এক/
বুবুর ফ্রকটার রং ছিল লাল আর আমারটা নীল। জামাদুটো মা নিজ হাতেই সেলাই করেছিলেন। ওটা পরলে বাবা ডাকতেন ‘লাল পরি-নীল পরি’। ভেলভেটের ফ্রকটার ঘের এতোটাই ছিল যে দুই পাক ঘুরে ফুলিয়ে টুপ করে বসে পড়লে গোল তাবুর মধ্যে শুধু মাথাটাই দেখা দিত। যে বয়সে প্রিয় শব্দটার অর্থ ঠিকঠাক বুঝে ওঠার কথা নয়, সে বয়সে ঐ নীল জামাটা ছিল আমার সবচেয়ে “পিয়”। মনে পড়ে ওই নীল জামাটা পরেই প্রথমবারের মত স্কুলে পা রেখেছিলাম ভর্তি হবার জন্য।
আর স্কুল ড্রেসটার রং ও নীল। আকাশী নীল।
ব্লগ এর প্রতি কখনই তেমন উৎসাহ বোধ করিনি। এমনকি মর্ম যখন সচলায়তনে বিভিন্ন লেখা পড়ে, তাদের লেখনীর গুনগত মানে মুগ্ধ হয়ে উদ্বেলিত চিত্তে লিঙ্ক গুলো ফরওয়ার্ড করতে লাগল তখনও নয়। বরঞ্চ কিঞ্চিত বিরক্তই হতাম – অফিসে কাজ না করে, এসব কি?
(দুধের) স্বরবর্ণ
অ - অন্যের ভালমন্দের পরোয়া করিও না; নিজের লাভ-লোকসান আগে দেখিও।
আ - আমদানি রফতানির আধুনিক বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা এই যে, আমদানি মানে আমার পকেটে আমদানি; রফতানি মানে তোমার পকেট হইতে রফতানি।
ই - ইহকালে ইলেকশন বৈতরণী পার হইতে পারিলে পরকালে পোলসিরাতের ভাবনা থাকিবে না। অতএব ইউনিয়ন বোর্ড হইতে হাত-সাফাই কর।
সত্যজিৎ রায়ের পুত্র সন্দীপ রায় সম্প্রতি বাংলাদেশের দুই প্রকাশকের বিরুদ্ধে মেধাস্বত্ব আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠি দেখিয়ে সত্যজিৎ রায়ের বইয়ের অবৈধ ব্যবসার অভিযোগ এনেছেন [১]।
চিকিৎসা মানুষের জীবন বাঁচায়,রোগ হলে মানুষ বাঁচার তাগিদে হাসপাতাল,ক্লিনিক এ যায় চিকিৎসা করাতে। কিন্তু এই রোগমুক্তির স্থান যদি হয়ে ওঠে প্রাণ হরণ এর আদর্শ স্থান তাহলে সত্যিই ভয় পেতে হয়……
কিছুদিন আগের ঘটনা। পহেলা বৈশাখ এর রাতে,সারাদিন বন্ধুদের সাথে অনেক ঘোরাঘুরি করার পর সন্ধ্যার সময় যখন বাসায় আসলাম তখন রীতিমত ক্লান্ত বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছি। তাই গোসল করে আর দেরি না করেই শুয়ে পড়েছিলাম।
“তা শাফকাত কেমন করছে, ভাবী?”
“আর বলবেন না! পড়াশোনার তো ধারে-কাছেই নেই সে। সারাদিন শুধু গেম্স, কার্টুন আর কমিক্স! পড়তে তো বসাতেই পারি না ওকে!”
“ও মা ভাবী, আপনি বলছেন এ কথা! আমি তো এই ক’দিন সকাল-বিকেল-রাত যখনই যাই আপনার ওখানে, দেখি টেবিলে বসে একমনে ড্রয়িং প্র্যাকটিস করছে ছেলেটা! কী লক্ষ্মী ছেলে আপনার! আর মোটা ফ্রেমের ওই চশমাটায় যা মানিয়েছে না ওকে ভাবী, হঠাৎ দেখায় মনে হয় যেন কত বড় সায়েন্টিস্ট!”
কৃষ্ণকলি আমি তারে বলি
কালো তারে বলে গাঁয়ের লোক
মেঘলা দিনে দেখেছিলেম মাঠে
কালো মেয়ের কালো হরিণ চোখ।।
অমুক ভাইয়ের চামড়া; তুলে নেবো আমরা... কাউয়ার গলায় মুক্তার হার; মানি না- মানব না...
[justify]
মামাকে আমি খুব বেশি দিন পাইনি আমার অন্য বোনেদের মত। আমি যখন ক্লাস থ্রি কি ফোরে পড়ি, উনি তখন সরকারী চাকুরী নিয়ে বরিশালের গৌরনদী চলে যান। মাসে একবার কি দুবার ঢাকায় আসতেন, সাথে থাকতো ওখানকার বিখ্যাত মহিষের দুধের দই। মামার আগমনের এই একটাই ভালো দিক ছিল। চাকুরীতে যোগদানের আগের দিন পর্যন্ত আমাদের ব্যাপক জ্বালিয়েছেন মামাজান। বোনের ছেলেমেয়েদের সার্বিক দায়িত্বে থাকা উনি ছিলেন প্রচন্ড রকমের রুটিন-প্রিয় মানুষ।
পেঁচার ডাক শুনতে যাবার ব্যাপারটি নিঃসন্দেহে অভিনব, ভিন্ন, শিহরণ জাগানিয়া। আসলে প্রকৃতির নির্জনতাকে ছোঁয়ার, নিবিড় ঘন অরণ্যের মাঝে আধো আলো আধো আঁধারে আমাদের এই সুন্দর গ্রহটাকে, এর জীবজগতকে একটু ভিন্ন ভাবে উপলব্ধি করার প্রয়াস মাত্র।