তখন কন্টাক্টরি করতাম। কাজটাজ জিগায়ো না। অর্ধেক ঘুষ দিয়া ভালো কাজ হয়না। তবে আল্লায় দিলে অখোনো কিসু ভাইঙ্গা পড়ে নাই।
সরকারি অফিসে ছোটোমোটো কেরানির চাকরি করত রোটেনের মায়। রোটেনের বাপ নাই। এই নিয়া রহস্যও নাই। রোটেনরে আমি প্রথম দেখি তার মায়ের অফিসের উল্টা পাশের চায়ের দোকানে। কোনায় বইসা ছবি আঁকে। ভ্যান্দা মতন পোলা। সেই সময় আমারও অফিস ঐদিকে আসিল। আমি চা খাইতে আইসা পোলাটারে পাইলাম ...
এই তবে সেই প্রেমের সোপান
এই তবে সেই গোলাপের স্তম্ভ
যেখানে দাঁড়িয়ে তুমি শুনেছিলে কোকিলের শীষ-বার্তা
মানবিক পতাকার ছায়াতলে যেদিন আমরা রচনা করেছিলাম সভ্যতা
এই তবে সেই যুদ্ধের প্রাঙ্গন
এই তবে সেই মৃত্যুফাঁদ
যেখানে বাড়িটা ফাঁকা মাঠ
পুকুরের জল শ্যাওলা-সবুজ
ঢেউয়ের বুক ফুঁড়ে মেছো সাপ তড়িত পালায়
ঘাটে মরা মাছরাঙাটার নীল পাখনায় শেষ সূর্যের আলো
এই তবে সেই গানের অন্তরা
এই তবে সেই ম ...
রশিদ লতিফ লোকটারে এমনিতেই দেখতারিনা দুই চোক্ষে, [তার কুকীর্তির কথা যদি কাউরে পুনরায় বলে দিতে হয় তাইলে তার এই পোস্ট পড়ার দরকার নাই] তার উপরে কালকা মেজাজ আরো গেলো গরম হয়া। প্রথম আলোতে তার সাক্ষাতকার পরে জানলাম আফগানিস্তান ক্রিকেট টিম নাকি এই মুহূর্তে বাংলাদেশের চেয়ে ভালো দল, পাকিস্তানরে তো হারাবেই, বাংলাদেশরেও নাকি হারাবে। আর তিন বছরের মাথায় টেস্ট খেলবে তারা।
পাকিস্তান টিমরে ...
বাবা, ঐটা কি?
-মন্দির
মন্দিরে কি হয়?
-ঐখানে ঠাকুর আছে, লোকে ঠাকুরকে পূজো দেয়।
পূজো কি বাবা?
বাবা চিন্তায় পড়ে যায়, এইটুকু মেয়েকে কি করে বোঝাবে, পূজো কি!
সেদিন অহনা বোঝেনি, পূজো কি। মা পরে শিখিয়েছে, ঠাকুর কি, কিভাবে পূজো দিতে হয়। মায়ের সাথে আয়োজনে কত্ত বসেছে সে। মা তো খুশি, ঠাকুর খুশি হোক না হোক!
অনেক বেলা গড়াল। অহনা কাউকে শুধায় না, পূজো কি? একদিন ঠাকুরকেই শুধিয়েছিল, তোমাকে কেন পূজো ক ...
একটা সাইকেল আমার শৈশবের অনেক বড় আনন্দের উপাদান হয়ে ছিলো। সাইকেলে চড়তে শেখা, প্রথমে সাইকেল হাতে নিয়ে ছোটা, তারপর বাঁকা হয়ে মাঝখানের ফাঁকা দিয়ে পা ঢুকিয়ে অনেক কসরত করে চালানো কারন সিটে বসে প্যাডালের নাগাল পেতামনা! তারপর এক দিন রডের উপর বসে “ব্যথা” উপেক্ষা করে তুফান বেগে সাইকেল চালানো। ঝুঁকিপূর্ণ, জান হাতে নিয়ে চালানো যাকে বলে!
তারপর কোন একদিন আবিষ্কার করলাম সাইকেল চালানো আসলে হচ ...
