তখন ক্লাস নাইনে পড়ি। ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের ছাত্র। ফাইনাল পরীক্ষার রেজাল্ট দিয়েছে। সাধারণ গণিতে ৬৫ পেয়েছি। সব বিষয়ের মধ্যে সেটাই সর্বোচ্চ। উচ্চতর গণিতে কোনমতে পাস করেছিলাম শুধু। বাবা-মা দু’জনই মহা দুঃশ্চিন্তায়। এহেন অবস্থা থাকলে তো ছেলেকে এসএসসিতে স্টার মার্কস পাওয়ানো প্রায় অসম্ভব! কাজেই, আমার স্বল্প আয়ের বাবা আমাকে অংকের টিচারের কাছে প্রাইভেট পড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলেন। বাড়িভাড়া, ইলেকট্রিক-গ্যাসের বিল, স্কুলের বেতন- এসব দিয়ে মা’র হাতে সেসময় সর্বসাকুল্যে ৪০০০ টাকার মত থাকত- সারা মাস ৪ জনের এ পরিবারটিকে চালিয়ে নেয়ার জন্য। এর মধ্যে এখন যোগ হল ৮০০ টাকা- মানিক স্যারের মাইনে।
এইটা কি আদৌ কোন গল্প হইল কিনা- জানিনা। গল্প লেখার চেষ্টাও বোধ হয় করিনি। শব্দ নিয়ে কিছু খেলা করলাম মাত্র।
>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>
এখানে বনের কাছে ক্যাম্প আমি ফেলিয়াছি;
সারারাত দখিনা বাতাসে
আকাশের চাঁদের আলোয়
এক ঘাইহরিণীর ডাক শুনি,–
কাহারে সে ডাকে!
[justify]একটি ভাষা শুধু তার সংস্কৃতির পরিচায়কই নয় বলতে গেলে ভাষাকে ঘিরেই গড়ে উঠে সংস্কৃতির অবকাঠামো।মানুষের আচার অনুষ্ঠান, উৎসব, সামাজিকতা, চাল চলন, বিনোদন সেই অবকাঠামোটির একটা অবয়ব দেয় মাত্র।তাই ভাষার সমৃদ্ধতা যেমন সংস্কৃতিকে পরিপুষ্ট করে তেমনি ভাষার দৈন্যতা সাংস্কৃতিক দৈন্যতারই বহিপ্রকাশ।তবে বাংলাদেশে থেকে পহেলা বৈশাখে ছোটবেলায় বাবার সাথে সাতসকালে হালখাতা খেয়ে কিংবা যৌবনে রমনার বটমুলে এসো হে বৈশাখ গানের সাথে নববর্ষের সুর্যোদয় দেখে, বা পহেলা ফাল্গুনে বাসন্তি রঙের বসন পরে চারুকলার আশেপাশে ঘুরে বেড়িয়ে যে বাংলা সংস্কৃতিকে অনুভব করতে পারিনি তা পেরেছি এই সংস্কৃতির বেদি থেকে থেকে হাজার মাইল দূরে এস
নিশ্চিত পরশুই ফিরবে তাই... যদিও এ আশায় দুপুর এগিয়ে যাচ্ছে ঠিকঠাক, বিকেলও গড়িয়ে সন্ধ্যা নামবে এইখানে, ওই দিঘির পাড় ঘেঁসে ঘনজলে। সাপ্তাহে একদিন ছুটি,... ইচ্ছে দু'দিন চাই, এই লোভে কখনও না-বলে চলে যাও! বুঝতে পারি না কখন ফিরবে… ফেরার পথে খুলে রাখি চোখ, কিন্তু স্বপ্ন খুলতে পারি না। কখনও না-ফেরার ক্ষণ এত দীর্ঘ হয় যে, অপেক্ষা টানতে টানতে ছিঁড়ে যায় অনিশ্চয়তাসহ দীর্ঘশ্বাসের নাড়িভূড়ি
লেখার শুরুতে একটি দুঃসংবাদ দিয়ে শুরু করি। অতি সম্প্রতি উত্তর আমেরিকার একটি বহুল প্রচলিত বাংলা ম্যাগাজিন পড়শী বন্ধ হয়ে গেল। দশ বছর ধরে চলার পর এই পত্রিকাটি বন্ধ হয়ে গেল। কারণ হিসেবে সম্পাদক সাবির মজুমদার জানালেন:
‘পড়শী’র আর্থিক অবস্থা দিনে দিনে শুধু খারাপই হচ্ছিল এবং ‘পড়শী’র প্রকাশনা বন্ধ না করে আর কোন উপায় ছিল না।
এই পত্রিকায় ২০০৮ এ আমার একটি লেখা ছাপা হয়েছিল। সেকারনে খানিকটা খারাপ লাগা ছিল। কিন্তু শুধু অর্থনৈতিক কারণের বাইরে আমার আরো কিছু ব্যাপার গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে।
তার বাড়িতে
স্বপ্নরা এসেছে দেখতে নীল-নাক-ফুল
ঘরময় শয্যায় ঝরে আছে ফুল
সে ঘুমিয়ে আছে
তাকে ডাকা যাবে না এখন
কাহিনীর অপশব্দ শুনি
জানাতে যেওনা ওকে,
সম্পর্কগুলো ভাঙছে রাতদিন
কেউ যেন বলো না তাকে
গত বারের লেখায় মেন্ডেল সায়েবের কিঞ্চিৎ বদনামের কথা তুলেছিলাম, তাতে সায়েবের জন্য অনেকে সমব্যথী হয়েছিলেন। এবার তাহলে সুনাম নিয়েই কিছুমিছু কথা হোক, আরেক জীববিজ্ঞানী সায়েবকে নিয়ে। জে.বি.এস. হল্ডেন।
(১)
গত শতকের প্রথমার্ধে হল্ডেন ব্রিটিশ জীববিজ্ঞানের জগতে এক প্রখ্যাত নাম ছিলেন। বায়োমেট্রি অর্থাৎ সংখ্যাভিত্তিক বায়োলজি নিয়ে ওনার সুবিদিত কাজ ছিল। নানা গাণিতিক মডেল উনি আবিষ্কার করেন। (আমাদের জননকোষে পিতা ও মাতার ক্রোমোজমে জিন আদান-প্রদানের যে ঘটনা ঘটে, যাকে রিকম্বিনেশন বলে, তার হার নিয়ে একটা ফর্মুলা দেন; আবার অর্থাৎ জনগোষ্ঠীর হ্রাস-বৃদ্ধির হার নিয়েও ফর্মুলা দেন।)
কিন্তু যে ব্যাপারটার জন্য হল্ডেনকে আমার বিশেষ পছন্দ, সেটা এই, যে উনি শুধু থিয়োরি-ধাঁচের কাজই করতেন না, হাতেকলমে প্রচুর এক্সপেরিমেন্ট করতেন।