ক্রুসেড যুগে ইংল্যাণ্ডের রাজা রিচার্ড বলেছিলেন,
একজন রাজা কখোনো ভূল করেনা, কারো কাছ থেকে প্রতিদান প্রত্যাশা করেনা, এবং কারোর দয়া ভিক্ষা করেনা।
[justify]আজকের গল্প রাজা রিচার্ডকে নিয়ে নয়, অন্য কাউকে নিয়ে। ধরে নেই তার নাম খবির মিয়া। বয়স হবে সত্তুরের কিছু কম বা কিছু বেশি। পেশায় রিক্সাচালক।
১.
মা কইল, তারা শুধু ছেলের লেখাপড়া টা চায় আর কিছু না।
আমি কইলাম, পড়াশুনা বিক্রি করিনা।
মা কইল, পড়াশুনা কি নিজের জন্য?
আমি কইলাম, না। পরকে বিলাইয়া দেওয়ার জন্য, নিজের পড়শুনা জাহির কইরা বিক্রির জন্য না। অন্ধজনে দেহ আলো। Let there be light.
মা কইল, ওরাও তো পর।
আমি কইলাম, তাইলে আপন হইতে চায় কেন?
শোনো ছেলের কথা। তাই বলে কি বিয়ে করবি না?
আমার দেশ স্বাধীন। আমি স্বাধীন। এবং আমার দেশের স্বাধীনতা। আমার আজ আর অহংকার হয়না। আমি আমার দেশকে কেন মন থেকে ভালবাসতে পারছিনা। কেন আজ বারবার বাক্যহারা হয়ে যাচ্ছি। কোনটা আমার স্বাধীন দেশ? যে দেশ তিনটি টুকরোতে খণ্ডিত হয়ে গড়েছে তাদের সোপান – সেই কোন দেশ?
বাসাংসি জীর্ণানি যথা বিহায়
নবানি গৃহ্ণাতি নরোহপরাণি।
তথা শরীরাণি বিহায় জীর্ণান্য-
ন্যানি সংযাতি নবানি দেহী॥
‘এক ব্যক্তি পুরানো পোশাক ছেড়ে যেমন নতুন পোশাক পরে, অনুরূপভাবে আত্মাও তেমন পুরানো ও অকর্মণ্য দেহ ছেড়ে নতুন জড় দেহ গ্রহণ করে।’
- মাইনুল এইচ সিরাজী
দরজা খুলেই ভূত দেখার মতো চমকে উঠল রবিন। তার বিছানায় শুয়ে আছে একটা মেয়ে। আসলে পরি দেখার মতো চমকে উঠল রবিন। তার বিছানায় শুয়ে আছে একটা পরি।
ভারী আওয়াজ তুলে সাঁজোয়া গাড়ির বহরটা তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর দিকে আসছে, গাড়ির উপরে বসানো মেশিনগান আর সেনাদের বন্দুকের চকচকে বেয়নেটগুলো আলো-আঁধারীতে এক নারকীয় আবহ তৈরী করছে| নিরস্ত্র সাধারণ মানুষের লাশের উপর দিয়ে ক্ষমতা কায়েম করার এক পৈশাচিক আনন্দে তখন পাকিস্তানি সামরিক জান্তার চোখ হায়েনার মতো জ্বলন্ত| বাঙালি জাতিকে পৃথিবীর মানচিত্র থেকে মুছে দিতে বদ্ধ পরিকর পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী তাদের চূড়ান্ত পরি