একটা সময় ছিল, দুনিয়ার সব কিছু নিউটনের কথা মেনে চলতো, গাছের আপেল থেকে শুরু করে দূরের গ্যালাক্সি পর্যন্ত। তারপর মানুষের চোখ শকুনের চেয়েও প্রখর হয়ে এলো, তার অশ্লীল নজর সবার একেবারে ভিতরে আনাগোনা করতে থাকলো। আর তখন দেখা গেলো, কিছু খুদে শয়তান আর নিউটনের কথা মানছে না, তারা ম্যাক্স প্ল্যাংক নামে নতুন এক পীরের মুরিদ হয়ে খেয়াল খুশী মত ঘুরে বেড়াচ্ছে। ঘটনাক্রমে এই পীরের বয়ানের সাথে আমার পরিচয় হয় গত সেমিস্টারে।
প্রথমেই বলে রাখি, আমি শেয়ার ব্যবসা করি না - এ সম্পর্কে জানি খুবই কম। আরও জানার জন্য হা করে তাকিয়ে থাকি যে কখন এই লাইনে দক্ষ ও অভিজ্ঞরা কিছু লিখবেন। না পেয়ে নিজের কীবোর্ড চুলকানো শুরু করলো। আমি শেয়ার মার্কেট সম্পর্কে প্রথম ধারণা পেয়েছিলাম টিভি সিরিয়াল পারফেক্ট স্ট্রেঞ্জারস থেকে - বলাই বাহুল্য আশেপাশে যা দেখি তার সাথে কোনো মিল খুঁজে পাই না এখন। তাও একটু বকবক করা ...
[justify]
এক যে ছিল ছেলে। এক যে ছিল মেয়ে। দুজনেই লেখাপড়ায়, গুণে ও রূপে সবার চেয়ে সেরা। তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব হয়। পরে ভালোবাসাবাসি। এখানে ওখানে মধুর ক্যান্টিনে কিংবা ডাসে সব জায়গায় তাদের একসাথে দেখা যায়। অন্যরা দেখে বলে- এই জোড়া মেড ফর ইচ আদার। আমরা যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে ওদের প্রথম দেখি তারা অন্যদের মারফত জানতে পারি- এদের প্রেম শুরু হাইস্কুল থেকে।
পুরাতন পদ্ধতি
সচলায়তনে খসড়া লেখার জন্য একটি ওয়ার্কফ্লো ভিত্তিক পদ্ধতি অনুসরন করা হোতো। একটি পোস্ট লেখার পর সেটি লেখক হয় প্রথম পাতায়, নিজ ব্লগে কিংবা খসড়া হিসেবে সংরক্ষণ করতে পারতেন। এই লেখাটি তখন অপ্রকাশিত অবস্থায় 'uid) { echo "uid\">"; ?>আমার কর্মকান্ড"; } ?>' নামের একটি পৃষ্ঠায় পাওয়া যেতো। সেখান থেকে লেখা বদলে প্রকাশ করতে পারতেন তিনি। অর্থাৎ এক্ষেত্রে পদ্ধতিটি ছিল:
¬¬বিয়ারের গ্লাসটা নামিয়ে রেখে ইন্সপেক্টর জেন একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলল, জগতের সেরা প্রতিভাগুলো মনে হয় এইভাবেই শেষ হয়ে যায়।রিচার্ডসন জেন সংক্ষেপে জেন নামেই ওকে আমরা ডাকি।কদিন ধরে ও এক নামকরা বিজ্ঞানী প্রফেসর রবার্ট বিল এর অন্তর্ধান রহস্যের তদন্ত চালাচ্ছিল। জেন মাত্র ২৫ বছর বয়সেই ইন্সপেক্টর হয়ে গেছে। এই পর্যন্ত প্রায় দুই ডজন চাঞ্চল্যকর কেসের সাফল্য ওকে এত তাড়াতাড়ি ইন্সপেক্টর পদে চুলে দিয়েছে। প্রতিবারই অসামান্য একেকটা কাহিনী বের হয়েছে ওর তদন্তে। সেগুলো শুনেও মজা। এবারও সে মজার গন্ধ পেয়ে আমি জাঁকিয়ে বসলাম। দুজনের জন্য দুই বোতল বিয়ারের অর্ডার চলে গেল রূপসী বারগার্ল এর কাছে। জেনকে বললাম, দেরী না করে
