সচল শুভশীষদা'র লেখা ছয় শব্দের গল্প পড়ে হেমিংওয়ের বিখ্যাত ছয় শব্দের গল্পের(For sale: baby shoes, never worn) সাথে পরিচিত হই। সেই সাথে গল্পের এই ধারা মাথায় গেঁথে যায়। ফেসবুক যুগে যখন সাম্প্রতিক ঘটনা কিছু ঘটলেই মাথায় ফেসবুক স্ট্যাটাসের মকশো করতাম, সেটা কিঞ্চিৎ পরিবর্তিত হয়ে মাথায় ঘুরতে থাকে ছয় শব্দের বাক্যগুলো। সেরকমই কয়েকটা নিয়ে ষড়ল গল্প লেখার এই প্রথম চেষ্টা। নামকরণ ষড়ল গল্পটাও শুভাশীষদা'রই করা।
আওয়ামীলীগকে কখনোই জনতা ডুবায় না, আওয়ামী লীগকে ডুবায় তাঁর অন্ধ সমর্থকদের মাত্রাতিরিক্ত ভক্তির আত্মঘাত। গতকাল এটর্নি জেনারেল বলেছেন, নোবেল পুরস্কার আসলে শেখ হাসিনা এবং সন্তু লারমার পাওয়া উচিত ছিল। এ কথার ভালো মানে করা যায়। দীর্ঘদিনের পার্বত্য চট্টগ্রামের সহিংসতা বন্ধ করে বিচ্ছিন্নতাবাদীদেরকে শান্তিচুক্তির মধ্যে নিয়ে আসার জন্য শেখ হাসিনা এবং সন্তু লারমাও নোবেল পেতেই পারেন। বারাক ওবামা 'শান্তি আনতে পা
আমি মেঘের কাছাকাছি থাকি।
দশ তলায়।
জানালা খুললেই রাস্তায় গাড়ির আওয়াজ।
আজব ব্যাপার হলো এইসব ছাপিয়েও রাত তিনটার দিকে আমি একটা কাকের ডাক শুনতে পাই।
প্রতিদিন।
ঠিক রাত তিনটায়।
এই রুটিন চলছে আজ সপ্তাহ খানেক হলো।
আগে কাকটার ডাকে আমার পাতলা ঘুম ভেঙ্গে যেতো।
আর এখন নিজেই অপেক্ষা করি।
ঘড়ি মিলিয়ে দেখি।
বিষণ্ণ পাগলাটে কাকটা এখন আমার সময়ের পাহারাদার।
কয়েকটি ঘর, কয়েকটি মহল্লা। রাস্তা দালান বাজার বিজলী-খাম্বা পানের-পিক কাক আর বস্তি। ইট কাঠ ইস্পাত কাঁচ আর ঘাম মিশিয়ে যে সরলরেখার সমাবেশ। একে আমরা শহর বলতে শিখি। এর সাথে আমাদের পরিচিতি ঘটে যায় অনেক আগেই। কিন্তু ঠিক সেই শহরটিই যে একটি জীবন্ত প্রাণী, সে রহস্য ক্রমাগত আমাদের আওতার আবডালে চলে যেতে থাকে।
একটু বিরতি দিয়ে আবারও এলো বিশ্বকাপ প্রেডিকশন গেম।
আজ সকালে পত্রিকা খুলতেই দেখলাম নারী নীতিমালা মন্ত্রি সভায় অনুমোদিত হয়েছে। তারপর থেকেই ভয়ে ছিলাম কখন তথাকথিত ইসলাম রক্ষাকারি দের লাফালাফি শুরু হয়।এখন দেখলাম তেনারা হরতাল ডেকেছেন।
বহুদিন বাদে আমরা আবার বসলাম কবিতার আড্ডায়। নিত্যদিনের ব্যস্ততা ঠেলে এই ধরণের আড্ডায় সচরাচর বসা হয় না আমাদের। কিন্তু একবার বসলে সময়ের তশতরীতে চুমুক দিয়ে আমরা আকণ্ঠ শুষে নেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা। মধুরতম আলাপনে কেটে যায় প্রহরের পর প্রহর। মৃন্ময় স্বপ্নেরা একদল সবুজ শিশুর বন্ধনহীন আনন্দ ছড়িয়ে ছুটোছুটি করে আমাদের চোখের ভেতরের মধু-কুপি ঘাসের চত্ত্বরে।
কনকনে শীতল বাতাস। গলাবন্ধ সোয়েটারেও মানছে না। ঠকঠক করে দাঁতে দাঁত বাড়ি খাচ্ছে। কানমাথা সব ঢাকা আছে তবু এই বেদিশা ঠান্ডায় কাবু হয়ে আছে মুহিব। পকেট থেকে প্রায় চ্যাপটা হয়ে যাওয়া মার্লবরোর প্যাকেট বের করে গুনে দেখলো, মাত্র পাঁচটা বাকী আছে। সামনে যদিও দীর্ঘ রাত, হাতে সময় অল্প, এই পাঁচটাতেই হবে। গত পনের দিন ধরে রাতগুলো যেন সারাজীবন দেখে আসা রাতের চেয়ে অনেক বেশী দীর্ঘতর। সব দুঃসময়ের রাতই দীর্ঘ হয়।
সালেক খোকন
ভোর হতেই চারপাশের দৃশ্য বদলে যায়। হালকা কুয়াশার আবরণ চারপাশে। পাহাড়চেরা উঁচুনিচু রাস্তা ধরে ছুটে চলে আমাদের বাসটি। আঁকাবাঁকা সবুজে ঘেরা পথ। সকাল ঠিক ৮টা। সুপারভাইজার চেচিয়ে ডাকে ‘এক নম্বর ঘাট’। এই ঘাটটি দেশের একেবারে শেষ প্রান্ত টেকনাফে। সেখান থেকেই এলসিটি কুতুবদিয়া জাহাজটি ছেড়ে যায় সেন্টমার্টিন দ্বীপে।
আমার আম্মার সম্পর্কে আগে সচলায়তনে একটা লেখা পোষ্ট করেছিলাম। আমার আম্মার গল্পঃ এ মাদার এ ওয়ারিয়র। খুলনায় এই মুহুর্তে অনেকগুলো জাতীয় পর্যায়ের সংগঠন মিলে ৫জন কৃতি নারীকে এবং একজন পুরুষকে আন্তর্জাতিক নারী দিবসের ১০০ বছরপূর্তীতে সন্মাননায় ভূষিত করছে। গতকালই তারা আম্মাকে এই সন্মাননার কথা জানিয়েছেন। এরা হচ্ছেন-