[justify]তখন আমার বয়স কত ই বা হবে, স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে কলেজে প্রবেশ করেছি সবে। মনে হল হঠাৎ করে কেউ যেন আমাকে পুকুর থেকে এনে সাগরে ছুড়ে দিয়েছে। ছুড়ে দিয়েছে বলা ভুল হবে, কারণ মাবাবার অবাধ্য হয়ে সেবারই প্রথম নিজের পছন্দের কলেজে এডমিশন নিয়েছিলাম। ওনারা চাইছিলো আমি বাসার কাছেই আইডিয়াল কলেজে পড়ি, সাথে একটু আকটু ধর্মীয় ভাবাপন্ন হই। কিন্তু আমি নাছোড়বান্দার মত একগুঁয়ে হয়ে বললাম হলিক্রসেই এডমিশন নিবো। তখ
সময় বড় নিষ্ঠুর। শুধুই ধুলো উড়িয়ে পালিয়ে যায়। বোকা বয়স তার পিছেই ছুটতে থাকে। আর সেই ধুলো চুলে আটকে রঙ পাল্টে দেয়। এই টপ টু বটম বেরসিক সময়ের পিছে কেন দৌড়াতে হবে? ঢাকার ট্রাফিক জ্যামের মতো হলে কী ক্ষতি হতো? সময়ের তোয়াক্কা না করে ননস্টপ দাঁড়িয়ে থাকা। ইস, সময়টাকে যদি কানে ধরে ঘুরিয়ে কুড়ি বছর পেছনে নেওয়া যেতো! জীবনটা ডিভিডি প্লেয়ারের মতো হলেও মন্দ হতো না। ইচ্ছে মতো প্লে করা যেতো, নইলে পজ দিয়ে আটকে রাখারও সুযোগ থাকতো। তা না হয়ে উনি হলেন নদীর মতো, গড়িয়ে পড়া ঝর্নার মতো। শুধুই সামনে এগিয়ে যায়। একেবারে ননস্টপ জার্নি।
এই একটা নতুন পর্ব শুরু করলাম। জীবনের অভিজ্ঞতা খুবই সংক্ষিপ্ত। তবু এই সীমিত ভান্ডারের মধ্যে থেকে যাই পারি তুলে ধরার চেষ্টা করব কিছু ভাল লাগার কথা আর কিছু খারাপ লাগার কথকতা। তবে এই সীমিত সময়ে যা দেখেছি তা দিয়েই কিছু বলার চেষ্টা করব। জানিনা কোথায় বা কোন পোস্টে কোন ধরণের অভিজ্ঞতা শেয়ার করব।
(কবিতা লিখছি না অনেক দিন। খোমাখাতায় এক বন্ধুর শেয়ার দেওয়া তিন লাইন দেখে বেশ ভালো লাগলো। খুঁজে দেখলাম সেটা রবার্ট ফ্রস্টের একটি কবিতা। মূল কবিতাটি পড়ে ভালো লাগায় অনুবাদ করার চেষ্টা করলাম। নীড়পাতায় কবিতা টবিতা নাই, কেমন খালি খালি লাগছে... তাই সাহস করে দিয়ে দিলাম। ভালো লাগলে হাততালি আর না লাগলে ঠুয়া দিয়ে কবিতাটি নীড়পাতা থেকে সরিয়ে দিবেন।)
দুর্গতিনাশিনির পুনরাগমন আমার বন্ধু-মহলের একাংশে আনন্দের বন্যা বইয়ে দেয়। কুয়াশায় আচ্ছন্ন সকালের ফাঁক দিয়ে এসে পড়া নাযুক সূর্যরশ্মির মত মনের ওপরে প্লাস্টারে বাম হাত মোড়া ছোট ছেলেটির ছায়া এসে পড়ে। রায়েরবাজার আখড়ার প্যান্ডেলে পারিবারিক নিকট-বন্ধুদের হাসিমুখ, ধুপের গন্ধ আর নেশা ধরানো ঢাকের শব্দের ভেতর বাতাসা-মুরলী চিবোতে চিবোতে সেই ছেলেটি হেঁটে বেড়ায়। হলুদ লাল আর সোনালী রঙের ভেতর থেকে তিনটি চোখের অপলক
একদা এমনই বাদলশেষের রাতে---
মনে হয় যেন শত জনমের আগে---
পৃথিবীটা যে গতিতে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে তার চেয়েও দ্রুত গতিতে দুটো বাক্য এসে তার চোখের সামনের ল্যাপির পর্দা জুড়ে দাড়ায়। এত রাতে কে মেইল দিল? মেরুণ ফ্রেমের চশমাটা একটু নেড়ে বসালো সে নাকের উপর। প্রেরকের অচেনা নাম দেখেই বুঝলো পথিক পথ হারাইয়াছে। টেলিফোনে ক্রস কানেকশানর মতো ইমেল ক্রসকানেকশান।
ঢাক-ঢোল পিটিয়ে অনুবাদ শুরু করেও সময়ের অভাবে ২য় পর্বটা দেয়া হয়ে উঠছে না। খুব শিগ্রি দেব। কিন্তু আমাকে লেখায় পেয়ে বসেছে। দিলুম এবার একটা মৌলিক গল্প ঝেড়ে। দেখুন তো সচলের মানের সাথে যায় কিনা। এটা একটা অভিযানের গল্প। কিংবা বলতে পারেন চরম বোকামীর গল্প।
এ গল্পের সমস্ত ঘটনা ও চরিত্র কাল্পনিক। বাস্তবের কোন ঘটনা বা চরিত্রের সাথে সামান্যতম মিল পাওয়া গেলে তা কাকতাল মাত্র।
-------- মধ্য প্রজন্ম
আজ গজব খুঁজে পাআবিইইইই, সব ছুটে ছুটে আআআআয়....................................................................................