তাঁকে দেখি আমি কুয়াশার পথ হেঁটে হেঁটে
আবার এলেন ফিরে এই বাংলায়।
নিপুণ আতশি কাঁচ তাঁর বারবার
আদিগন্ত খুঁজে ফিরে সবুজ ফড়িং,
নির্মোহ তাঁর দুটি চোখে অজস্র নক্ষত্রের ঝাঁক
নির্জন রাতের কোলে রূপোলী ইলিশের মতো জেগে উঠে।
এই বাংলার মিহি ঘাসে, জলসিড়ি নদীটির পাড়ে শুয়ে
অশ্বত্থের সাথে কথা হয় তাঁর
ঘুমের শান্তির সাথে কখনো বা হয় অভিসার।
মাঝরাতে দেখি অদ্ভুত আঁধার ঠেলে
এই সময়ের প্রতিটি নগরে কৃত্তিমতা জমে ওঠে
দীর্ঘশ্বাস ছাপিয়ে যখন স্বপ্নরা মৃতজন্মে
আস্তে আস্তে গড়ে জীবনের পরমায়ু;
হেঁটে চলা অনিশ্চয়তায় অবাধ্য দৃষ্টি,
বিষাক্ত নিলয়ের গভীরতা,
অনাহুত সম্পর্কের বুনট আর
স্থবির কিছু সন্দেহ।
ত্রিপুরা রূপকথা অনুযায়ী পশুপাখির দৃষ্টিতে মানুষ হলো ফালিফালি করে কাটা এক অদ্ভুত প্রাণী। হাতির ঠ্যাঙের মতো একটা মাংসখণ্ডকে প্রথমে নিচের দিক থেকে অর্ধেক ফেড়ে বানানো হয়েছে তাদের পা। পাশ থেকে ধারালো ছোরা দিয়ে লম্বালম্বি দুইফালি মাংস ফেড়ে বানানো হয়েছে হাত। তারপর মুগুরে থেঁতলানো হাতপায়ের চ্যাপ্টা মাথা কেটে কেটে বানানো হয়েছে পাঁচফালি আঙুল...
চাঁদের আলো নিয়ে জন্মেছিল সে। হতদরিদ্র পরিবারেও উজ্জ্বলতা আর আনন্দের হাওয়াই মিঠাই উড়িয়েছিল। কচুঘেচু খেয়েও ফর্সা সুন্দর স্বাস্থ্যবান শরীরের শিশু। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে সমস্যার উৎপত্তি। চার পাঁচ বছরে এসেও বুদ্ধি শুদ্ধির লক্ষণ নেই। দশ বছর পেরিয়ে গেলেও অবুঝ শিশু রয়ে যায়। মায়ের কোলে কোলে ঘুরতে চায়। ডাক্তার বৈদ্য দেখানোর পর বিষন্ন পিতামাতা জেনে যায় ছেলে জন্ম প্রতিবন্ধী, চিকিৎসায় ফল নেই।
আভিজাত্যের সিল কপালেতে সেঁটে
বিলেতি ডিগ্রি নিয়ে শ্যাম্পেইন পেটে
ভাড়া খেটে বাড়া চেটে যারা হয় পশু,
তাহাদের "পিচিডেন্ট" শর্মিলা বসু!
আব্দুল মতিনের শরীর শিরশির করে। বিড়বিড় করে বলে উঠে ‘আহ!’। হাত দুইটা ঢুকিয়ে দেয় দুই উরুর মাঝখানে। ভলভো বাসের দোতলার ঝাঁকুনি আর গায়ের উপর চড়ে যাওয়া মানুষ সবই ভাল্লাগে তার। ডান হাতটাতে এখনও মাখন মাখন অনুভূতি।
একটা বিষয় আমাকে খুব খোঁচাচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত আর থাকতে না পেরে এ গল্পটা লিখলাম। এটা একটা বিষয় ভিত্তিক লেখা। একটা সুস্পষ্ট ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এই গল্পের অবতারণা। - লেখক।
[justify]১
নাজনিন দ্রুত টাকাগুলো গুনে টিনের কৌটায় ভরে রাখে। পাশে তখনও পড়ে ছিল ভাঙ্গা মাটির ব্যাঙ্কটা। চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ভাঙ্গা টুকরাগুলো। সব কেমন যেন এলোমেলো।
অভ্র কী, সেই পরিচয় দেওয়ার জন্য এই লেখা না...
অভ্রর গুনগান গাওয়ার জন্যও না...
মেহদী হাসান খান এমনিতেই লাজুক ছেলে, তাকে নতুন করে লজ্জা দেওয়ার জন্যও এই পোস্ট না...
তাহলে এই লেখা কেন?
আমি মনে করি অভ্রর কাছে আমার অনেক ঋণ
আর এই জিনিস বানানোর অপরাধে মেহদীকে আজীবন শ্রদ্ধা জানায়ে বিব্রত করা জায়েজ আছে।
ক্ষমতা থাকলে মেহদীকে একুশে পদক দিতাম। পারি না...
কিন্তু অন্তত একটা কাজ করতে পারি
[justify]
১.
আজ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে পাকিস্তানের সাংবাদিক হামিদ মীরের একটি লেখা ছাপা হয়েছে দৈনিক প্রথম আলোতে ‘বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা চেয়ে প্রস্তাব নেওয়া উচিত’ শিরোনামে।