সালেক খোকন
‘বড়গ্রাম ক্যাম্প থেকে একদিন ডেকে পাঠানো হয় আমাকে। যেতে হবে আঙ্গিনাবাদ ক্যাম্পে। সেখানে সবাই জড়ো হই। ক্যাপ্টেন রনজিৎ শিং উচ্চকন্ঠে জিজ্ঞেস করেন, ‘কে কে দেশের জন্য জীবন দিতে পারবে ?’ সবার প্রথমে হাত ওঠে আমার। সেদিন দেশের জন্য আত্মাহুতি দিতে প্রস্তুত ১৫০ জন যোদ্ধাকে নিয়ে তৈরি করা হয় বিশেষ একটি দল। চলে কয়েক দিনের বিশেষ ট্রেনিং। সুবেদার মেজর শহীদুল্লাহ ট্রেনিং দেন সবাইকে।
ধান কাটা হয়ে গেছে শেষ―
বিরান ধানের ক্ষেতে
টুথব্রাশের গুচ্ছ গুচ্ছ ব্রিসলের মতো আটকে আছে
কবন্ধ নাড়ার অবশেষ;
আর্চার ফিস (Archerfish) খুব মজার (!) একটি মাছ। মজার বলতে খেতে মজা সেটা অবশ্য বলিনি , এর খাদ্য সংগ্রহ করা পদ্ধতিটির কথা বুঝিয়েছি!! ধরাযাক একটা জলজ উদ্ভিদের উপর একটা পোকা বসে আছে। এই মাছটি আস্তে আস্তে গিয়ে মুখ দিয়ে 'পুচুৎ' করে পানি ছুড়ে মারে। পোকাটির গায়ে লেগে ওটা পানিতে পরলেই এরা খপ করে মুখে ঢুকিয়ে খেয়ে নেয়।
প্রফেসর ব্রুস বয়েটলার মেইলটা পান প্রায় মাঝরাতে। বিছানায় ছিলেন তিনি। কেন জেগে উঠেছিলেন কে জানে! হাত বাড়িয়ে মোবাইল ফোনটা নিয়ে দেখেন সেখানে একটি নতুন ইমেইলের নোটিশ। ইমেইলেটি খানিকটা অবিশ্বাস্য লাগে তাঁর কাছে! তবে সেই অবিশ্বাস্য খবরটিই তার হৃদস্পন্দন বাড়িয়ে দেয়ার জন্য যথেষ্ট। বিছানা ছেড়ে তিনি নিচে নামেন। তাঁর কম্পিউটারটি নিচতলায়। সিঁড়ি ভেঙে নেমে সেটিতে মোবাইল ফোনে পাওয়া খবরটির সত্যতা যাচাই করার চেষ্টা করেন তিনি! যে সাইটটিতে প্রবেশ করতে চাইছিলেন সেটি আটকে থাকে! হতাশ হয়ে তিনি গুগল নিউজের সাহায্য নেন। সেখানের একটি সংবাদ তাঁকে নিশ্চিত করে! মোবাইলে পাওয়া তথ্যটি ভ্রান্ত নয়!
পিকনিক ব্যাপারটা বেশ ঝক্কির,
বাস ঠিক করো, জায়গা ঠিক করো, মেন্যু, বাবুর্চি, রাফেল ড্র –
তারপরো আছে নানান হ্যাপা, এই ধরো ক্যামেরা, চাঁদা, মেয়েদের বাথ্রুম ইত্যাদি।
ড্রাইভার যদি রাতে খ্যাপ দ্যায় তো পাশে জেগে থাকো,
ডিমটা ঠান্ডা ক্যানো চেঁচিয়ে বলে কেউ একজন,
একটা হাসি দিয়ে তাকে ঠান্ডা করো, সে যখন বউয়ের আঁচল ধরে
ফেরার বাসে উঠে যাবে তুমি জানো তখন তুমি ডেক তুলবে বাসের ছাদে।
গল্প শুনতে চিহ্নর ভাল লাগে খুব।
ছোট ছোট গল্প না, বড় বড় গল্পই ওর বেশি পছন্দের। কিন্তু বড় গল্প কেউ জানে না। আম্মু জানে না, আব্বু জানে না, খালামনি জানে না, মামা জানে না, ভাইয়া জানে না, আপু জানে না, নানা জানে না- নানু জানে কেবল। কিন্তু নানু বলে না।
০।
এই লেখাটিকে মোটাদাগে কোন 'পাঠ প্রতিক্রিয়া' বলা যাবে না নিশ্চয়ই। পাঠ প্রতিক্রিয়ায় পাঠক পঠিত গ্রন্থের উপর একটা চমৎকার আলোচনা আশা করেন। সেরকম কিছু আশা করলে বিজ্ঞ পাঠককে হতাশ হতে হবে। কেননা "যদ্যপি আমার গুরু" পড়ার পর থেকেই অনেকদিন ধরে জমে থাকা কিছু কথা ভাষায় ফুটিয়ে তোলার জন্য কীবোর্ডটা আকুপাকু করছে। কিন্তু কিছুতেই লেখাটা গুছিয়ে নিতে পারছি না। আমি আসলে কাকে ফোকাস করে লিখবো- আহমদ ছফাকে, প্রফেসর রাজ্জাককে না সরল অর্থে এই বইটাকে? তার উপর আহমদ ছফা ও এই বইটির পূর্বাপর নিয়ে সচল শুভাশীষদা এতো চমৎকার একটা সিরিজ লিখেছেন, যে এরপর কিছু বলতে যাওয়াটাই বাহুল্য হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু য়ামাদের গুরু তো অনেক আগেই বলে গিয়েছেন, "ওরে প্রাণের বাসনা, প্রাণের আবেগ রুধিয়া রাখিতে নারি"। সেই ভরসাতেই লেখাটায় হাত দিলাম। ভুলত্রুটি কিছু হলে বিজ্ঞ পাঠক ক্ষমাসুলভ দ্ষ্টিতে দেখবেন, এইটুকু আশা করতেই পারি।
সচলায়তনের জনপ্রিয়তার তুলনায় এর ওয়েবসাইটের স্পিড খুবই বেহাল অবস্থায় ছিলো। বিভিন্ন কারনে একটা ২ গিগাবাইট মেমোরির শেয়ার্ড সার্ভারে সচলায়তন চলছিলো। এই সমস্যা সমাধানে একটা সম্মানজনক ফান্ডিংয়ের উপর ভিত্তি করে ১৬ গিগা মেমোরি, কোয়াড কোর প্রসেসরের একটি ডেডিকেটেড সার্ভারে সচলায়তন হোস্ট করা হয়েছে।
ধ্যাড়ধেড়ে একঘেঁয়ে জীবনটায় আর রসকষ বলে কিচ্ছু অবশিষ্ট নেই। সব পেয়ে বসা রস ছাড়া এই কষটে জীবনে একটু আনন্দের খোরাক যোগায় এমন ঘটনাও বিরল। টিভির মেগা সিরিয়ালের মত মিঠেহীন চুইংগাম চিবানোর মতই দিন-রাত পার করতে করতে ত্যাক্ত হয়ে অবশেষে ঘর ছাড়ার স্বিদ্ধান্ত নেয় শান্ত। বাবা-মা ব্যাস্ত শত কাজে। তাকে সময় দেবার সময় তাদের নেই। প্রয়োজনও বোধ করেনা হয়তো ছেলে বড় হয়ে গেছে ভেবে। ভাল রেজাল্ট করা নামি-দামী বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছেলের তো বন্ধুর অভাব হবার কথা নয়!