আকাশের কাছে বৃষ্টিকে সাবলেট দেয়া ছিলো,
তারপর থেকেই গ্যাছে দখলীস্বত্ব,
এখন কখন বৃষ্টি পড়ে, পড়েনা,
রংধনু ওঠে, ওঠেনা,
তার ‘পর আর কোন হাত নেই;
শুধু ভিজে যাবার জন্য এখনও দারুণ তৃষ্ণায়
কদমফুলের ঠোঁটের মতো শত শিহরণে
জেগে থাকি অপার অপেক্ষায়।
মানিব্যাগ থেকে ছলকে পড়ে তেমনই,
একটুকরো মেঘ কখন হারিয়ে গ্যাছে ফুটপাতে,
নাকি তাকেও আকাশ কুড়িয়ে পেয়েছে কখন কে জানে,
এখন আকাশের রোমশ বুকে কখন সে আসে, ...
এনসাইক্লেপিডিয়া ব্রিটানিকা---সেই বিশাল বড় ভারী ভারী বইগুলো, মোটা বাদামী রংয়ের বাঁধাই করা, সারি সারি করে সাজানো বইগুলো----কারো মনে আছে নাকি? আহা নস্টালজিক হয়ে গেলাম........উইকিপিডিয়ার তখনো নামও শোনে নাই কেউ, শুনবে কিভাবে, তার জন্মই হয় নাই! কিছুদিন পর যখন মাইক্রোসফট তার এনকার্টা এনসাইক্লোপেডিয়া বাইর করল, ৭ সিডির একটা কালেকশন, সেইটা কিনার পর যেইরকম একটা "কিং অব দা ওয়ার্ল্ড" ফিলিং ...
আর কিছুটি চাইনে আমার,
রত্ন কিবা ছাই-
একটা কেবল পোষ-মানানো
ড্রাগনছানা চাই।
আগুন ছুড়ে মারবে না সে,
আসবে না সে তেড়ে-
ছোট্ট হবে শিং দুখানি,
রাগ যাবে চোখ ছেড়ে!
একটু তারে ভয় পাবো না,
সেও পাবে না মোরে-
রোজ বিকেলে খেলতে যাব,
আমরা কেবল; জোড়ে!
চড়ব পিঠে আলতো করে,
লাগবে না ওর গায়ে-
নিজের সুখে উড়বে ড্রাগন,
সামনে-ডানে-বাঁয়ে।
মেঘের দেশে ঘুরতে যাব,
দুই মুঠিতে ভরে-
আনব কিছু মেঘের গুড়ো,
রাখব যতন করে। ...
০৩
জ্যানসবোর্গ স্কুলের বয়স প্রায় তিনশ বছর। সুদীর্ঘ এই সময়ের জন্য স্কুলটির বেশ গর্ব আছে। স্কুলের প্রথমাবস্থায় শুধু একটা চার্চ আর ছেলেদের থাকার জন্যে একটা বিল্ডিং ছিলো। ছেলেরা যেখানে থাকতো, সেখানেই পড়াশোনা হতো, খাওয়া দাওয়া হতো। এখন অবস্থা বদলেছে। নতুন লাল ইটের একটা কমপ্লেক্স তৈরী হয়েছে। এই কমপ্ল ...
আমাদের ওখানে প্রথম বইমেলা হলো ঘোর বর্ষায়, তখন আমরা সবে উঠেছি ক্লাস নাইনে। এতদিন শুধু আমরা শুনে এসেছি কলকাতায় বইমেলা হয় শীতের শেষে, সে এক দুর্দান্ত কান্ড, কিন্তু অতি অল্প কয়েকজন ছাড়া সেই বিরাট বিখ্যাত বইমেলা দেখার সৌভাগ্য কারুর হয়নি৷ ইস্কুল থেকে দিদিমণিরা নিয়ে চললেন আমাদের, রাস্তা জলেকাদায় ভর্তি, মেলা-প্রাঙ্গন কাদা প্যাঁচপেঁচে যথারীতি, কাঠের পাটাতন পেতে পেতে চলার জায় ...
