Archive - অক্টো 2011

October 19th

কী এক সার্কাস!

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ১৮/১০/২০১১ - ১০:২৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কী এক সার্কাস!
লিখি প্রেম, ঠোট থেকে খসে নগ্ন বিষফল উত্তাপ
পিছল দেহ ছুয়ে পৃথুলা প্রিয়তীর সবুজ নিঃশ্বাস
ঘুমের সুতো খসে অধোমুখ, মাংসল লকলকে চাকু
রাতের বরণকুলো উষ্ঞ পালক গোজে অন্ধ আয়নার ভেতর।

নিরীহ রোদ্দুরে হাঁটে ফিকে রং পাতাদের সবুজ বিকেল
পাতার সবুজ রক্ত চাটতে চাটতে মানুষ হাঁটে নামি
মানুষ! শান্তির ফেরীওলা! শান্তি ফেরী করে
হাতের তালুতে ছেলে ভুলানো লাটিম কোমল রোদ্দুর ছিড়ে খায়।


আলো নেই দুচোখে, তবু দৃষ্টি আছে

সুমিমা ইয়াসমিন এর ছবি
লিখেছেন সুমিমা ইয়াসমিন [অতিথি] (তারিখ: মঙ্গল, ১৮/১০/২০১১ - ১০:১৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বাসার লোকেশন জানাতে গিয়ে তিনি আমাকে ফোনে বললেন, ...গলিতে ঢুকে যে-কাউকে ব্লাইন্ড বাপ্পীর বাসা কোনটা জিজ্ঞেস করলে দেখিয়ে দেবে। এমন সহজভাবে কথাটি তিনি বললেন, অথচ শুনে আমার মন কেমন করে উঠলো!

গলির ভেতরে ঢুকে দেখি ৬/৭ বছরের একটি শিশু খেলছে। তাকে বললাম, বাপ্পী ভাইয়ের বাসাটা চেন? সে আঙুল উঁচিয়ে বললো, ও-ই বাড়িটার দোতলায়।


October 18th

আদমচরিত ০৪০

মুখফোড় এর ছবি
লিখেছেন মুখফোড় (তারিখ: মঙ্গল, ১৮/১০/২০১১ - ৮:৫৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ঈশ্বর মঞ্চে বসিয়া বসিয়া বিরক্ত মুখে পাতি স্বর্গদূত নেতাদিগের বক্তৃতা শুনিতেছিলেন। ইহারা কর্মে পটু না হইলেও মুখের জোরে একেকটি গগ ও মাগগ। হাতের নাগালে মাইক ঠেকিলেই ইহারা অগ্রপশ্চাৎ জ্ঞান হারাইয়া আসুরিক শক্তিতে আর্তনাদ করিতে থাকে। মাইক ছাড়াই ইহাদের আওয়াজ সায়হুনের তীর হইতে ফোরাতের পূর্ব পার পর্যন্ত পৌঁছিবে। ইহারা খায় কী?


অ্যামেরিকা ভ্রমণঃ ওয়াশিংটন ডিসি (মনুমেন্টস)

সজল এর ছবি
লিখেছেন সজল (তারিখ: মঙ্গল, ১৮/১০/২০১১ - ৭:৫৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

“কোন দেশকে ভালো বুঝতে হলে অবশ্যই তার রাজধানীতে যেতে হবে” এই রকম কোন কথা কোন মনিষী বলে গেছেন কিনা জানি না, তবে আমরা ঠিক করলাম পরের গন্তব্য রাজধানীই হতে হবে। তাই বোস্টন থেকে নিউ ইয়র্ক ফিরে রাতের মাঝেই রওয়ানা দিলাম ডিসির উদ্দেশ্যে, বাহন যথারীতি মেগা বাস।


সাহিত্যিক -০১

চরম উদাস এর ছবি
লিখেছেন চরম উদাস (তারিখ: মঙ্গল, ১৮/১০/২০১১ - ৬:২৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


আনু

আমি, রাজীব আর উদাস ন্যাংটা কালের বন্ধু। ন্যাংটা কাল মানে যে বাল্যকাল সেটা নয়। বরং তখন আমরা বালক থেকে বেশ বালেগ হয়েছি। ন্যাংটাকাল মানে ন্যাংটা হবার কাল। মাধ্যমিক এর উচ্চ গণিত পরীক্ষা দিয়ে বের হয়ে আমার যখন নিজেকে পুরা দিগম্বর মনে হচ্ছিলো তখন উদাস পরীক্ষা হল থেকে বেরিয়ে বলল,


