গতকাল জুলিয়াকে দেখে রীতিমত আঁৎকে উঠেছিল কাটিং মাস্টার। এ ক’দিনে কি হাল হয়েছে মেয়েটার!
[justify]
এই লেখার শুরুতে যেটা পরিষ্কার করা প্রয়োজন, আমিও উৎপল শুভ্রের মতোই ক্রিকেটমূর্খ। খেলাটা দেখি, উপভোগ করি, কিন্তু একটা ক্রিকেট টিমের ক্যাপ্টেনসি করার যোগ্যতা আমার নাই।
তবে লিডারশিপ আর মিডিয়া প্রেশার নিয়ে আমার ধারণাটা ক্রিকেটজ্ঞানের চেয়ে স্বচ্ছ। উৎপল শুভ্রের মতোই।
মেয়েটির নাম আশামনি, ইস্কাটন গার্ডেন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ে। তার ভাই ইয়াছিন, সেও পড়ে একই স্কুলে। থাকে ইস্কাটনের পাশেই কোনো এক ঘুপচি ঘরে। বাবা কাজ করে এক ফুলের দোকানে।
ঝাকায় রাখা পায়রাগুলা জোড়া ১০০ টাকা। মরাইট্টা টাইপ পায়রা তাও এত দাম। পায়রার গায়ে তো মাংস থাকে না, খালি হাড্ডি। তবে ঝোলটা খুব উপকারী। ছোট্ট মেয়েটা দুলকি চালে যাইতেসিল। ফট কইরা ঝাকার পাশে থামলো। গাদাগাদি কইরা ফালায় রাখা ময়লা পায়রাগুলার মাথায় হাত বুলায় দিয়া দৌড়াইলো সামনে।
কেশু নতুন সিগারেটটা বানাতে শুরু করে। হাতে বানানোর কৌশলটা সে এক অ্যাংলো-ইন্ডিয়ানের কাছ থেকে শিখেছে । হাতের তেলোতে একটা সাদা কাগজ নিয়ে সামান্য এক চামচ তামাক (যতটুকু দরকার) নিয়ে অতি দ্রুত রোল করতে থাকে। কাজটা প্রায় ৬ বছর ধরে করে আসছে.... খুঁত থাকার প্রশ্নই ওঠে না।
একদিন আমিও বিলাসি হবো
পা’য়ে দলাবো সূর্যমল্লিকা
দু’চাকার বাইকে চড়ে থাকবে
বুকে’র গাঢ় স্পর্শে আস্ত এক রূপসী
পূর্ণিমার চাঁদ জড়াবো আধ ভাঙা শিমুলের ডাল আর
এগারো কেভি বিদ্যুতের জালে
শেষে রাস্তার পাশে’র নর্দমাজলে ডুবোডুবি
আমিও হবো স্বপ্নবিলাসি, স্পর্শবিলাসি
ছুঁয়ে ছুঁয়ে ছুঁয়ে
শরীরের নৈর্ব্যক্তিক ভালবাসায় চুর হবো।
তাই(ভালো হয়)আজ আমাকে কাছে রেখে দাও।