এক
মুন্সি সাব মিলিটারি আইছে। মনে অয় ওগো বড় সাব। কাজের ছেলে দেলু এসে ফিসফিস করে হোসেন মুন্সিকে খবরটা দিলো।
মুন্সির মেজাজটা খিচড়ে গেলো ফিসফিস করে কথা বলতে শুনে। ধমকে বললেন, “হারামির বাচ্চার মুখ দিয়া যেন কতা বেরুইতাছে না। মিলিটারি আয়ে নাই যেন ভূত আইছে”।
দেলু চুপ করে দাঁড়িয়েছিলো। তিনি আবার হুঙ্কার দিলেন, “দারাই আসছ কে? জলদি গিয়া বসার ঘরের দরজাটা খোল হারামজাদা। তাড়াতাড়ি যা”।
[justify]
একটা না-লেখা ভ্রমণকথা
জালিয়ানওয়ালা বাগ থেকে হরমন্দির সাহিব ১০ মিনিটের পথও না। গিয়েছিলাম ২০১০ এর এপ্রিলে। এপ্রিল নিষ্ঠুর মাস, মৃত জমিনে সে লাইলাক ফোঁটায়, স্মৃতি আর আকাঙ্ক্ষার মিশেলে … এলিয়টকে মনে পড়ে, গরমে। জালিয়ানওয়ালা বাগে ডায়ারবাহিনীর বুলেট গেঁথে আছে দেয়ালে। বাঁধিয়ে রাখা সেই দেয়াল। অসংখ্য মানুষ যায় আসে। আমি ঘাস দেখি, বেল গাছ দেখি আর ঐ কুয়াটার কাছে যাই।
আমি রাজাকারদের বিচার চাই। আমার বয়সী তেইশ চব্বিশ বছর বয়সের প্রায় সবাই তাই চায়। যার প্রতিফলণ গত নির্বাচনেই দেখা গেছে। জামাতে ইসলামী ভোট না পেয়ে মাটিতে গড়াগড়ি খেলো।
ঢাকা-ব্যাংকক-ওসাকা-সানফ্রানসিস্কো দীর্ঘ সাতাশ ঘন্টার বিমান জার্নি৷ হৃদি আয়নায় তাকাল৷ তার মসৃণ মুখ ন্#৮৭২২;ান হয়ে গেছে৷ হৃদি লাগেজ খুলে দীর্ঘ চুলে শ্যাম্পু করে শাওয়ার সেরে নিল৷ চুল শ্যাম্পু করার সাথে মন ফ্রেশ হওয়ার একটা যোগাযোগ অবশ্যই আছে৷ মাথা হালকা লাগে৷ ফুরফুরা একটা ভাব তৈরী হয়৷ মনে ফূর্তি আসে৷ কেউ কেউ গান ধরে৷ পঁয়ত্রিশ তালা হোটেল ম্যারিয়ট বিল্ডিংয়ের নিস্তব্ধ ১৩১৩ নম্বর কক্ষ৷ সন্ধে সাতটা৷ হৃদির
ড: শর্মিলা বোসকে নিয়ে সচলের পাতায় লিখেছিলাম প্রায় তিন বছর আগে। সম্প্রতি তিনি আবারও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হচ্ছেন তার লেখা বই "ডেড রেকনিং: মেমোরীজ অফ বাংলাদেশ অফ দ্য নাইনটিন সেভেনটিন ওয়ান" বইটি প্রকাশের প্রাক্কাল
জাহান মণি, সোমালি জলদস্যু আর বড়দিনের আগুন - ২৫/১২/২০১১
সোমবার সকালে কাজে থাকায় খেলার আপডেটের জন্যে ইন্টারেনেটই ভরসা ছিল, বাড়ি ফিরে রোজ দিনকার মতোই দেখি ইলেক্ট্রেসিটি নাই। কিন্তু টিভি ছাড়ার সুযোগ পাওয়ার পরে খেলার বদলে যে খবরটা সবার আগে দৃষ্টি আকর্ষণ করলো তা হলো দীর্ঘ ৯৮ দিন পরে অবশেষে বাংলাদেশী কার্গো জাহাজ ‘এম ভি জাহান মণি’ সোমালি জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্তি পেয়ে রওনা হয়েছে। বলা বাহুল্য নিজের অজান্তেই একটা স্বস্তির নিশ্বাস ফেললাম।
তারা দুই বন্ধু।
দুইজনেরই জীবনে অনেক কিছু করার শখ ছিলো, শেষমেশ সেসব শখের কিছুই করতে না পেরে তারা ছকে বাঁধা জীবনে অভ্যস্ত হয়ার চেষ্টা করে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অফিস করে, বাসায় ফেরে তারপর ঘুমায়। আবার পরের দিন যায় অফিসে। তাই প্রতি সপ্তাহ শেষে দুই বন্ধু এই নিরামিষ জীবনের হতাশা দূর করতে বার-এ যায় চিবিয়ে একদম ছিবড়ে করে ফেলা জীবনটায় সাময়িক উত্তেজনা আনতে।
এই বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের কাছে প্রত্যাশা ছিল অন্তত তিনটি জয়। বাংলাদেশ দলকে ধন্যবাদ, আস্থার প্রতিদান দেবার জন্য। যারা দলের দুঃসময়েও পাশে থাকার মত প্রকৃত সমর্থন যুগিয়েছেন তাদের জন্য এই প্রতিদান আরো বিশেষ কিছু।
লোকটা আমার একদম গা ঘেঁষে বসে। আমি বিরক্ত হই। নাগরিক ভব্যতা বজায় রেখে সে বিরক্তি অবশ্য লোকটাকে বুঝতে দিই না। অর্থপূর্ণ একটা হাসি দিই। লোকটা মনে হয় না আমার হাসির অর্থ ধরতে পারে। আমি আগাগোড়া লোকটাকে একবার দেখে নিই। নিম্ন-মধ্যবিত্তীয় একটা ছাপ লোকটার চোখে মুখে স্পষ্ট। এর ব্যাকগ্রাউন্ড বোঝার জন্যে শার্লক হোমস বা ফেলুদা হওয়া লাগে না। একবার দেখেই আপনি বুঝতে পারবেন, এই লোক বেশিদিন হয়নি এই শহরে এসেছে। ভয়াবহ
সচলত্ব প্রাপ্তির পর প্রথম লেখা