(১) – ফলেন পরিচিয়তে...
নিউ ইংল্যান্ড অঞ্চল তার ফল সিজনের রঙবাহারের জন্য সুপরিচিত বইকি। যাঁরা আমেরিকায় থেকেও এখনও সেইটা দেখে উঠতে পারেন নি, তাঁদের কর্তব্য হবে চট করে সময়সুযোগমত এসে দেখে যাওয়া। অক্টোবরের দিকে চলে আসেন। একটু দূরে যাবার ইচ্ছা হলে মেইন বা নিউ হ্যাম্পশায়ারের পাহাড়শ্রেণী রয়েছে, আকাডিয়া ন্যাশনাল পার্ক রয়েছে। আর কাছেপিঠে যাবার ইচ্ছা হলে, কয়েক ...
রাস্তাটা চওড়া ও পীচঢালা। রাস্তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাওয়া সাদা দেয়ালের ওপাশে সুখী ও স্বচ্ছন্দ মানুষেরা বাস করেন কারণ তাদের জানালা দিয়ে আকাশ দেখা যায়। গায়ে গা লাগানো একজোড়া দোকান আছে। দোকানের পাশে গাছ আছে।
এই রাস্তা দিয়ে আমি প্রতিদিন যাই। সাদা দেয়ালের গায়ে রাতে রাতে মেরে যাওয়া চিকা দেখি - ‘লোগাং, লংগদু, সাজেক, মহালছড়ি - পাহাড়ে গণহত্যা আর কতদিন?’, ‘পণ্য দস্যুর হাত থেকে শিক্ষ ...
হাতি মেরা সাথী
(সঙ-বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ : এই ছুপান্যাসের সগোল চরিত্রই বাস্তব। অজীবিত বা মৃত কোনো মালের লগে ইহার কোনো মিল নাই। কোনো অমিল পাওয়া গেলে তা লেখকের ভাব বলে ধরে নিতে হবে।)
শেখ বাদশাকে নিয়ে একটি গল্প লেখা দরকার। কারণ শেখ বাদশার মুখে গোঁফ। মোটা মাথা। এককালে ঝাকড়া চুল ছিল। চোখ দুটি বড়ো। যখন হাসে তখন বোঝা যায় শেখ বাদশা চলছে। যখ ...
কোনদিন পথ খুঁজে যদি
ফিরি আমি তোমাদের পিঁড়িপাতা নিকানো উঠোনে
তুমি বেড়ে দিও এক থালি নুন মাখা ভাত
একটু সালুন দিও, আর দিও এক ঘড়া জলের আস্বাদ।
তুমি তো জানোই আমি কি ভীষণ তিয়াস নিয়ে
এই মাঠ, এই প্রান্তর, এইসব বাতাসের ঘ্রাণ শুঁকে শুঁকে
বেভুল ফিরেছি ঘুরে-
চৈতন্যের খরাদাহে সম্পন্ন বর্ষণের স্বপ্নিল অন্বেষণে
এক বুক কাদাভেজা আশার জমিনে।
আমিতো গায়ের ছেলে-
চিলমারীর বন্দরে আমার গাড়িয়াল প্র ...
মানুষ প্রতিনিয়ত বাস করে অনুভব-অনুভূতির ভেতর, শুধু মনের প্রশ্নরা ঘুরে বেড়ায় সময়ের রূপ-রেখায়; তাকে সমীক্ষা করলেই তো হয়! কেন মানুষ প্রতিনিয়ত বাস করে ধ্বংসের ভেতর? মানুষ কেন প্রতিনিয়ত ধ্বংস হয়, এই যে নির্মাণ ঠেলে আমরা হাঁটছি নতুন পথে, নতুনের সন্ধানে। নতুন আহরণ যে আনন্দ থাকে, পুরাতন বর্জনেও আনন্দ থাকে সমপরিমান।হয় শুধু সময়ের ফারাক।পৃথিবীর সকল শুন্যতা মানুষেরই তৈরি, আবার মানুষেই খুঁজ ...