অরবিন্দ আদিগা'র প্রথম উপন্যাস, ২০০৮এর বুকারজয়ী 'দ্যা হোয়াইট টাইগার' আমি পড়িনি। তার দ্বিতীয় উপন্যাস 'বিটুইন দ্যা এসেসিনেশন' প্রকাশিত হয় নভেম্বর ২০০৮ এ ,যদিও এটি আসলে দ্যা হোয়াইট টাইগারের আগেই লেখা।
এই উপন্যাসটি পড়েছি গতবছরের শেষের দিকে কিংবা এবছরের শুরুতে। উপন্যাসের সময় পরিক্রমা ১৯৮৪ থেকে ১৯৯১। ১৯৮৪ তে নিহত ...
নব্বুইয়ের দশকের মাঝামাঝি সময় বাংলাদেশে ইন্টারনেট যখন এল তখন এটি ছিল খুবই একটি খরুচে প্রযুক্তি। মাইক্রোসফ্ট অফিস/উইন্ডোজ সহ দামী কম্পিউটারের সাথে আট হাজার টাকা দিয়ে মডেম কেন, ইমেইলের জন্যে পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে আইএসপির ডায়ালআপ অ্যাকাউন্ট খোল - ইত্যাদি - এর সাথে সাথে ফোন বিল ও আইএসপির মিনিট প্রতি চার্জের ব্যাপারটি তো ছিলই। কিন্তু আজকের কথা চিন্তা করুন, ফোনেই থাকে মডেম আর বাংলাদে ...
আজকে ইফতারে অতিভোজন হয়েছে। খাবারের আইটেমগুলা ছিল জটিল, পেটে ক্ষিধাও ছিল প্রচুর, তাই গলা পর্যন্ত খেয়েছি!
রমজান মাসে খাওয়া-দাওয়া বড়ই উমদা হয়। সারাদিন অভুক্ত থাকার কারণেই হয়ত মানুষ ইফতারের সময় উপাদেয় খাদ্য দিয়ে রসনা মেটাতে চায়। ক্লাস ফাঁকি দিয়ে এই রমজান মাসের অধিকাংশ দিনই মোটামুটি ঘরে বসে কাটিয়েছি। আজকে ঈদের কেনাকাটার জন্য দিনের বেলা বাইরে অনেক্ষণ ঘুরাঘুরি করতে হয়েছে, তাতেই গল ...
তখনঃ
পি,আই,এ-র টিকিটের দাম ছিল স্টুডেন্ট কনসেশনে মাত্র ২৫ টাকা - ঢাকা-যশোর বিমান ভাড়া। তখন এক ডলারের বিনিময় মূল্য ছিল ৩ টাকা ৭৫ পয়সা। তার মানে এখনকার ৫০০ টাকার কমে প্লেনে যেতে পারতাম। এখন মনে হতে পারে কত সস্তা। কিন্তু এটা ছিল আমার এক মাসের হোস্টেলের মেসিং চার্জের কাছাকাছি। ইঞ্জিনিয়ারিং-এর তখন মাসিক মেসিং চার্জ ছিল ৩৫ থেকে ৪০ টাকার মত। তবে বাবার পাঠানো টাকার সাথে স্কলারশিপের টাক ...
আনিসুল হক এভারেস্টেরও উঁচু থেকে ঘুরে এসেছেন। সেটা নিয়ে তিনি প্রথম আলোর ঈদ উপহারে একটি রম্য স্মৃতি লিখেছেন। তিনি নিজেতো এভারেস্ট থেকে উঁচুতে ঘুরলেন কিন্তু আমাদের কীভাবে মাটির ঢিবিরও নীচে নিয়ে গেছেন আসেন দেখি।
“বাঙালি মারলে জরিমানা হবে না, কিন্তু একটা সাদা মারলে খবর আছে”! এইরকম একটা কথা লেখার মানে কী? এইগুলা রম্য? এই ধরণের রেসিস্ট কথা বলে বাঙালিদে ...
