সময়টা প্রায় দুপুর। অর্পিতা হাফ ইয়ার্লির খাতা নিয়ে বসেছে। হাতে একটা হলুদ কলম যার কালি লাল। ডান গালে একটা লাল রেখা। তর্জনীতে লেপটানো লাল কালি। ছুটির আর মাত্র দিন তিনেক আছে অবশিষ্ট। এর মধ্যে শেষ করতে হবে এত এত খাতা। কাগজের খস খস গা শিউরানো কর্কশ শব্দ ছাড়া এ ঘরে আর কোনো শব্দ নেই।
এটা ছোট্ট গোল কাচের টেবিল, নিচু, গাঢ় রঙের। খাতাগুলো ছড়ানো টেবিলে। অর্পিতার বাদামী-খয়েরী মগ এক পেট চা নিয় ...
"ফটোগ্রাফাররা হইল গিয়া কড মাছের মতন। ডিম পাড়ে লাখ লাখ, টিকে মোটে একখান।" *
সেকাল, একাল এবং আকাল...
গরমের দেশের মানুষ আমি। মাথায়, পিঠে সূর্যের প্রখর তাপের আদর নিয়ে বড় হয়েছি, বেড়ে উঠেছি। এই আমাকে হঠাৎ করে চৈত্র মাসের কড়া রোদ থেকে তুলে নিয়ে ডিপ ফ্রিজের মধ্যে ঢুকিয়ে দিলে কেমনে সহ্য হয়! আর প্রকৃতিও, মশকরা করতে বড় ওস্তাদ। সারাজীবন শুনে আসলাম, এই শহরে তুষারপাতের রেকর্ড খুব নগণ্য। হয় না বললেই চলে। পঞ্চাশ বছর আগে নাকি জম্পেশ তুষারপাত হয়েছিলো।
তো আমি মনে মনে এ ...
অবশেষে জলে কচুরিপানার সাথে সাঙ্গ দিয়ে ফুটছে
দেখো লাবণ্যময়ী শাপলাফুলসহ প্লাবিত দেহফুল!
সাঁতার শিখবো বলে নেমেছি স্রোতে ভাসা উজান জলে
বয়সটাও ছিল উড়ুউড়ু কোমলচিত্ত চাঞ্চল্য বনের বাদর
আমার সাথে নিমজ্জিত হতো চেনাঘ্রাণ আর বৃষ্টির জল
তার স্পর্শে প্রথম তৃপ্ত অনুভব করে কায়ার ভেতর একা
একাকী ডুবে থাকি দিকচিহ্নভরা মুহূর্তের জলে
বাতাসে পূরবীর সুর, বৃষ্টির ঝংকার
দেখে নিথর আমার পলিমা ...
এই লেখাটি মাসুদা ভাট্টি সম্পাদিত পাক্ষিক একপক্ষতে (পাক্ষিক একপক্ষ বর্ষ ১ সংখ্যা ৮, ১-১৫ কার্তিক ১৪১৭) প্রকাশিত হয়েছে ১৫ অক্টোবর ২০১০ তারিখে। সচলায়তনের নীতিমালা মেনে এটিকে প্রথম পাতায় প্রকাশ করিনি তবে ভবিষ্যতে তথ্যসুত্র হিসেবে কাজে লাগতে পারে বলে নিজের ব্লগে রেখে দিলাম।
ভূমিকাঃ
একটি দেশ গড়ে উঠে রাজনৈতিক ভাবে, ফলে তার একটি রাজনৈতিক গন্ডি বা সীমারেখা থাকে। অন্যদিকে নদীর জন্ ...
