করেই কোন একদিন..ফিকে হয়ে আসবে..
অতঃপর..
পথচলার খেরোখাতা আর এলোমেলো স্মৃতিধূলো,
বয়ে যাবে নিরন্তর..রয়ে যাবে..অমলিন..
অসী ...