সুধী হাচলবৃন্দ (সচলবৃন্দ নয়, খুউব খিয়াল কইর্যা), আপনাদের মনেও কি এমনই রয়েছে সচল হওয়ার দুর্দমনীয় বাসনা? সচলত্বের সিংহদ্বারের অন্তরালে কতিপয় বিশেষ ব্যক্তি কি অনির্বচনীয় ক্ষমতার সুখ ভোগ করছে তা জানতে কি আপনিও উদগ্রীব? অথবা রেস্ট্রিক্ট ট্যাগের অবগুন্ঠন উন্মোচনের সুতীব্র কামনা কি আপনার চিত্তেও চুলবুলিয়ে যায়? তবে শুনুন – সচলত্বের হুরপরীগুলিকে দ্রুত প্রাপ্তির উপায় মাত্র দুইটি ...
দিনলিপি
ঢাকার রাস্তায় বেরোতে ইচ্ছে হয় না। ভার্সিটি বন্ধ থাকায় সেহরির পর বেশ প্রেমসে একটা ঘুম দেয়া যায়, সেটা থেকে পুরোপুরি মুক্তি পেতে দশটা কি এগারোটা। পাখির কুজন মুখরিত সকাল বা মৃদুমন্দ বাতায়ন টাইপের জিনিসপত্রগুলো, যা কেবল সত্যযুগের কবিদের জন্যেই তৈরী হতো- ঠা ঠা রোদের মধ্যে ঢাকার রাস্তায় আজকাল খুঁজে পাওয়া যায় না। রাইফেলস স্কোয়ার কি বসুন্ধরা শপিং মলেও না, নিউমার্কেট কি বঙ্গ ...
গত শনিবারের ঘটনা। সকাল থেকে আলস্যের কারণে বিছানা ছাড়া হচ্ছিল না। প্রথমতঃ উইকএন্ড, তার উপর প্রচণ্ড বৃষ্টি। ব্রিটিশ আইলস-এ বৃষ্টি প্রধানতঃ ঝিরঝিরে প্রকৃতির। কিন্তু গত কয়েকদিন আয়ারল্যান্ডের রাজধানী শহর ডাবলিনে সেটা রীতিমত মুশলধারে হতে শুরু করেছে। ফলে বিছানায় শুয়ে বৃষ্টির শব্দ শুনতে শুনতে একটা রোম্যান্টিক পরিবেশ উপভোগ করছিলাম। হঠাৎ মনে হলো একটু পত্রিকা পড়ি। কী হচ্ছে এই দেশে ...
১.
ছোটবেলা থেকেই আমার ভয়াবহ রকমের ক্যামেরাভীতি। মনে আছে, বড় ভাইয়া যখন কাজিনদের গ্রুপ ফটো তুলতেন (তখন ক্যামেরা জিনিসটা এতো সহজলভ্য ছিলো না), আমার হাত-পা ঠকঠক করে কাঁপতো। দেখে মনে হত, কেউ যেন আমার ম্ত্যুদন্ডাদেশ ঘোষণা করেছে। এক্ষুণি আমাকে ফাঁসিকাষ্ঠে ঝুলাতে নিয়ে যাবে। সে এক ভয়াবহ অভিজ্ঞতা। যাই হোক, বড় হয়েও আমার ক্যামেরাভীতি পুরোপুরি যায় নি। বন্ধুরা যেখানে ক্যামেরার সামনে দিব্য ...
নষ্ট বীজ থেকে কখনো ভালো ফসল হয় না ! স্কুলে যখন পড়তাম তখন আমাদের প্রিয় এক শিক্ষক সবসময় এই কথাটি বলতেন। স্যারের ভাষায়, নষ্ট বীজ গোলাম আযম, স্কুলে পড়ার সময় আমরা যারে গু আযম কইতাম, আর স্যার বলতেন নষ্ট বীজ, আর নষ্ট বীজের ফসল ছিলো তার পরবর্তী প্রজন্ম, জামাত শিবির মৌলবাদী চক্র !
শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. ইয়াসমিন হককে আমরা অনেকেই চিনি, খুবই আন্তরিক একজন মানুষ, সদা হাস্যময়, বিশ্ববিদ ...