Archive - 2010

November 13th

এই তো জীবন!

মেহবুবা জুবায়ের এর ছবি
লিখেছেন মেহবুবা জুবায়ের [অতিথি] (তারিখ: শুক্র, ১২/১১/২০১০ - ১১:৩১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমার ছেলে স্কুল বাস্কেটবল টিমে এক পয়েন্টের জন্য সুযোগ পেলো না। ভালো করে কথা ফোটবার আগেই সে ঘোষণা দিয়েছিল, বড় হয়ে সে NBA বাস্কেটবল প্লেয়ার হবে। দুই-তিন বছর বয়সে যখন সে প্রবল দোটানায় ভুগছে ডায়নোসরাস না পাওয়ার রেঞ্জার
কোনটা হবে, তখনো বলতো “ABA ডায়নোসরাস” বা কখনো “ABA পাওয়ার রেঞ্জার" হবে।

বাপের কোলে বসে বাস্কেটবল খেলা দেখতে দেখতে সে বড় হয়েছে। বাবার বাস্কেটবলের প্রতি অনুরা ...


হাতের মুঠিতে আমার অনেক অন্ধকার

সৈয়দ আখতারুজ্জামান এর ছবি
লিখেছেন সৈয়দ আখতারুজ্জামান (তারিখ: শুক্র, ১২/১১/২০১০ - ১১:১৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এভাবেই সাক্ষী হয় সময়! তখন সন্ধ্যার সময় হয়েছে বলা যায় গোধূলী পেরিয়ে সবকিছু নিভে গেছে তখন বৃষ্টির পালা শেষ হয় হয় তখন হাতের মুঠিতে আমার একটা কদম নিস্তেজ সবুজ কিছু ডালপালা আরো হেঁটে হেঁটে ক্লান্ত তবু পথের অনেক বাকি... যখন পথটা হঠাত থমকে দাঁড়ালো তখন তোমার বাড়িতে এতো উৎসব জ্বলে নেভে বাড়িতে সানাইয়ের এতো সুর! আমার অনেক অনেক দেরি হয়ে গেছে... তখন হাতের মুঠিতে আমার অনেক অন্ধকার


প্রতিদান

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ১২/১১/২০১০ - ১০:৩১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রতিদান
-সাদ মাহবুব
১.
সজীব আহমেদ অস্ট্রেলিয়া এসেছে মাস তিনেক হবে। সারাদিন রুমে একা একা সময় কাটে তার। দেশে বাবা মা আর ছোট একটা বোন আছে। এখানে আসার মাস দুয়েক আগে break up হয়ে গেছে girl friend এর সাথে। single ছেলেদের যা হয়-আশেপাশে মেয়ে দেখলেই গিলে খেতে ইচ্ছা হয়। আর যদি চেহারা ও দেহ সুন্দর হয় তাহলে তো কথাই নাই।

বিদেশের মাটিতে প্রথম আজ পাঞ্জাবী পড়েছে সে। একটা বাংলাদেশী মেলা ছিল। সেখান থে ...


সখি ভালবাসা কারে কয়

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ১২/১১/২০১০ - ৯:৫৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

হঠাৎ লোকটাকে দেখে চমকে উঠল মিতা। কেমন যেন চেনা চেনা। আর কেমন একটা অদ্ভূত অনুভূতি।ভিষন ভির বাসে। তবুও ভাল এখন এইসব ডাইরেক্ট বাস পাওয়া যায়। আগেত একটা সি এন জ়ি র জন্য হা পিত্তেস করে বসে থাকতে হত। মিতা বনানীতে একটা প্রাইভেট ফার্ম এ কাজ করে, আর ওর বাসা মালীবাগ।প্রতিদিন সকালে এক যুদ্ধ অফিসে যাওয়া নিয়ে। প্রায় ৫ বছর হল মিতা এই অফিসে আছে কিন্ত এখনও এই সকাল যুদ্ধটা গা সওয়া হল না।আর ভিরের ম ...


কৌটোর গুণ

সুরঞ্জনা এর ছবি
লিখেছেন সুরঞ্জনা (তারিখ: শুক্র, ১২/১১/২০১০ - ৯:৩৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমাদের শহরে মায়েদের রান্নাঘরে থাক থাক তাক।
সেই তাকে রঙিন সুগন্ধী সারি সারি কৌটোয় মায়েরা তাদের মেয়েদের তুলে রাখেন।
 
সবার কৌটো মাপ মতো। সবার মনেই ভালবাসা, সবার মুখাবয়ব করুণাময়ীর।
তাহলেও...
কৌটো কেন?
কেউ হয়তো জিজ্ঞাসা করেন।
দেয়া-নেওয়ায় ভারী সুবিধে, আর বাসিও হয় না। প্রসন্ন জননীর সহাস্য উত্তর।
 
এই বাড়ির মা আজকে মেয়ে কে কৌটোয় তুলতে গিয়ে বার বার হেনস্তা হচ্ছেন।
...


