আমাদের সেই উমনো ঝুমনো ছেলেবেলায় শীত আসত রাজার মত|
ধান নদী খাল, এই তিনে বরিশাল।
বাংলার 'ভেনিস' এই বরিশালে রিকশা চালান ইউনুস আলী। পঁচিশ বছরের টগবগে যুবক। বিয়ে করেছেন, স্ত্রীর নাম লাইজু বেগম। আর্থিক অনটন ব্যতিত আর কোনো অশান্তি নেই। দুজনে মিলেই এই দৈন্যদায় মেটাতে চেষ্টা করেন। লাইজু বিভিন্ন বাসাবাড়িতে গৃহপরিচারিকার কাজ করেন। দাম্পত্য জীবন সুখের।
[justify] মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ছিলেন এদেশের নির্যাতিত-নিপীড়িত , মেহনতি মানুষের মুক্তির দিশারী। বায়ান্নর আন্দোলনের ভাষা তিনি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছিলেন। ভাষা আন্দোলনের সময় গঠিত সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা কর্মপরিষদ এর সভাপতি ছিলেন। ভাষা আন্দোলনে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখার জন্য তিনি কারাবরণ পর্যন্ত করেছিলেন। ৬৯ এর আন্দোলনেও তিনি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন। স্বাধীন বাংলাদেশের
পৃথিবীর প্রতিটা মানুষের বুকে ভালোবাসার বোকাটে লাল পাতা
হেমন্তের আধখাওয়া রোদ, কিংবা এক একটা ঘূর্ণিপাক
বাস করে। তবু কোথায়ো পুড়ছে সংসার, তারো গভীরে জ্বলছে আগুনদাহ।
যতটুকু প্রাণ পুড়ে হয় অনির্বাণ শিখা, তারো বেশি
বিচিত্র বিন্যাস আমাকে আশ্রয় করেছে। আর, ক্রমাগত
শুদ্ধতার ধোঁয়া আমার আবেগের কন্ঠ ছুঁয়েছে
ভাটার মত পিছিয়ে পড়তে পড়তে জেনেছি- এর নাম গতি।
তীর থেকে, বিশুদ্ধ বালুকার বুক ছেড়ে
এক খানা কৌতুক বলিয়া শুরু করা যাক। পূর্বে শুনিয়া থাকিবেন হয়ত, স্বর্গের দুয়ারে প্রবেশের পূর্বে অনেক প্রকার ঘটনা ঘটিয়া থাকে, সেই রূপ একখানি ঘটনা সংশ্লিষ্ট কৌতুক।
রুমি আর সুবর্ণার সম্পর্কটা ভালো ছিল, বেশ পোক্ত। ওদের দুজনের বন্ধুমহলের কেউই ভাবেনি সম্পর্কের শেষটা এভাবে ঘটবে। কিন্তু কত কিছুই তো আমরা ভাবি না, কিন্তু এমনি এমনি ঘটে। তাই ওদের গল্পটাও মিলনাত্মক হোল না।
ভালো যদি বাসবেই কাউকে
তবে বাসতে কবিতাকে,
জানি, কবিকে জেনেছো অদ্ভুত জীব এক,
জেনেছো মোদোমাতাল, জেনেছো ভাবের হাটের ফকির,
জেনেছো কাছে গ্যালেই ক্যাপ্সটানের গন্ধ,
হয়তো গোসল খাওয়া কোনটাই হয়নি,
অথবা ঘুমিয়েছে আর্ট কলেজের বারান্দায় – এমন,
কিন্তু কবিতা তেমন নয়, কবিতা যেমন জানো
তারো চেয়ে গোছানো অনেক,
তোমার ড্রইংরুমে দামি কথা বলতে পারে
এমন সুশীল, নিমিষেই বলে দিতে পারে তোমার
[justify]দেখলাম সঙ্গীত মানুষকে কেমন মোহনীয় করে তুলতে পারে, দেখলাম একটি পাখি উড়ে গেল ডানা ঝাপটিয়ে-- আর ছড়িয়ে যেতে যেতে শুনিয়ে গেল কোনো এক অচিন দেশের গান-- ভুলভুলাইয়া।
এসব মোহগ্রস্ত দিনলিপি অন্যকেউ লিখে গেছে আগে, লিখে দূরে চলে গেছে একাকী--হাস্যলিপিকার। শুধু তার হর্ষধ্বনি ইতি-উতি লেগে আছে। দূরে সরে যাওয়া ভালো, রমণীর গভীর নাভীর মতো নির্জনে পড়ে থাকার চেয়ে দূরে সরে যাওয়া ঢের ভালো।
[justify]মানুষ প্রতিদিন ঘড়ির সাথে সাথে ছুটছে। মানুষের সময় ময় ঘুম পায়, ক্ষুধা পায়, ঘুম থেকে উঠে যায়, প্রতিদিনের কাজ করে, সুস্থতা, অসুস্থতা বোধ করে, আবার অসুস্থ অবস্থা থেকে সুস্থ হয়ে উঠে। সব কিছুতেই কেমন যেন একটা রুটিন বাঁধা। আপনি সচেতন ভাবে অনিয়ম করতে যান, দেখবেন, আপনার দেহ ঠিকই বলছে, আমার ক্ষুধা পেয়েছে, এইবার খাও দয়া করে। সারাদিন অনেক কাজ বা অকাজের পর একসময় আপনার দেহ ঠিকই ক্লান্ত হবে, বলবে আর পারছ