.........
জ্বলন্ত-পাবক-শিখা-লোভে পতঙ্গ যে রঙ্গে ধায়,
ধাইতে চাইলি, অবোধ, হায়
জিজ্ঞাসিলি না
কী ফল লভিল, নিগড় গড়ি পরিল যারা চরণে সাধে
উড়িয়া পড়িল ফাঁদে ...
... বিবাহ সম্বন্ধে খ্রীস্ট-পরবর্তী একবিংশ শতকের বিখ্যাত এক কবির অমর চারটি লাইন।
২০০৮ সালের কোন এক সময়...
[justify]ভোরসকাল থেকেই বুকটা দুরুদুরু করছে ফাহাদের। কী হবে আজ কে জানে? কাল সারারাত ঘুম হয়নি ঠিকমত। একটু পরপর ঘুম ভেঙ্গে যাচ্ছিল,আর সে খোদার কাছে চুপিচুপি প্রার্থনা করছিল যেন আজকের দিনটা আজকেই না হয়ে আর কিছুদিন পর হয়। ততদিনে একটু বড় হলে তার অনেক সাহস গজিয়ে যাবে। তখন আর ভয় লাগবে না। আম্মু বলেছে বড় হওয়ার সাথে সাথে ভয়ও শিশু বা বালক টাইপের ছেলেদের ভয় পেতে থাকে। তখন তাদের ছেড়ে চলে যায় ভয়। কিন্তু প্রায় সাড়ে চার বছর হতে চলল। এখনও ফাহাদের অনেক ভয়। তার ধারণা, ভয় পালানোর মত যথেষ্ট বয়স তার হয়নি। আর এজন্যেই তার চরম ভয়ভয় করছে। আব্বু কিংবা চাচারাও নাকি ছোট থাকতে এমনটি করিয়েছেন, তাঁরা নাকি বিন্দুমাত্র ভয় পাননি এমনটি করার সময়। আব্বু কখনো মিথ্যা বলেননা ফাহাদ জানে। কিন্তু কথাটা তার বিশ্বাস হয়নি। হয়ত তাকে সাহস যোগাতেই ধাপ্পা মেরেছেন আব্বুও। সে অবশ্য আরও দুই ধরনের আর্জি জানিয়েছিল রাতে খোদার কাছে। এক, তার সাহস বাড়িয়ে দেয়া হোক এই রাতেই। অথবা দুই, তার বয়স বাড়িয়ে দেয়া হোক এই রাতেই।
কহলিল জিবরান আরবী ও ইংরেজী ভাষার লেখক হলেও বাংলা ভাষাভাষী পাঠকদের কাছে একটি সুপরিচিত নাম। তাঁর রচনা, বিশেষ করে তাঁর কাব্যগ্রন্থ “The Prophet” বাংলা ভাষায় বহুজনে বহুবার অনুবাদ বা রূপান্তর করেছেন - কি বাংলাদেশে, কি ভারতে। জিবরানের পরিচয় তিনি কবি, গদ্যকার, চিত্রকর। তবে জিবরান মূলতঃ কবি; তাঁর গদ্যের ভাষা কাব্যিক, তাঁর চিত্রকর্মও কাব্যিক। তিনি রঁদ্যা’র মতো শিল্পীর কাছে শিল্পকর্মের তালিম নিলেও তাঁর শিল্পকর্ম তাঁর কবিতাকে ছাপিয়ে উঠতে পারেনি। বোদ্ধা দর্শকের চোখে তাঁর শিল্প কর্ম উইলিয়াম ব্লেইক দ্বারা বড্ড প্রভাবিত। কিন্তু তাঁর কবিতাও কি তাই?
এসো এইবার
তুমি আর আমি পাশাপাশি, হাতে হাত রেখে
কুয়াশায় মুখ ঢেকে শীতের সকালে
উড়ে উড়ে নামি
থেকে থেকে কেঁদে উঠা আর্ত নদীটির বুকে
এসো, তুমি আর আমি।
নরম জলের স্তন ছুঁয়ে দিতে দিতে যদি
আকাশের পানে চেয়ে দেখি
তুমি আমি হই ছায়াপথ − আকাশের নদী
আমাদের নদী ছেঁচা যতো নীল − নীলরং জল − সুনীল আকাশ −
ব্যথার আঁধার মেখে চোখ বেয়ে নামে নিরবধি
বিষণ্ণ বালক এক,
সন্ধ্যের বুক চিরে কেঁদে কেঁদে ঘুরে ফেরে একা
আধফোটা ছিন্ন কমলের মতো মতো
চোখে তার ধূলিময় মলিনতা আঁকা।
যদি সেই নদী থেকে এক ঝাঁক ডাকাতিয়া ডাহুক পাখি
আমাদের ডেকে বলে, ‘জলে ভাসো −
ভেসে ভেসে চলে যাও অনন্ত মোহনায়’
[justify]মূল বই: The Grand Design (মহিমান্বিত নকশা)
মূল লেখক: লিওনার্ড ম্লোডিনো এবং স্টিফেন হকিং
=============================
প্রথম অধ্যায়: অস্তিত্বরহস্য (The Mystery of Being)
================================
আমাদের প্রত্যেকেই খুব অল্প সময়ের জন্য বেঁচে থাকি, এবং এই স্বল্প সময়ের মাঝে এই সমগ্র মহাবিশ্বের অল্প অংশই আমাদের পক্ষে দেখা বা অনুসন্ধান করা সম্ভব হয়ে ওঠে। কিন্তু মানব প্রজাতি খুবই কৌতূহলী। আমরা বিস্মিত হই, আমরা উত্তর খুঁজি। এই কোমল-কঠোর পৃথিবীতে বেঁচে থেকে এবং উপরের সুবিশালতার দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে মানুষ বরাবরই নানা রকমের প্রশ্ন করে গেছে: আমরা যে পৃথিবীতে বেঁচে আছি সেটাকে কীভাবে বোঝা যাবে? এই মহাবিশ্বের মতিগতিই বা কেমন? বাস্তবতার প্রকৃতি কেমন? সবকিছু কোথায় থেকে এলো? মহাবিশ্ব সৃষ্টিতে কি কোনো সৃষ্টিকর্তার প্রয়োজন ছিলো? আমরা সকলেই এইসব প্রশ্নাবলি নিয়ে সারাক্ষণ চিন্তা করি না, তবে প্রায় প্রত্যেকই কখনো না কখনো এইসব নিয়ে মাথা ঘামাই।
গতানুগতিকভাবে এইসব প্রশ্ন দর্শনশাস্ত্রের পাঠ-এখতিয়ারে ছিলো, কিন্তু দর্শনশাস্ত্রের মৃত্যু হয়েছে।
- আর ইউ এন ইজিপশিয়ান?
কম্পিউটারে প্রথম বাংলা লেখনী শহীদলিপির যাত্রা শুরু হয়েছিলো ২৫ শে জানুয়ারী ১৯৮৫ সনে। এই দিন শহীদলিপির জনক সাঈফ শহীদ শহীদলিপি দিয়ে মাকে চিঠি লেখার মাধ্যমে এই ইতিহাস সৃষ্টি করেছিলেন। সচলায়তনে রেকর্ড হয়ে আছে এই ইতিহাস।
আজ, শহীদলিপির সূচনার ২৬ বছর পরে, শহীদলিপিকে বাংলা কম্পিউটিংয়ে এই যুগান্তরকারী ইতিহাস সৃষ্টির জন্য ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা জানাই।