মাথার ভেতরে গল্পেরা অবিরাম ধাক্কাধাক্কি করে যায়। এ ওকে ধাক্কা দেয় তো ও একে মারে ঠেলা। কার আগে কে বেরিয়ে আসবে এই নিয়ে ঝগড়া, মারামারি, গালিগালাজ, ঠেলাঠেলি। ...কেননা ঘুম এখনও গাঢ় হয়নি। কিছুটা সময় পাওয়া যেতে পারে - এটুকুই আশা। স্বপ্নেরা এখনও হানা দেয়নি একযোগে। মাথার ভেতরটা এ মুহূর্তেও যথেষ্ট পরিষ্কার। তবে কিনা এই সুযোগ চলে যাবে যেকোনো মুহূর্তে। লাল, নীল, বেগুনি, হলুদ, কমলা, কালো, ধূসর স্বপ্নেরা ঝেঁটিয়
আমাদের দেশে হত্যা, ধর্ষণ ,লুটপাট, এসিড ছোঁড়া, সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু খুবই সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। পেপার খুলে খবরগুলো পড়ি, মাঝেমাঝে দীর্ঘশ্বাস ফেলি, কখনো একটু হা-হুতাশ দুএকটা কথা বলি এবং বেশিরভাগ সময় চোখ বুলিয়ে যাই। কোনো আবেগ প্রকাশ করার সময় হয়ে ওঠে না। অথবা মনে হয়, আমার তো কিছু করার মতো যোগ্যতা নেই, তাই এড়িয়ে যাওয়াই ভালো।
তবু ভালোবাসি তোমায়
জানিনা এ লেখা তুমি পড়বে কিনা? কিন্তু বুকের ভেতর জমে থাকা কষ্টগুলো আর চেপে রাখতে পারলাম না। তাই এই খোলা চিঠি তোমাকে দিলাম। কেমন আছ তুমি? জানি এর কোন উত্তর তুমি দেবে না। অনেকদিন হয়ে গেছে তোমাকে দেখিনা। তোমাকে দেখার তৃষ্ণায় যখন ছটফট করতে থাকি, তখন আর কিছু না পেয়ে ইন্টারনেটের পাতায় খুঁজে বেড়াই তোমাকে। সেখানে তোমাকে খুঁজে পেলেও তোমার মুখটা আমার কাছে অদৃশ্যই থেকে যায়।
[justify]বিকালবেলা সময় চারটার চৌহদ্দিতে ঢুকলেই মনটা আনচান শুরু করে। বারবার ঘড়ি দেখতে থাকি। অফিস শেষ সাড়ে চারটায়। তারপর যেতে যেতে আরও আধাঘন্টা কমপক্ষে, কাওরানবাজার থেকে শাহবাগ। ফেব্রুয়ারি মাস এলেই আমার শাহবাগ ভ্রমণ প্রতিবার প্রায় প্রতিদিন ঘটতে থাকে। কারণ আর কিছুই নয়, বইমেলা। সাহিত্য কিংবা বই বিষয়ে আমার প্রাথমিক জ্ঞান নিতান্তই প্রাক-প্রাথমিক। তাই বলে এটা ভাববার কোনো অবকাশ নেই যে, আমি মূলত আমার জ্ঞানের কিংবা বই এর ভান্ডার সমৃদ্ধ করতে বইমেলায় যাই। আসলে এক অন্যরকম অনুভূতির টানে যাই সেখানে। এত্তএত্ত বই মিলে সেখানে যেন এক অন্যরকম প্রাণের আবহ। এক একটি অবারিত জগত যেন আটকে আছে বর্ণিল মলাট আর গ্রাফাইটের ভাঁজে ভাঁজে। সেগুলোর দিকে চেয়ে দেখতেও কেমন যেন এক অদ্ভুত ভালোলাগা কাজ করে। কেন করে জানিনা। তবে এই বইমেলাতে যাওয়ার সুবাদে এবং আমার কতিপয় অত্যন্ত পড়ুয়া বন্ধুর কল্যাণে আমি সাহিত্যের অনেক অজানা মনোমুগ্ধকর বিষয় কিছুকিছু অবলোকন করার সুযোগ পেয়েছি। আর এরই টানে আমি হয়ত এখন মাঝেমধ্যেই ছুটে যাই বই এর দোকানে। বই দেখি, পাতা উল্টাই, লেখার ভিতরে লেখকের সত্ত্বাটাকে চেনার চেষ্টা করি। মানিব্যাগ সম্মতি দিলে সাথে সাথে কিনে ফেলি। কখনওবা ব্যাগভর্তি বই নিয়ে হাঁটার সময় নিজে নিজেই চমকে উঠি, খাইছে! কতগুলো কল্পনার জগত আমার এই হাতের মুঠোয়। নিজেকে আকাশগঙ্গা ভাবতে থাকি। আর বাসায় এসে তার গ্রহ-নক্ষত্র, তারকারাজি আর নীহারিকাপুঞ্জ আবিষ্কার আর উপভোগে তন্ময় হয়ে যেতে থাকি।
সুমেল এর মেজাজটা হঠাত করেই খারাপ হয়ে গেল। সকাল বেলা উঠেই এমন খারাপ খবর পড়লে আর কিভাবে মন ভালো রাখা যায়। এই মাত্র কদিন হল সুমেল বিলেত থেকে মাস্টার্স শেষ করে এলো। এক মাসও হয়নি। এর মধ্যেই এমন বিরক্তি ধরে যাবে সে ভাতেই পারেনি। না কোনও খুন খারাবির খবর না, চুরি ছিনাতাই ও না। এসব খবর তো প্রতিদিনই পড়তেই হয়। বিলেত থাকতেও পড়েছে অনলাইনে। আজকের মন খারাপের কারন অন্য খবর। অটোরিক্সাচালকরা যাত্রীদের জিম্মি করে মি
(পাঠক নিজ দায়িত্বে লেখার শিরোনাম পড়বেন। 'বইশোনা'কে 'বইসো না' কিংবা 'বই সোনা' পড়লে লেখকের কোনোই দায় নাই। )
বইটা খানিকটা আগ্রহ খানিকটা অনাগ্রহের অবস্থান থেকে শোনা শুরু করেছিলাম। বইটার শিরোনাম ইনফিডেল বা বিশ্বাসহীন হলেও সাব টাইটেলে 'আমার জীবন' কথাটা দেখে বুঝেছিলাম যে লেখিকার আত্মজীবনীমূলক বই হবে এটা। দীর্ঘ এই বইটা শুনতে আমার প্রায় ২০ ঘন্টার ড্রাইভিং-সময় ব্যবহার করতে হয়েছে।
আরিফিন সন্ধি
মাস খানেক আগে হিমু ভাই কে একরকম কথা দিয়েছিলাম ফাইটোরিমিডিয়েশন নিয়ে কিছু একটা লিখবো। সচলে কয়েক জন নিশ্চয়ই ছাই নিয়ে বসে আছে, আমার সেই কথা অনুযায়ী প্রথম কিস্তি আজকে লিখছি, মেনে নিচ্ছি, লেখার আকার ছোট, তবে বড় হবে আগামিতে,