সালেক খোকন
কাঁটাতারের বেড়ার ঐ পাশেই ভারতের রাধিকাপুর। দূর থেকেই সেখানকার থেমে থাকা ট্রেনগুলো দেখা যায়। এ পাশে দিনাজপুরের রামচন্দ্রপুর গ্রাম। দেশভাগের পূর্বে রাধিকাপুর আর রামচন্দ্রপুর দিনাজপুরের অন্তর্ভুক্ত ছিল। প্রাচীন আমল থেকে প্রতি বছর এই রামচন্দ্রপুরেই বসে শংকবাণী মেলা।
- অনন্ত আত্মা
মোবাইলটা ডান কান থেকে বাম কানে নেয় হিমেল।
- কোথায় বললে, মিরপুর এক নাম্বার মরণচাঁদের সামনে; ওকে ব্যাপার না আমি পৌঁছে যাব সাড়ে এগারোটার মধ্যে। দেখো, তুমি আবার দেরি কোর না। অর-রাইট, বাই সুইটি।
সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে মোবাইলটা পকেটে রাখে হিমেল। আকাশের দিকে একবার তাকায়, ঘন নীল আকাশ, ঝকঝকে রোদ চারিদিকে। পায়ে পায়ে পাকা মসজিদের মোড়ে মফিজ ভাইয়ের দোকানে আসে সে।
[justify] মুক্তিযুদ্ধকে বিকৃত করে দেখানো সিনেমা মেহেরজানের শো বন্ধ হয়ে গেছে। ফারুক ওয়াসিফ এবং আরো কিছু পাকিপ্রেমী বুদ্ধিজিগালো লেখার পর লেখা ফুকে চলছেন মেহেরজানের প্রদর্শনী বন্ধ হয়ে যাবার বিপক্ষে। ফারুক ওয়াসিফ সিনেমাটির মধ্যে যা কিছু পেয়েছেন সেটা নিয়ে চার পর্বের লেখা নামিয়েছেন সামুতে। মেহেরজানের পক্ষে জান লড়িয়ে দেয়া বুদ্ধিজিগালোদের মধ্য
১.
'জাপানীজ ওয়াইফ' দেখলাম সেদিন। অপর্না সেনের ছবি। ছবিটা নামিয়ে রেখেছিলাম আগেই। দেখা হয়নি এদ্দিন। সিনেমাটা আমাকে যে দুটো কারণে আলোড়িত করেছে তার একটি হলো ঘুড়ি। ঘুড়ি জিনিসটা স্মৃতি জাগানিয়া।
বড় রাস্তার মোড়ে, রাত দ্বি-প্রহরে
ব্যস্ততা নেই, ফাঁকা ফাঁকা লাগে সব।
ঠোঁটে সিগারেট, মাতাল আবেগ, মিষ্টি অনুভব।
হঠাৎ শিস, টহল পুলিশ, চেতনায় দুর্ভোগ।
তোমার অভাব, বদলেছে স্বভাব, বদলেছে জীবন।
আঁধার আবার সঙ্গী আমার কেড়েছে স্পন্দন।
[justify]
এই ব্রিসবেনেও তামিল গুণ্ডাদের অত্যাচার!
গিবরিল তাহার রশ্মিনির্মিত নাসিকা ডাকাইয়া ঘুমাইতেছিল। দরজায় পদাঘাতের শব্দ শুনিয়া সে ধড়মড়িয়া ঘুম ভাঙিয়া উঠিয়া বসিয়া চক্ষু রগড়াইল।
আদম অধৈর্য হইয়া কহিল, "আব্বে বারবণিতার সন্তান, দুয়ার খুলিবি নাকি অগ্নিসংযোগ করিব?"
গিবরিল হতচকিত হইয়া লুঙ্গির গ্রন্থি ঠিক করিতে করিতে গিয়া দরজা খুলিল। আদম একটি বড়সড় ঠোঙা হস্তে তাহাকে ঠেলিয়া ঘরে প্রবেশ করিয়া দরজায় অর্গল তুলিয়া হাঁপাইতে লাগিল।
আমাদের কৈশোরে বিচিত্রায় একটা কভারস্টোরী করেছিলো অঙ্গুলিশিল্পের মহানায়ক ফখরুল ইসলাম ওরফে ফেকু ওস্তাদের উপর। হ্যাঁ, তিনি অঙ্গুলিশিল্পের একজন কিংবদন্তী; যাকে আমরা বলে থাকি পকেটমারের সর্দার। আমি এই ৪০ বছরের জীবনে আর কখোনো দেখিনি বা শুনিনি যে কোন জাতীয় বা আন্তর্জাতিক পত্রিকায় একজন পকেটমারের উপর কভারস্টোরী করেছে। তার এবং আমার বাড়ি খুলনা শহরের একই পাড়ায়। খুলনায় তার নাম ফকু কিন্তু বাংলাদেশের অন্যত্র, ইনডি
কক্সবাজার।
যেদিন চলে আসব সেদিন অনেক ভোরে সমুদ্র সৈকতে গিয়েছিলাম। উদ্দেশ্য সূর্যোদয় দেখবো।
দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম।
সূর্য উঠেছিল শহরের দিক থেকে। ঝাউগাছের ফাঁক দিয়ে প্রথমে সে তার উপস্থিতি জানান দিল। সমুদ্রের পানিতে সূর্যের প্রথম কিরণ পড়ার দৃশ্য এককথায় অপূর্ব। মনে হল এ দৃশ্য দেখার জন্য সারারাত জেগে থাকতেও সমস্যা হবে না।
হঠাৎ দেখি এক লোক অদ্ভূত এক মাছ হাতে দাঁড়িয়ে।