পাওয়েলের চেহারায় এবার খুশির আভাস ফুটে উঠল।
“বাকিটা তো খুব সোজা। এই স্পেস স্টেশনগুলো প্রথমে তৈরি হয়েছিল ছোট বিন্দু, মানে গ্রহগুলোর শক্তির চাহিদা মেটাতে। তখন মানুষ এগুলোর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে ছিল। কিন্তু প্রখর তাপ, তেজস্ক্রিয়তা আর ইলেকট্রন ঝড়ের কারণে এখানে কাজ করা যে কোন মানুষের জন্য বিপদজনক। তাই মানুষের জায়গায় রোবোট দিয়ে কাজ চালানোর কথা চিন্তা করা হয়। মাত্র দুজন মানুষ এখন এই পুরো স্টেশনটার তদারকি করছে, বাকি সব কাজ রোবট দিয়ে হচ্ছে। কিন্তু আমরা চাচ্ছি এই দুজন মানুষও যেন দরকার না হয়। এজন্যই তোমার মতো রোবট প্রোটোটাইপ, যে কি না যুক্তি বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নিতে পারে, তৈরি করা হয়েছে। তুমি যদি এই স্টেশন একা সামলাতে পারো, তাহলে মাঝে মধ্যে মেরামতের জন্য কিছু জিনিস আনা ছাড়া মানুষের আর এখানে আসার দরকার পড়বে না।”
একটি কমিউনিটি ব্লগের বা রাইটার্স কমিউনিটির জন্য টিজার খুব গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে একটি পাতায় সব লেখা প্রদর্শিত হয় এবং লেখার একটি অংশ পাঠকরা পড়ে যাচাই করেন সেটা বাকি অংশ পড়বেন কিনা। এই টিজার থেকে বঞ্চিত করা মানে পাঠককে তার একটু সুক্ষভাবে ঠকানো। পাঠক তখন বাধ্য হবেন সেই পোস্টে ঢুকতে (এবং কিঞ্চিত বিরক্ত হবেন)।
একাত্তরে বাঙালির উপর পাকিস্তানিদের গণহত্যা নিয়ে যতটুকু কাজ হয়েছে, বিহারীদের প্রতি বাঙালিদের নির্যাতন নিয়ে কাজ হয়েছে তারচে’ কম। যুদ্ধে গণহত্যা নিয়ে যেমন বিস্তর গবেষণা হয়, যুদ্ধের পর [url=http://en.wikipedia.org/wiki/Victor's_justice] বিজিতের উপর বিজয়ীর অত্যাচার [/url] নিয়েও তেমনি অনেক অনুসন্ধানী রিপোর্ট হয়ে থাকে। বিজিতের উপর বিজয়ীর অত্যাচার ভয়ংকর হতে পারে। এমনকি ধর্মের নামেও ইতিহাসে যেসব যুদ্ধ হয়েছ
আমেরিকায় যাব, নিউ মেক্সিকো অঙ্গরাজ্যে। একথা কাউকে বলতে গেলেই মুশকিলে পড়ে যাই। সবার প্রশ্ন একটাই - মানুষ পড়তে যায় লন্ডন আমেরিকায় তা বাবা তুমি কেন মেক্সিকো যাচ্ছ? এই প্রশ্নের জবাব দেওয়া মুশকিল। দ্বারস্থ হতে হয় প্রথমে টেক্সাসের। টেক্সাসের পাশেই যে নিউ মেক্সিকো আর সেটা যে আমেরিকাতেই এটা কষ্ট করে বোঝাতে পারলেও চোখ সরু করে সন্দেহের দৃষ্টিতে তাকানোটা অগ্রাহ্য করতে পারিনা। কেউ কেউ টেক্সাসটা কোন দিকে জানতে চান, তাকে তখন নিউইয়র্ক থেকে টেনে নিচে আনা লাগে। সৌভাগ্যের বিষয়
১
১৮৫৭, বৃটিশ ভারত। দাবানলের মত সিপাহী বিদ্রোহ ছড়িয়ে পড়েছে মীরাট থেকে দিল্লী পর্যন্ত। অনেক দিনের জমা হওয়া বঞ্চনা আর ক্ষোভের আগুন সিপাহীদের ব্যারাকের বাইরে এসে বিদ্রোহ করতে উদ্ধুদ্ধ করে। তবে পরিকল্পনাহীন বিদ্রোহ মুখ থুবড়ে পড়ে স্বল্প সময়ে। নানা সাহিব সহ কয়েকজনের হঠকারিতায় জিম্মি কয়েকশ ইয়োরোপীয় নারী ও শিশুদের হত্যা করে নিক্ষেপ করা হয় কূপে। প্রতিশোধে উন্মত্ত ব্রিটিশরা এর প্রতিশোধ নেয় দশ বছর ধরে কয়েক লাখ সামরিক-অসামরিক ভারতীয়কে নির্মমভাবে হত্যা করে। [১]
[justify]
পাকিস্তানি জেনারেলদের প্রতি শর্মিলা বসুর বাড়তি আকর্ষণ আছে। গণহত্যাকারী এই বর্বরদের হত্যাকাণ্ড নিয়ে বাংলা ভাষায়, ইংরেজি ভাষায় প্রচুর বই ছড়িয়ে আছে। একাত্তরে ছড়িয়ে থাকা সত্যমিথ্যার মধ্যে তিনি পাকিস্তানি জেনারেলদের কথার মধ্যে সত্যতা বেশি পান। খুঁজেপেতে সেটাই প্রকাশ করেন। যখন তিনি একাত্তরের যুদ্ধে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর যুদ্ধাপরাধকে অস্বীকার করেন আর সেটা প্রমাণ করতে চান সেসব যুদ্ধাপরাধীদের বক্তব্য দিয়ে তখন তার বক্তব্যকে জোরালোভাবে প্রতিহত করার প্রয়োজন দেখা দেয়। একাত্তরের যুদ্ধে শোষক শোষিতের সমীকরণকে পালটে দেয়ার একটা দায় তিনি কাঁধে নিয়েছেন। এর পেছনে কারা তাকে চালিত করছে সেটা নিয়ে নানারকম বক্তব্য পাওয়া যায়। একাত্তর নিয়ে বক্তব্যের নতুনত্বের জন্য পাকিস্তানপন্থী ব্লগ, পত্রিকা তার কথাকে গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করে। শর্মিলা বসু পাকিস্তানি জেনারেলদের গুণগান প্রথম করেছিলেন পাকিস্তানের ‘দা ডেইলি টাইমস্’ পত্রিকায়। ‘The courageous Pakistan army stand on the eastern front’ শিরোনামের এই লেখায় তিনি যুদ্ধাপরাধী নিয়াজির ব্যাপারে বসুর ভূয়সী প্রশংসা করেছেন-