সচলায়তনের বর্তমান ভার্সনে একটি ক্যাশিং পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে সচলায়তনের গতি বৃদ্ধি পেলেও প্রতিটি পৃষ্ঠা কতবার পঠিত হয়েছে এবং কতজন অনলাইনে আছে সেই সংখ্যাটি অনেক কম দেখাচ্ছে। প্রথমতঃ নীচের গুগল এনালাইটিক্সের ছবি দেখলেই বুঝতে পারবেন যে সচলায়তনের পাঠক সংখ্যা কমেনি।
ঘুম ভাঙতেই ঘড়ির দিকে চোখ চলে গেল। বিকাল ৫টা। বাসার কাঠাল গাছটায় চড়ুইয়ের দল কিচির-মিচির করছে? শব্দ নাই কেন? আর আমার ঘরটাও তো এতো অন্ধকার থাকে না এই সময়। ফায়ার-ইঞ্জিনের সাইরেনের শব্দে ঘোর কাটে আমার। “আপনি আর স্বর্গে থাকেন না হাসান সাহেব”, বলি নিজেকেই। গতকাল ঘুমাতে পারি নাই। দুপুরে তাই বাসায় ফিরেই ঘুম। প্রফেসর দেশের বাইরে থাকায়, এই বিনোদনের সুযোগ পাওয়া গেল। কিছু লিখতে বসলামই যখন, প্রথম থেকেই শুরু করি।
দু'হাতে জড়িয়ে রাখি রেশমী সুতো,
লুকিয়ে রাখি টুকরো টুকরো গোলকাঁচ
ঝুড়িতে রাখি মন্ত্রপাথর ও সুষমাচার-
উড়ে পালাতে থাকা রশ্মিকণারা
পালাতে পালাতে অবিরল হাসে।
[justify]গান, অর্থাৎ সঙ্গীত। আহ! কী হৃদয়ব্যাঞ্জনাকর একটা বিষয়! কথা আর সুরের মায়াজালে আমাদের নিয়ে চলে সময় আর অনুভূতির সীমাহীন কল্পনার জগতে। এ নিয়ে আমার ছোটবেলা থেকেই ব্যাপক আগ্রহ। কিন্তু কেন জানি আমার কাছে সুরটাই বেশি ভালো লাগত। সেখানে গানের কথা কিংবা মর্ম বোঝাটা খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার ছিলনা। আর তাই, স্বতস্ফুর্ত আবেগে এই বাজখাঁই গলার টোন টিউন না করে, কিংবা পরিবেশের আশু শব্দদূষণের সম্ভাবনার তোয়াক্কা না করে কেবলমাত্র লা-লা-লা অথবা উম-উম-উউউ করেই আমার সঙ্গীত চর্চা চালিয়ে যেতাম সারাদিন। আর একারণে প্রাণপণ চেষ্টায় এখন আগের শোনা অনেক গানের সুর মনে করতে পারলেও কথা স্মরণ করতে পারিনা। আমাদের একান্নবর্তী পরিবারের বাসায় তখন শুধু একটা রেডিও আর একটা ১৭ ইঞ্চি ফিলিপস্ টিভি ছিল। সেখানে ঐ সময় কেবল শুক্রবারে বাংলা ছিনেমা দেখাত আর সম্ভবত সোমবারে ছায়াছন্দ হত। তাছাড়া হিন্দী ন্যাশনাল চ্যানেল ধরত টিভিতে ডিশ না থাকলেও, বর্ডার এলাকায় গ্রামের বাড়ি থাকার সুবাদে। সেখানে কিছু গানের প্রোগ্রাম হত আলিফ লাইলার পাশাপাশি।
আমার কাঠিলজেন্সে তোমারো ভাগ ছিলো,
ছিলো আমার তেপান্তরের মাঠেও,
যদিও ডালিমকুমারের সাথে আড়ি ছিলো একা আমারই -
তোমার শিয়রের আইসক্রিমের কাঠি বদলাতে সাহস হয়নি কখনো,
চোখ খুলে যদি দ্যাখো, আমি ডালিমকুমার নই।
কাধে বাক্স নিয়ে আইসক্রিমওয়ালা আর আসেনা,
শিয়রের জায়গা দখল করেছে সেলফোন,
কুমারদের অপেক্ষা তোমার - জানি কাটেনি এখনো,
তেপান্তরের মাঠ যে এতো বড় হতে পারে,
তাই বা কে জানতো?