একজন ডাক্তার ও কিছু কথা

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ১৮/১০/২০১১ - ২:৩৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পূজার বন্ধে বাসায় বসে টিভির রিমোর্টের উপর অত্যাচার করছিলাম।হঠাৎ একটা খবরে চোখ আটকে গেল।সিলেট মেডিকেলে সেবার নামে ডাক্তারদের অবহেলা এবং দালালদের দৌরাত্ন।পুরো রিপোর্টটা দেখলাম।মনটাই খারাপ হয়ে গেল।সরকারি মেডিকেলে চিকিৎসা সেবা পুরোপুরি নিশ্চিত করা আসলেই একটু কঠিন।বেশিরভাগ সময়ই বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা দিনের বেলায় রাউন্ড দেন।রাতের বেলা তাদের খুজে পাওয়া যায় না।তখন পুরো দায়িত্ব পড়ে ইন্টার্নি,আই এম ও আর রেজিষ্ট


চাবি

নীলকান্ত এর ছবি
লিখেছেন নীলকান্ত (তারিখ: মঙ্গল, ১৮/১০/২০১১ - ১:০৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

গেট দিয়ে ঢুকতেই দারোয়ানের সাথে দেখা। আটকালো না। না আটকানোরই কথা।

সপ্তাহখানেক আগেও বাড়িটার প্রতি অন্যরকম এক টান অনুভব করতাম। আর এখন?

বাড়িওয়ালা থাকেন দো’তলায়, অবসরপ্রাপ্ত সরকারী অফিসার।

নক করতেই কাজের লোক দরজা খোলে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে। বললাম বাড়িওয়ালা বাসায় কিনা।

হ্যাঁসূচক মাথা নাড়ে সে। গেটে দাড় করিয়ে রেখে ভিতরে চলে যায়।


এ ও সে ও : ১১ - রঙের খেলায় পিপড়েরা

কর্ণজয় এর ছবি
লিখেছেন কর্ণজয় (তারিখ: সোম, ১৭/১০/২০১১ - ১০:৩৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্যারামাউন্ট পিকচার্স যদি ‘অ্যান আমেরিকান ট্র্যাজিডি’র বদলে ‘এ বাংলাদেশী হিরো’ নামের একটা ছবি বানাতো - তাহলে দিব্যি আযাদের গল্পটা সিনেমায় ঢুকিয়ে দেয়া যেত। মফস্বলের ঐ গেয়ো ছেলেটাই আমাদের মধ্য থেকে সবচেয়ে উন্নতি করেছে। ওর কথা বললেই বন্ধূদের চেখে মুখে চোখে মুখে একটা ঈর্ষার ভাব ফুটে ওঠে। এখন এই শহরের জাদরেল মার্কেটিয়ারদের মধ্যে - সে একজন কেউকেটা।


| ঘড়ায়-ভরা উৎবচন…|১৮১-১৯০|

রণদীপম বসু এর ছবি
লিখেছেন রণদীপম বসু (তারিখ: সোম, ১৭/১০/২০১১ - ৯:৫১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সতর্কতা:
ধর্মীয় বিশ্বাস ও সংস্কার বা মুক্তচিন্তায় যাঁদের সংবেদনশীলতা রয়েছে
তাঁদের জন্য অস্বস্তিকর হতে পারে !
...


ব্যবহারিক কল্পবিজ্ঞান-৩: ভবিষ্যতের স্টিভ জবস এবং মানবিক যন্ত্র

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ১৭/১০/২০১১ - ৯:৪৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সকালে জগিং করতে বের হই আজ রোজকার মত। হাতের ব্যান্ডে আইফোন। পডকাস্ট শুনতে শুনতে এক ঘন্টা, দৌড়াই বা জোরে হাঁটি। সাথে একটা নোকিয়ার ফোন থাকে যেটা ওয়াই-ফাই হটস্পট হয়ে আমার আইপড টাচকে ইন্টারনেট কানেকশন দেয়। সবকিছুই ঠিক ছিল, কিন্তু হঠাৎ করে আইপড বন্ধ হয়ে গেল। আইপড বন্ধ হয়ে যাওয়ার একটু আগে যে পডকাস্টটিতে আগের রাতে ডাউনলোড হওয়া সংবাদ এপিসোড শুনছিলাম তাহল, স্টিভ জবস নেই। আই-গোত্রীয় হার্ডওয়্যার এবং সাথে সংশ্লিষ্ট সফটওয়্যারের জনক তিনি, এর আগে ম্যাকিন্টস বিপ্লব ইত্যাদির নির্মাতা তিনি। আইপডটা বেশ কয়বার অন করার চেষ্টা চালালাম। একি! আইপডটা ভিজে উঠছে কেন! রুমাল দিয়ে মুছে নিচ্ছি, তাও বার বার ভিজে যাচ্ছে। আর অনতো হচ্ছেই না।

আইপড, আইফোন, আইপ্যাডের সেদিন ছিল শোক দিবস। তাদের জনক স্টিভ জবস দুনিয়া ছেড়ে চলে গেছেন। তাই তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা আজ কোন কাজ করবে না। প্রতিটি ডিভাইসই ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত হওয়ায় তারা একত্রে এই সিদ্ধান্তটি নিতে পেরেছে।