ঠাণ্ডা বেশ জাঁকিয়ে বসেছে। বরফ পড়া এখনো শুরু হয়নি যদিও, কিন্তু উইন্ডচিল আসলে বরফের চেয়েও খারাপ। বাতাস না থাকলে এখানে মাইনাস পাঁচ-দশেও দিব্যি একটা জ্যাকেট পরে চালিয়ে দেয়া যায়। আর বাংলাদেশের কাঁঠাল-পাকা শীতেও বাতাস আর কুয়াশার জন্যে মাফলার ছাড়া বের হওয়া যায় না। মানুষ যতটা ভাবে এখানে আসার আগে, ব্যাপারটা আসলে অতটা খারাপ না। শীতে একদিকে যেমন কষ্ট আরেকদিকে তেমন আরাম, যদি কাজকর্ম না থাকে আরকি। প্রফেসর এক সপ্তাহের জন্যে আম্রিকা গেছে, কি জানি কনফারেন্সে। সেই সুযোগের প্রথম দিন আজকে, সকালে ইচ্ছে করেই ঘড়ি আর মোবাইলে অ্যালার্ম দিয়ে রাখা যাতে ঘুমটা ভেঙ্গে যায়। শীতের সকালে লেপ কাঁথা মুড়ি দিয়ে জাগা-জাগা ঘুম ঘুমাতে হয়। মরার মত ঘুমালে শীতের ঘুম আসলে পুরাই মাটি।
‘জীবনটা এইভাবে কাইটা গেলে মন্দ হইত না’ ভাবতে ভাবতে আবার জাগা জাগা ঘুমে তলিয়ে যায়। দু-একটা মনোরম আধা-উষ্ণ স্বপ্নও বোধহয় দেখা শুরু করে। প্রচণ্ড উইন্ডচিলের মধ্যেও স্বপ্নের বালিকারা বেশ খোলামেলা, বাতাস তাদের কাপড় উড়িয়ে নিয়ে যায় যায়, শীতে কাঁপতে কাঁপতে বালিকারা লেপের নীচে আশ্রয় নিতে চাইছে বোধহয়, স্বপ্নটা কেবল জমে উঠছে, এমন সময় বেরসিকের মত চুতমারানি মোবাইলটা বেজে ওঠে। ‘থাক ধইরা কাম নাই, এত সক্কালে কোন বালছাল ফোন দিছে!’, কেটে দেয় গালি দিতে দিতে। একটু পরে আবার বেজে ওঠে, ধরে না, কিন্তু আবার বাজে। বেশ কয়েকবার। মেজাজ খারাপ করে ফোন ধরে অবশেষে,
কলেজে পড়াকালিন ছুটিছাটাতে প্রায়ই আমি গ্রামের বাড়িতে যেতাম। যদিও আমরা তখন মফস্বল শহরেই থাকতাম তথাপিও গ্রাম আমাকে প্রচন্ডভাবেই আকৃষ্ট করত।
গ্রামে আমাদের বাড়ির সামনেই বিশাল একটি বাওড় আছে। চাঁদনিরাতে আমরা নৌকায় চড়ে বাওড়ে ঘুরতে বেরোতাম। সাথে থাকতো কোঁচড়ভর্তি মুড়ি আর পাটালি। জোছনারাতে নৌকায় করে বাওড়ে ঘুরতে কী ভাল যে লাগত!