আমার মনের মধ্যে আঁকাএই হ্যারিটাকেই খুঁজতে গিয়েছিলাম লাইন ধরে, পেলাম না। তারপরও প্রতিবারই যাই......আসলে বইয়ে পড়া সেই অসাধারণ আনন্দটা প্রথম দুই পর্বের পর কখনই পাইনি। তার উপর আমি আবার ভয়ানক ভক্ত ক্রিস কলাম্বাসের।
আমার সবচেয়ে বড় অভিযোগ হ্যারির সঙ্গে ডাম্বলডরের যে অসাধারণ সম্পর্কটা সেটা এবারো ফুটলো না, প্রথম দুই পর্বে যেটা ছিলো আর যেটা পেলামনা সেটা হ্যারির সেই অসীম প্রশ্নে ভরা চোখ ...
(এই লেখাটির একটি উল্লেখযোগ্য অংশ স্যাম হ্যারিসের ধর্ম এবং মাদক[১] লেখাটি থেকে অনুদিত বা অনুপ্রাণিত।)
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মত বাংলাদেশেও আনন্দ লাভের কতিপয় উপায় নিষিদ্ধ। আপনি যদি এইসব নিষিদ্ধ উপায়ে, নিজের ঘরে বসে, কারও ক্ষতি সাধন না করে আনন্দ লাভ করতে চান তাহলে খুব সম্ভবতঃ একদল ঠোলা বন্দুক হাতে আপনার দরজায় লাথি মেরে বলতে পারে, এই ব্যাটা দরজা খোল। সবচ ...
একা ঘরে, একাকী বেজে ওঠে কিছু নীরবতা, কিছুটা দীর্ঘশ্বাস। এই সুযোগে কথা আর বিষণ্নতা নিরাপদ ভেবে সুঁইয়ের ছিদ্রপথে তুলে রাখছে ডরালোক হাওয়া; ফলে স্মৃতিচোখ খুলে রাখছে পোষাপ্রস্তুতি অতীতজ্বলা... রূপগল্পের ভেতর এমন বধির হবার কথা ছিল কি-না জানতে আশারা দিচ্ছে পাহারা
স্বপ্নপাহাড়ে মিশে যাবার আগে পেঁচিয়ে ধরো নির্দিষ্ট রেখা, ওসব আঁধার খুলে নামাও, যতদূর চোখ যায় ততদূরে নামতে দাও দিকনির্দেশন ...
ঝকঝকে মলাটবাঁধা খাতা টমেটোরঙ কৈশোরের,
আর একটা যুৎসই কলম -
সেই কবে যে খোঁজা শুরু আমার।
ইকোনোঃ হলুদ - কালো, কালো - নীল ডোরাকাটা।
'সেলো' তে অক্ষরগুলো ষোড়শী কি তরুণী।
আর জেল-পেন এ বেনীআসহকলা -
ঝিকিমিকি - চকচকে, শব্দের শার্ট পরা।
একটা যুৎসই কলম খোঁজা দোকানে - দোকানে,
সকাল, দুপুর, গোধূলী, বিকেল, ভর সন্ধ্যায়।
মলাটবাঁধা খাতা সেই কবে থেকে একা।
ওখানে ভালো ভালো কথা লেখা হবে।
আপাতত লেখা ঝরে, ঝরে ...
দেশে ফেরার ঠিক আগের সপ্তাহটা ভালোই কাটলো নাইরোবিতে। একটা আন্তর্জাতিক সংস্থার কনফারেন্স ছিলো নাইরোবিতে। ওখানে এসেছিলেন দুজন বাংলাদেশি, যাদের একজন আবার আমার সাবেক সহকর্মী এবং বন্ধু। রোজ সন্ধার পর আমি আর বন্ধু বেরিয়ে পড়তাম। তিনি নাইরোবিতে এর আগে অনেকবার আসলেও শহরটা আমার মতো চেনেনা। তাই আমিই হতাম গাইড। ইনডিয়ান রেষ্টুরেন্ট, কাবাবের দোকান, শপিং মলগুলো, এইসব ঘুরে ঘুরে বেড়াতাম সন ...দেশে ফেরার ঠিক আগের সপ