তাঁর সাথে আমার পরিচয় কোন এক ঘোরতর দাবদাহের দিনে। আজিজের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলাম, ঢুঁ মারার লোভটা বরাবরের মত সংবরণ করতে পারলামনা। দোকানে থরে থরে সাজিয়ে রাখা বইগুলোকে আলগোছে চেখে নিচ্ছিলাম। পকেটের অবস্থা তখন গড়ের মাঠপ্রায়, তাই চাখতেও হচ্ছিল রয়েসয়ে, পৃথুল বইগুলোর লোলুপ প্রলোভন এড়িয়ে ক্ষীণবপুগুলোর দিকে। হঠাৎ করেই হলুদ মলাটের একটি বইয়ের ওপর নজর আটকে গেল। বলে রাখা ভাল, খানিকটা অবাকই ...
মাগনা পেলে বাঙালী নাকি আলকাতরা-ও খায়।
তো এই বাঙালী সকলের মহামান্য প্রতিনিধি যারা, তাহারা প্রাডো কিংবা ল্যান্ড ক্রুজারও খাইবেন, ইহাতে আর নতুন কী?
ড: খোন্দকার সিদ্দিক-ই-রব্বানী
অধ্যাপক ও চেয়ারপার্সন,
বায়োমেডিকেল ফিজিক্স এন্ড টেকনোলজি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
নিজস্ব প্রযুক্তি উন্নয়ন ছাড়া দেশের উন্নতি হবে না, আর এ কাজটি অন্যেরা এসে আমাদের জন্য করে দিতে পারবেনা, এ উপলব্ধি থেকে ১৯৭৮ সনে মাইক্রো-ইলেকট্রনিক্সে পিএইচডি শেষ করেই সরাসরি দেশে চলে আসি, বাইরে চাকুরীর ভাল সুযোগ থাকা সত্বেও।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞা ...
বহুদিন কিচ্ছু লেখিনা ... মাথার সব গোবর শ্যাষ, নয়া গোবরের চালান আনা লাগবো। কিন্তু হাত নিশপিশ করে - এমন একটা ভাব যে আমি বিশাল একজন লেখক, না লেখলে কি আর চলে? নিজেরে অনেক বুঝাইলাম - বাপধন, অফ যা ... কিন্তু ঐ যে, চোরায় না শোনে ধর্মের কিচ্ছা !!! তাই, যাও ছটাক খানেক গোবরের একটা ছুডো ইষ্টক আছিলো ঐটাই উগরায়া দিলাম। কারো কাছে 'ইয়াক থুইং' লাগলে ফুলের জলসায় বইসা আমি অন্যান্য কবিগো মতোন নীরবই থাকুম ...
আমি যখন ঘুমিয়ে পড়লাম- ভারমুক্ত আকাশের নিচে
স্থির বুকে গুঁজে থাকা ঠোঁট নিয়ে পাখিটা কি ভাবছিল
দিনের শেষ ছায়াটুকু? হলুদ খামে ভরা নদীর জলে
যেন কেবলই চিঠির মত ভেসে থাকা।
আমাকে পেয়ে গান ধরলো এক বৈষ্ণব, আমি বললাম
আমাকে মাফ করুন, আমাকে বিশ্রাম নিতে দিন
আমার শোকের শেষ সঞ্চয়টুকু পান করতে দিন
দয়া করে ফেরত পাঠাবেন না কোনো নাগরিক গারদে।
আমাকে পেয়ে ভীড় জমালো কয়েকটা স্মৃতির রাজহাঁস ...
__নিয়ম জানা আছে? বগা, নিয়ম জিগায়। জানোস নিহি? কইয়া দে জানি ।
দুইটা লোক চলে যায়। একজনের নাম বগা।
__যেতে হবে আমারও, যেতে যেতে এক পর্যায়ে বেরিয়ে যাব। ওই দূরে। হলের পর হল, দরজার পর দরজা। যেতে যেতে পেরিয়ে যাব। ওই দূরে মাঠ। রোদ খাবি খায়। গরু ঘাস। এইখানে না। এইখানে মিউজিয়ামে থকথক করে সবুজ বাতি। নিভে যায় সময়-সময়। পরিত্যক্ত পাবলিক টয়লেটের মতো। ঘিরে থাকে। ঘাড় চেপে ধরে দেখায় একেকটা ইউরিনাল। ...
আমজনতা সাইদুল,কৃষিকর্মী,থাকে আড়ানীতে।নিজের অল্পকিছু জমি আর অন্যের জমি।ফসল ফলিয়ে দিনমান আনন্দে কেটে যায়।সাইদুলের সঙ্গে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের সম্পর্ক নির্ধারণ, আজকের নাগরিক বনাম রাষ্ট্র দুইপাক্ষিক চুক্তি উপপাদ্যের ক্যাচালের বিষয়।
এই সাইদুল প্রাইমারী স্কুলের পর দারিদ্র্যের চাপে আর এগোতে পারেনি। পৈতৃক কৃষি পেশা থেকে অন্ন বস্ত্র আসে। সরকারী হাসপাতালে ডাক্তার নেই,ওষূধ ...
গল্পটা শুনেছিলাম বেশ কিছুদিন আগেই, এক লোকের মানিব্যাগ চুরি গেল, দেখা গেল যে অন্যান্য কাগজপাতির কপি বের করলেও ক্রেডিট কার্ডের জন্য আর এপ্ল্যাই করেনা। কদিন পরে তার বউ ধরল, হ্যাঁগো! সব করছ, আর টাকাপয়সার এই জরুরী জিনিষটাই ব্যাঙ্কে রিপোর্ট করলেনা? ভদ্রলোক বিরস কন্ঠে বললেন গতমাসে দেখলাম তুমি প্রতিমাসে গড়পড়তা যা খরচ কর, তার চেয়ে চোর বাবাজী কমই খরচ করেছে। তাই যদ ...
উইকএন্ড আসলেই বুঝি না আমার বাংলা লেখার জন্য হাত নিশপিশ করতে থাকে। প্রতিবারই মনে করি ঢের হয়েছে বাবা এবার ক্ষান্ত দে। আন্ডার গ্রেডের সময় পত্রিকায় লেখালেখি নিয়ে মেতে না থাকলে জিপিএ টা মনে হয় আরেকটু উপরের দিকে পাখা মেলতো। সে যাই হোক।প্রতিবারই যখন ভুলে যাই, এবার আর বাদ যাবে বা কেন । কদিন ধরে ভাবছিলাম জিএম ফসল নিয়ে যখন এত কথা চলছে কিছু একটা লেখা উচিৎ।
জিএম ফসল নিয়ে লেখা শুরর আগে বলে ন ...
অন্য কোনো লেখকের সঙ্গে যোগাযোগ না রেখেও অসাধারণ লেখক হওয়া যায় [যেমন শহীদুল জহির], কিন্তু "পাঠক পাঠক ভাই ভাই, নতুন বইয়ের খবর চাই" নাহলে কোনো লাভ নাই। পাঠক হওয়া ভারী মুশকিল।
পারভেজ ভাই খোঁজ না দিলে হয়তো শহীদুল জহির পড়তে আরো অনেক দেরী হয়ে যেত। পাভেল ভাই একদিন আড্ডায় কালো বরফ না আনলে মাহমুদুল হক হয়তো পড়া হতো তাঁর মৃত্যুপরবর্তীতেই। অমিতাভ উপহার না দিলে শাহাদুজ্জামান কবে পড় ...