দিন চলে গেলো গুণ গুণ করে, চ্যাপ্টারের পর চ্যাপ্টার চলে যেতে যেতে একসময় দেবুস্যর কেন জানি নিরুৎসাহ করতে শুরু করলেন৷ এদেশে নাকি গবেষণা খুব বড়োলোক আর খুব ইনফ্লুয়েনশিয়াল পরিবারের না হলে করা যায় না, তাই একটু ভালো ছাত্রেরা হায়ার সেকেন্ডারিতে প্রাণপণে তৈরী হয় জয়েন্ট পরীক্ষা দেবার জন্য, যাতে ইঞ্জিনিয়ারিং বা মেডিকেলে একটা চান্স কোনোরকমে পেয়ে যায়৷ না পেলে তখন জেনারেল লাইন ...
ইন্টারনেট
ছিপ নিয়ে মাছ ধরতে বসি অবসন্ন পুকুরটাতে
এক হাতে এক ধেড়ে ইঁদুর, প্রিয়ার শাড়ি অন্যহাতে।
জল ঘুলিয়ে নোংরা করি অন্ধকারে পৌষমাসে,
পুকুরজলে হাজার হাজার মরা ইঁদুর খেলতে আসে।
শাড়ির ছলে জাল ফেলি রোজ, ছিপের চেয়ে জালই ভালো,
নরম নরম মাছ পড়েছে, নরম নরম চাঁদের আলো।
মাছের পেটে মরা ইঁদুর,জলে আঁধার --- শ্যাওলা ভাসে,
জংলা বুনো লতাপাতা আড়চোখে চায় --- মুচকি হাসে।
অন্ধকার হাঁ করে আর গিলতে চায় ...
"Memories are all we end up with. At least pick the nice ones."
- Morales
[The Secret In Their Eyes (El Secreto De Sus Ojos)]
মৃত্যুর পূর্বমূহুর্তে শহরের লোকেরা নাকি ফিসফিসিয়ে 'নির্জনপুর ! নির্জনপুর !' বলে থাকে। এই শহরের মানুষেরা মুখোশও পড়ে থাকে সবসময়ই- হয়তো মৃত্যুর সময়েও তারা সেটি খুলে নিতে অলসতা বোধ করে। কাজেই ঠিক মরণের ক্ষণে সেইসব ফিসফিস স্বরকে তাদের মুখোশের অন্তরালের প্রলাপ বলে আখ্যা বোধহয় দেয়া যায়। অথবা ইটের, অথচ মানুষের, শহরে আজীবন নির্জ ...
স্রী শুধায়, চাল ফুরালো, ডালও শেষের দিকে
অফিস ফেরত ক্লান্ত স্বামীর মুখটা ঠেকে ফিকে।
সাবান মাখেন গালে, সাথে ভাবেন সমান তালে
আয়ের চেয়ে খরচ কিবা কমবে কোনকালে?
চোখ জ্বলে বেশ, তাই তিনি তার হাতটা চালান জোরে
পাড়ার সকল ছেমড়া-ছোড়ার আড্ডা গলির মোড়ে।
মেয়ে পড়ে তার ইন্টারে, বেশ দেখতে লাগে তাকে,
বাড়ির পথে গলির মোড়ের কেউ কি তাকে ডাকে?
টেনশনে আর হয় না গোসল, গলির দিকে ছুটেন
সিড়ির গোড়ায় মেয়েকে দে ...
এটি une saison en enfar এর শেষ বা সপ্তম অধ্যায়। এই অধ্যায়ের শিরোনাম adeu। ধারাবাহিকভাবে দেয়া গেল না বলে দুঃখিত।
_________________________
বিদায়
শরত্ চলে এল। তবে কেন আক্ষেপ অনন্ত গ্রীষ্মের , যদি আমরা মগ্ন থাকি সেই মহিমান্বিত আলোর উদ্ভাবনে -নশ্বর লোকালয়গুলো থেকে যা দূরবর্তী।
শরত্! স্থির কুয়াশা ভেদ করে ছুটে চলেছে আমাদের জাহাজ, গন্তব্য দারিদ্র্যের বন্দর-সেই বিকট শহর যার আকাশ রাঙানো থাকে আগুন আর কাঁদায়। আহ ...