একটু বিরতি দিয়ে আবারও এলো বিশ্বকাপ প্রেডিকশন গেম।
আজ সকালে পত্রিকা খুলতেই দেখলাম নারী নীতিমালা মন্ত্রি সভায় অনুমোদিত হয়েছে। তারপর থেকেই ভয়ে ছিলাম কখন তথাকথিত ইসলাম রক্ষাকারি দের লাফালাফি শুরু হয়।এখন দেখলাম তেনারা হরতাল ডেকেছেন।
বহুদিন বাদে আমরা আবার বসলাম কবিতার আড্ডায়। নিত্যদিনের ব্যস্ততা ঠেলে এই ধরণের আড্ডায় সচরাচর বসা হয় না আমাদের। কিন্তু একবার বসলে সময়ের তশতরীতে চুমুক দিয়ে আমরা আকণ্ঠ শুষে নেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা। মধুরতম আলাপনে কেটে যায় প্রহরের পর প্রহর। মৃন্ময় স্বপ্নেরা একদল সবুজ শিশুর বন্ধনহীন আনন্দ ছড়িয়ে ছুটোছুটি করে আমাদের চোখের ভেতরের মধু-কুপি ঘাসের চত্ত্বরে।
কনকনে শীতল বাতাস। গলাবন্ধ সোয়েটারেও মানছে না। ঠকঠক করে দাঁতে দাঁত বাড়ি খাচ্ছে। কানমাথা সব ঢাকা আছে তবু এই বেদিশা ঠান্ডায় কাবু হয়ে আছে মুহিব। পকেট থেকে প্রায় চ্যাপটা হয়ে যাওয়া মার্লবরোর প্যাকেট বের করে গুনে দেখলো, মাত্র পাঁচটা বাকী আছে। সামনে যদিও দীর্ঘ রাত, হাতে সময় অল্প, এই পাঁচটাতেই হবে। গত পনের দিন ধরে রাতগুলো যেন সারাজীবন দেখে আসা রাতের চেয়ে অনেক বেশী দীর্ঘতর। সব দুঃসময়ের রাতই দীর্ঘ হয়।