ধৈবত
নিম্নোক্ত গল্পের সমস্ত চরিত্র এবং ঘটনাই বাস্তব। কাল্পনিকতার সাথে এর সংলগ্নতা কল্পনা করা নিতান্তই অনভিপ্রেত অতিকল্পনা মাত্র
[justify]
“তোদের গ্রামটা তো খুব সুন্দর।”, অনেকটা আপ্লুত হয়েই আমাকে বলল কামাল।
“সোন্দর্য, বেশি গিলিসনা, দেখেশুনে পা চালা। রাস্তায় বাচ্চা পোলাপান হেগে মুতে রাখে কিন্তু”
দুনিয়ায় আমার সবচাইতে অপ্রিয় কাজ রান্না করা। অপ্রিয় কাজের মধ্যে 'খাওয়া'ও আছে। তবে ওটা প্রথম সারিতে পড়ে না। রান্না করার একমাত্র ভালো দিক হচ্ছে রান্নার সময় পড়াশোনার চাপ থাকে না। তাই রাঁধতে রাঁধতে ব্লগ লেখা যায়। ঢাকায় যখন একা ছিলাম তখন অবশ্য দীর্ঘদিন রান্না করেছি। তবে কিনা, বেঁচে থাকার জন্য কোন রকমে খাওয়ার পক্ষপাতি ছিলাম বলে রান্নার উপাদান সীমাবদ্ধ থাকত আলু, ডাল আর ডিমে। মশলা অবশ্যই সবসময় পেঁয়াজ মরিচ আর লবন। এর বাইরে রান্নার আর কোন উপাদান বিশেষ ব্যাবহার করতে শিখিনি কখনো।
১৯৮০ সালের সেপ্টেম্বর মাসের কোন একদিন ২৪ বছরের যুবক স্বপন ভাগ্যাণ্বেষণে উড়াল দিল সৌদি আরব। তখনও ঢাকা জেদ্দা সরাসরি ফ্লাইট শুরু হয়নি। যেতে হ’ত করাচী হয়ে। জীবনের প্রথম বিমান যাত্রা ভয় মিশ্রিত এক ধরণের শিহরণে উপভোগ করতে করতে আর বারংবার বিমানের উঠতে নামতে ক্রুদের ঘোষণার প্রথম অংশটুকু (যা বলা বাহুল্য ছিল আরবী ভাষায়) ‘না বুইঝ্যা’ শুনতে শুনতে যুবক প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয় নিজের কাছে, এ ভাষাটা শেখা চাই তার।
গোয়েন্দা ঝাকানাকা কমিকের কাজ চলে পুরাদমে। এদিকে আরো নানা ব্যস্ততা, দম ফেলার টাইম পাই না। সচলে ইদানীং সিরিয়াস সব লেখার ভিড়, ভাবলাম ঝাকানাকার চরিত্রগুলির একটা দুইটা চেহারা দেখিয়ে দিয়ে যাই।
কমিকের চরিত্রগুলির চেহারা খুব বেশি কল্পনানির্ভর হওয়ার দরকার আছে কি? এই জটিল প্রশ্নের জটিলতর উত্তর দেয়া যায়। কিন্তু আমাদের প্রতিদিনের জীবন থেকেও চরিত্রগুলোর চেহারা উঠে আসতে পারে। যেমন এসেছে লোচন বক্সীর।
রাত দুপুরে ঘরের চালে
প্যাঁচায় দেলে ডাক
বেনবেলা কেন মাথার পরে
কা কা করে কাক।
শোনো তুমি মা বনবিবি
বলি গো তোমারে
অভাগিনি শরণ নেলে
তোমারই চরণে॥
(ওমা) তোমারই চরণে
খা-নকি মা-গি। প্যাঁচা আর কাউয়ার মুখে তুমি তোমার নিজের কম্মের কথা শোনো? নিজের কম্ম তুমি নিজে জানো না? তোমার নিজের কম্মের গর্ত থেকে বনবিবি এসে উঠাবে তোমারে?
[justify]
ব আর ম এর মাঝে প্রেম, অসুখী-প্রেম, বলাই বাহুল্য। মানুষ প্রেমে পড়লে যা হয়, তাই, তেমন একটা সময় ব ও পার করেছে, ম এর জন্য ব তখন সব করতে পারে। কিন্তু, ম সম্পর্কটা ভেঙে দিল, ফোনে। প্রথম প্রথম খুব ভুগেছে ব, তারপর ধীরে ধীরে সয়ে গেছে, সাধারণত যা হয়। জীবন থেমে থাকে না, ওই সব সিরিয়াল-টিরিয়ালে যেমন দেখায় আর কি। বছর আসে, বছর যায়, একের পর অন্য।
গত সতেরো মিনিটে মাত্র ছয়টা নোটিফিকেশন। চারটা লাইক, একটা কমেন্ট, একটা পোস্ট। কোনো মেসেজ নাই
বত্রিশটা ছবি আপলোড করে দুই দিনে পনেরোটা লাইক, নয়টা কমেন্ট। ব্যাড, ভেরি ব্যাড।
সবুজ একটাতে কমেন্ট করেছে, ‘কুল, ডুড!’ লাইক দিলাম।
জামালের স্ট্যাটাস- ‘আরেকবার উপলব্ধি করলাম, একটা ব্যর্থতা শুধু পথ করে দেয় আরেকটা ব্যর্থতার...’
লাইক।