বহিরাগত

নীল রোদ্দুর এর ছবি
লিখেছেন নীল রোদ্দুর [অতিথি] (তারিখ: শুক্র, ১২/১১/২০১০ - ৯:৩২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সারভাইভাল অফ দ্য ফিটেস্ট! এই নিদারুন সত্যটা মনে হলেই একটা হতাশাজনক অনুভূতির মুখোমুখি পড়ে যায় অরনী। একটা ভয়ঙ্কর তিতকূটে স্বাদে ভরে যায় সমস্ত মন। ছাব্বিশটা বছরেও একবারও অরনীর মনে হয়নি, সে এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকার যোগ্য। মনে মনে খুব বেশী হিংসে হয় রাসেলকে। সেই ছোট্টবেলায় বন্ধুটা তাকে ফেলে চলে গেলো পরপারে, তার ছোট্টমনে একটা ধাক্কা দিয়ে। সেদিন রাসেল সাঁকো থেকে পড়ে গিয়ে পরপারের ...


November 12th

মান্নান সাহেবের অসুখ

মনামী এর ছবি
লিখেছেন মনামী (তারিখ: শুক্র, ১২/১১/২০১০ - ১:৪৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

খুব সম্ভবত পার্কিনসন্সের রোগী লোকটা। হাত কাঁপছে অনবরত, শরীরটা ঝুকে আছে সামনের দিকে। ঠোটের কিনারে খানিকটা ঝুলে আছে জিহ্বা। ঘোলাটের চোখের মনিটা স্থির হচ্ছেনা কিছুতেই। কিন্তু কণ্ঠের দাপট বুঝিয়ে দেয় জীবন এখনও পিছু ছাড়েনি কিংবা তিনি ছাড়তে দেননি।

চার হাজার টাকা দিবেন একশো টাকায়।

দুই হাজার দিলে হয়না মান্নান ভাই, একশো টাকার নোট একটু শর্ট আসে।

না, না, হবে না ঈদের সময় না!

আরে ভা ...


ড্রাগন

সিরাত এর ছবি
লিখেছেন সিরাত (তারিখ: শুক্র, ১২/১১/২০১০ - ১২:৪৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

small

কেন জানি ছোটবেলা থেকেই রূপকথার প্রতি আমার ভয়াবহ আকর্ষণ। ডালিম কুমার আর ঠাকুর্মার ঝুলি পার হওয়ার পর ভাল লাগতো মালাকাইটের ঝাঁপি আর গ্রীস ও ট্রয়ের উপাখ্যানমার্কা 'মিশ্র' ঘরানা-র গল্পগুলো। মালাকাইটের ঝাঁপি আমার অসম্ভব প্রিয় একটা বই ছিল; প্রগতি প্রকাশনীরই কি না, এরকম আরো কিছু বই ছিল, নাম ভুলে গেছি।

এরপর, 'প্রপার' মাইথোলজি পড়া শুরু করার আগেই ...


পূর্ণহৃদয়জুড়ে

সৈয়দ আফসার এর ছবি
লিখেছেন সৈয়দ আফসার (তারিখ: শুক্র, ১২/১১/২০১০ - ১১:৫১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এখনই যাবে, এই ভরসন্ধ্যা বেলায়?
যাও তবে, প্রতীক্ষায় থাকলো চোখ—
ক্ষুধার্ত বুক, আরো কিছু প্রহর…

নীরবে যতদূরে যাও মিশে আছো ঊর্ধ্বশ্বাসে
শুধু অজানা কতটুকু নিঃশ্বাস জড়াবে বিরহে
দৃষ্টি যতদূর যাবে আমিহীন রাত্রিবহর খুলে
মনেরকথা রেখে যাবে কিন্তু পূর্ণহৃদয়জুড়ে
________
১১-১১-২০১০


পিঁপড়ায় খাওয়া কবিতার ৩ টুকরা

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ১২/১১/২০১০ - ৫:২৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১.
একটা শীর্ণ গোলাপগাছের গোড়ায় হাঁটতে গিয়া
দুইটা কালো পিঁপড়া পরস্পর প্রেমে পড়তেছিল।
পরদিন ছেলে পিঁপড়াটি ডালে ডালে ঘুরে ঘুরে অন্য পিঁপড়াটিকে খুঁজে।

সে তখন গাছটার আধমরা পাতায় পাতায় শুয়ে ঘুমায়।

২.
একাকী মানুষদের ভাবনায় পিঁপড়েরা হাঁটে
নির্জন মানুষদের স্বপ্নে জমে ওঠে মৃত ম্যাপল পাতার স্তুপ,

ম্যাপল গাছের ডালে শুক আর সারি কিছুক্ষণ বসিয়া থাকিল নিশ্চুপ।

৩.
শৈশবে এক কাগজের নৌক ...