একফোঁটা দিয়েছিলাম শিরোনাম শেষে অবারিত বিষ - একফোঁটা নিয়েছিলাম শ্বাস - একফোঁটা ইতিহাস, অস্ফুট পাপ! আজ এসো ঝাড়বাতি সরিয়ে ফিরিয়ে আনি - ফিরিয়ে আনি লন্ঠনে লন্ঠনে জাগা বেহুতাশ চলে যাওয়া অভিমানী-ছায়াময়-স্থিরতা - সনাতন নাম তার সনাতন ---
[justify]ছেলেদের বড় বড় পটলচেরা চোখ দেখলেই আমার ভীষণ দুঃখ হয়, চোখের কি অপব্যবহার, কি অপচয়। মানুষগুলা এই পটলচেরা চোখ নিয়ে সারাক্ষণ কি বিপদেই না থাকে। না পারে কাজল, আইলাইনার, মাশকারা আর আইশ্যাডো দিয়ে চোখগুলাকে সাজাতে, কেবল সারাক্ষণই সেই গরুর মত চোখ নিয়ে ইতস্তত ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে থাকে। আমার প্রায়ই-স ইচ্ছে করে এই ধরনের মানুষ-গুলারে ধরে চোখে একটু কাজল পরিয়ে সাজিয়ে-গুছিয়ে দেই। আগে তাই কর
তারেক অণুর মত কিছু লোক থাকে যাদের পায়ের তলে সর্ষে থাকে। সাধারণ সর্ষে নয়, বেশ বড় বড় দানার বিলেতি সর্ষে। তাইতেই তারা সরসরিয়ে গড়গড়িয়ে উত্তর মেরু দক্ষিন মেরু করে বেড়ায়। আমি সে জাত নই। আমার ভুগোল জ্ঞান একেতো 'ম্রাত্মক খ্রাপ', তায় আবার পায়ের নিচে রয়েছে চুইংগাম। এমনি চুইংগাম নয়, 'বিগ বাবুল' টাইপ বিগ সাইজ চুইংগাম। তাই আমি যেখানেই যাই ধেবড়ে বস
প্রথম পর্বের শেষ দিয়েই, দ্বিতীয় পর্বের শুরু...
৬টা বাজে। এত তাড়াতাড়ি বাসায় যাব? জীবন কত দ্রুত পাল্টে যায়। কিছুদিন আগেও অফিস থেকে এত তাড়াতাড়ি বের হতে পারলে ক্যাম্পাস-এ চলে যেতাম। আইবিএ অথবা বিজনেস ফ্যাকাল্টি’র বারান্দায় রাত পর্যন্ত চলত আড্ডা আর ইন্টারন্যাশনাল ব্রীজ। প্রেমে আর সাহিত্য চর্চার মত আড্ডা আর তাস খেলাটাও বোধহয় যৌবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ।
বেশকিছুদিন আগে কোনো এক বিকেল বেলা হলের মাঠে বসে বন্ধু কায়েসের সাথে আড্ডা দিচ্ছিলাম। ওর সাথে আড্ডা মানেই সাহিত্য, গণিত, বিতর্ক আর বিজ্ঞান নিয়ে আলোচনার ঝড় ওঠা। কেননা, এইসব বিষয়ে আপ-টু-ডেট থাকার ব্যাপারে আমার বড় একটা উৎসই হচ্ছে ও। ভার্সিটির ক্লাস, সেশনাল আর এক্সামের এতো এতো ব্যস্ততার মধ্যেও ও যে কীভাবে এইসব কো-কারিকুলাম এক্টিভিটিজের জন্য সময় বের করে, সেটা আমার কাছে একটা রহস্যই। প্রথমআলো বন্ধুসভা, গণি
শুরুতেই বলে নেই, আমি লেখাটা শুরু করেছিলাম তাসনীম ভাইয়ের শিশুপালন-১২ এর একটা প্রতিমন্তব্য করতে গিয়ে। দৈর্ঘ্য বড় হয়ে যাচ্ছে দেখে মনে হল, পোস্ট দিয়ে দেই, দেখা যাক আলোর মুখ দেখে কিনা। হলে তো উদ্বোধন করেই ফেললাম।
[justify]
লোকটার অসহায় ভঙ্গি দেখে অনেকের মায়া হতে পারে, কিন্তু বাসুর হল না। সে একমনে ছুরিতে শান দিতে লাগল।
হাঁটু গেড়ে ও লোকটার সামনে বসল। আশেপাশে হালকা বাতাস বইছে ঠিকই, কিন্তু এতে লোকটার এতটা কেঁপে ওঠার কথা ছিল না। বাসু তার দমকা হাসিতে ফেটে পড়লো। ‘এমা, তুই তো ভয় খেয়ে আগেই মরে যাবি রে !’ হাসির দমকে লোকটার ভয় আরও বেড়ে যায়, কাঁপতে থাকে মৃগী রোগীর মত।