অনুগল্পের সংজ্ঞা কী আমি জানি না, এজন্য এগুলোকে অনুগল্প বলতে সাহস পেলাম না। পরমানু গল্প, হলেও হতে পারে।
আচ্ছা, সাধারণ একজন মানুষ যখন বোঝে সে খুবই সাধারণ তখন তার মানসিকতা কেমন হয়?
অসহায়ত্বের??তুচ্ছত্বের?নাকি অসন্তুষ্টির?কিংবা সুখের?
অনেককিছুই হতে পারে।
আমি প্রায়ই এ অনুভূতিগুলোর শিকার হই।
প্রথম প্রথম নিজেকে প্রবোধ দিতাম, “আরে ও কিছু না। সবার মাঝেই কিছু না কিছু লুকানো থাকে।তোরও আছে। অপেক্ষায় থাক।”
কিন্তু নিজের দীনতাকে ঢাকবার চেষ্টা স্ববিরোধী তো বটেই কেমন যেন একটু কষ্টের। পীড়া শুরু হল।
গণহত্যা সংখ্যা দিয়ে বিচার হয় না, বিচার হয় হত্যার প্রকৃতি দিয়ে। বাংলাদেশের গণহত্যা, সেই ২৬ মার্চেই ইয়াহিয়াও অস্বীকার করে বলেছিলেন, জনা পঞ্চাশেক মানুষ মারা পড়তে পারে; তার উত্তরসুরী শর্মিলা বসু তো এভাবেই ভাববেন। কিংবা রুবাইয়াতের মাথায় তো পাকিস্তানী হত্যাযজ্ঞের চেয়ে ভালবাসাবাসিটাই মুখ্য হয়ে যাবে।অনেকদিন ধরেই দেখছি ৩০ লক্ষ শহীদের সংখ্যা নিয়ে বাংলাদেশের কয়েকটি রাজনৈতিক দল বা কিছু সংখ্যক ল
[justify]
গ্রীড ইজ গুড। ওয়ালস্ট্রিট সিনেমায় গেকোর এই কথাটার পরে আমাদের সমাজটা পালটে যায়। রাজনীতি, ধর্ম, খেলা, কুচকাওয়াজ সবকিছু অর্থনীতির ওপর নির্ভর করে নিজের নিজের মুখোশ বদলাতে থাকে। মুনাফাকে কেন্দ্র ধরে শুরু হয় রিগ্যানোমিকস্, থ্যাচারিজম প্রভৃতি। গরিব কর্মহীন মানুষকে অনুৎপাদিত ক্ষেত্র না ধরে সেখানে চালু হয় এনজিওমিকস্। গরিব দীর্ঘমেয়াদে গরিবিহালে বাঁচে আর মুনাফার শ্রমযন্ত্র হয়ে কাজ করতে থাকে।
শুভ কোনদিন স্বপ্ন দেখেনি। দিবা-রাত্রি-দুপুর-সন্ধ্যা কোন সময়ই, ঘুমে কিংবা আধো-ঘুমে একটিবারের জন্যও স্বপ্ন দেখেনি সে।
যখন ছোট ছিলো, তখন সে সবাইকে বলতে শুনতো স্বপ্নের কথা। "স্বপ্ন কী মা?" একদিন মাকে নাকি জিজ্ঞেস করে শুভ। মা বলেছিলেন, "ঘুমের মধ্যে সবাই দেখে, নানারকম সব ঘটনা, এই নিজেদের নিয়েই।"
"কী দেখে মা?"
[justify]হোসেন মিয়া রিকশা চালায়। যখন প্যাডেল মারতে আর মন চায়না, তখন মেয়ে প্যাসেঞ্জার খুঁজে বের করে। সবচেয়ে ভালো হয় কলেজ-ইউনিভার্সিটির ছাত্রী তুলতে পারলে। যা ভাড়া বলবে রাজী হয়ে যেতে হবে। তারপর উঠে বসলে হুডটা ঠিকঠাক লাগানোর পর কথা শুরু করতে হবে। এই খুচরা আলাপ আর কি। যেমন - মা আপনি কি ইনবার্সিটিতে পড়েন? কথা আগালেই সরাসরি আসল কথায় চলে যায় হোসেন মিয়া। আমি ভয়াবহ বিপদে পড়সি মা, কালকের মধ্যে ৭শ’ টাকা না দিলে আমার মাইয়ারে ইস্কুল থিকা বাইর কইরা দিবো। আমার দুই ছেলে এক মেয়ে মা। অনেক কষ্ট কইরা পড়াশোনা করাইতেসি। ম্যাট্রিক পাশ করলেই মাইয়ার বিয়া দিয়া দিমু। বই-খাতার যেই দাম। আর পারি না...
ডনোভান চমকে পাওয়েলের দিকে তাকালো, “বাজি ধরে বলতে পারি এই মাথানষ্ট লোহার জঞ্জালটা এনার্জি কনভার্টারের কথা বলছে।”
পাওয়েল হাসি সামলাতে পারলো না, “সত্যি নাকি, কিউ টি?”
“আমি প্রভুর কথা বলছি”, শান্ত, তীক্ষ্ণ উত্তর এলো।
১.
[justify]অনূঢ়কালঃ
আনমনে আনাগোনা মেঘময় মইতে,
উদাসীন জালবোনা স্মৃতিগড়া বইতে;
নীলহারা আসমানে মেঘালয় দুর্মর,
ঝিরিঝিরি বারিধারা মায়াময় মর্মর।
এইপারে বুনোঘাস কেঁপেকেঁপে উচ্ছল,
ওইদূরে তটিনীর জলনাচে চঞ্চল;
মনভরে স্নানসেরে গাছসব পাতাতে
চারিদিক ঝরঝর সুরময় দোলাতে।
মানুষ নাকি তার স্বপ্নের সমান বড়। সে হিসেবে এখন আমার শিশুসম অবস্থা, যদিও কালে কালে বয়স আটাশ পেরিয়ে গেছে। বেঁচে থাকলে মানুষ বারে বারে বদলায়, আর সেইসাথে স্বপ্নের পরিধি ম্যাক্সওয়েলের তড়িৎ চুম্বকীয় তত্তের মতন পাক খেয়ে একটা ক্ষুদ্র বিন্দুতে চলে আসে।