সচল-রসিক পাঠক সমীপেষু,
সম্বোধনের বহর দেখে ঘাবড়ে যাননি আশা করি! যুৎসই শব্দের অভাবে সেই পুরনো দিনে ব্যাকরণ বই-তে পড়া একখানা শব্দ আমদানি করে নিয়ে এলাম- নতুন যুগের মানুষেরা কীভাবে শুরু সেটা জানলেও হত, তাও তো জানি না দেখা যাচ্ছে! দুনিয়া এগিয়ে যাচ্ছে- আমরা কিছু দুর্ভাগা পিছিয়ে পড়ছি- কী আর করার!
ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার বিল্ডিঙের একটা রুমে দাঁড়িয়ে আছি। একটা চিঠি আমার নামে ইস্যু হবার কথা দু সপ্তাহ আগেই। সেটা এখনও আসেনি কেন তার খোঁজে এসেছি, কিন্তু যে ভদ্রলোক সেটার হদিস দিতে পারেন তিনি সম্ভবত সৃষ্টিকর্তার খাস লোক। চাইলেই চন্দ্র সূর্য থামিয়ে দেবার ক্ষমতা রাখেন। গত দুদিন টানা সারাদিন বসিয়ে রেখেছেন, আজও ঝাড়া তিন ঘণ্টা বসিয়ে রেখেছেন, মুখ তুলে কথা বলার সময় পাচ্ছেন না। এর মাঝে পাশের লোকের
১৯৯৫ এ যখন ক্লাস থ্রীতে পড়ি। আমার বয়স ৮ হবে হয়ত। গ্রামের একটা স্কুল। হেটে হেটে প্রতিদিন স্কুলে যাই। আমার স্কুলের হেড স্যার ছিলেন খুবই বে-রসিক মানুষ। আমরা কোন ছোট খাটো ভুল করলেও শাস্তির হাত থেকে ক্ষমা পাবার জো নেই। স্যারের শাস্তিগুলিও খুব অদ্ভুত। হয়ত দুপুর টিফিন আওয়ারে তালপাখা দিয়ে স্যারকে বাতাস করতে হবে। এই সময়ে স্যার একটু আরামে ঘুমিয়ে নেবেন (যেহেতু গ্রামের স্কুল, তাই গ্রামে ইলেকট্রিসিটি থাকা সত্ব
পুরাণের প্রাজ্ঞ দুরদৃষ্টিসম্পন্ন ব্যাখ্যাকারগণ বলেছেন, স্বর্গ কোন আকাশের মহাশূন্যে অবস্থিত স্থান নয়, একান্তভাবেই মানুষের নানা নামের জাতির যাতায়াতের পথেই একটি সুন্দর স্বাস্থ্যকর প্রাচীন পাদভৌম স্থান।
আজ সন্ধ্যায় হার্ভার্ডের সাউথ এশিয়া ইনিশিয়েটিভের তরফ থেকে শর্মিলা বসুর ‘ডেড রেকনিং’ বইটার উপর একটা আলোচনার আয়োজন করা হয়েছিল। শর্মিলা বসুর বিপক্ষে ছিলেন দিনা সিদ্দিকি, হান্টার কলেজের উওম্যান অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজের ভিজিটিং প্রফেসর (অবশ্য তিনি নিজেকে মূলত অ্যানথ্রপোলজিস্ট বলে পরিচয় দিলেন), আর উপস্থাপক ছিলেন পাবলিক হেলথ বিভাগের প্রফেসর রিচার্ড ক্যাশ।
আপডেট সমাপ্ত হয়েছে। ব্যাকআপ রেখে লেখা/মন্তব্য করতে পারেন। সমস্যা হলে contact এট সচলায়তন বরাবর ইমেইল করুন।
পুরাকালে বাঁশখোর নামের এক পৌরাণিক চরিত্রকে ধাওয়া দিতে দুখী গণ্ডারনামা শিরোনামে একটা সিরিজ লিখেছিলাম। পৌরাণিক বাঁশখোরদা তার গণ্ডারপনায় ইতি টানার কারণে সিরিজটি তার গুটিকয় পাঠকের বহু তাগাদা সত্ত্বেও তেজগাঁও বিমানবন্দরের মত পরিত্যক্ত হয়। খোদাবি ইশারায় তেজগাঁও বিমানবন্দর যেমন বিমানবন্দর হিসেবে পুনরুজ্জীবিত হয়েছে, সেভাবে এই সিরিজটিরও পুনরুজ্জীবন আবশ্যক বলে মনে করছেন দুয়েকজন বন্ধু। পৌরাণিক বাঁশখোরদা দুখী ছিলেন, কিন্তু এই সিরিজের গণ্ডারটি সুখী প্রকৃতির, তাই সিরিজের নামে শল্যোপচার করণ ঘটন হওনটা জরুরি ছিলো। তবে অতীতে আমি প্রতিদিনই নতুন একটা গণ্ডারনামা লেখার মতো তাগদ আর তাগিদ ধারণ করন হওন ঘটাতাম, এখন অসুখের কারণে দুবলা মেরে গেছি, তাই এই সিরিজ অনিয়মিতভাবে এগোবে।
[justify]ব্রিটিশ লেখক জুলিয়ান প্যাট্রিক বার্নসের নতুন বই ‘দা সেন্স অব এন এন্ডিং’ ২০১১ সালের ম্যানবুকার পুরস্কার জিতেছে। এবারের বিচারক প্যানেল রিডেবল বা পাঠযোগ্য একটি বইকে পুরস্কার দেয়ার ব্যাপারে কিছুটা জোর দিয়েছেন। ‘দা সেন্স অব এন এন্ডিং’’কে ম্যানবুকারে ঘোষিত করার পেছনে এর স্বল্প আয়তন (মাত্র ১৭৬ পৃষ্ঠার বই। অনেকে সমালোচক একে উপন্যাস না বলে নভেলা কিংবা বড়ো আকারের ছোটোগল্প হিসেবে বিচার করছেন) আর সহজ
রাত ১১টার ট্রেন।
প্ল্যাটফর্মের ঘড়ির দিকে তাকিয়ে অনেকের সাথে সময়টা দেখে নিলো রিশান। আর ১০ মিনিট অপেক্ষা তারপর ট্রেন ছাড়বে। অনেক দিন পর এই যান্ত্রিক শহর থেকে দূরে যাবার অবসর হয়েছে। নিজের জন্য অবসর। মনের জন্য প্রশান্তি। কাজ আর বাসার অবস্থা এতো বেশী মানসিক যন্ত্রনা দিয়েছে যে শান্তি কি জিনিস তাই মনে করতেই কষ্ট হয় এখন। বাসায় গেলে একটু কান পাতলেই শোনা যায় মার সাথে ভাবির মধুর ঝগড়া। আর বাবা মার মধ্যেকার সমস্যাটা তো আছেই।
আগে জানতাম কুকুর লেজ নাড়ে কিন্তু এখন দেখছি লেজ কুকুরকে নাড়ে