[justify]আমার প্রথম স্কুলের স্মৃতি তেমন মনে নেই, অল্প কিছু ছাড়া। আমার যে ঘিলু, তাতে না থাকাই স্বাভাবিক। এইনিয়ে আমার আক্ষেপ নেই, শুধু মাঝে মাঝে একটু দুঃখ পাই। আমার পরিচিত বন্ধুরা কী সুন্দর করে তাদের প্রথম স্কুলের নানা স্মরণীয় ঘটনা আওড়ে নিজেদের শৈশবের অমৃত আস্বাদন করে। আর আমি তা শুনে শুনে দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাই। ব্যাপারটা বড়ই বেদনাদায়ক। এবং নিজের কাছে চরম অস্বস্তিকর। মানুষের জীবনের অন্যতম চমৎকার একটা সময়ের স্মৃতি তেমন কিছুই মনে নেই! সব হজম করে ফেলেছি! এ কীভাবে সম্ভব? মাথায় মাঝে মাঝে একান্তে ঝাঁকি দিয়ে বোঝার চেষ্টা করি কোন মডেলের হাঁদারাম এটা। টকটক শব্দ হয় শুধু, আর কিছু মেলেনা। ইদানিং পরিচিত কয়েকজনের স্কুলের প্রথম অভিজ্ঞতার কিছু অসাধারণ রোমন্থন পড়লাম। তারপর থেকে বেশি বেশি মনে করার চেষ্টা করছি নিজের স্মৃতি। কিন্তু ঘুরেফিরে মনে থাকা ঘটনাই আবার চলে আসছে স্মরণে। নতুন কিছু মিলছেনা। কিন্তু সবচেয়ে অবাক করা ব্যাপার হলো, সাথে একটা সেই সময়ের শোনা
[justify]
গেরিলা, হেহ! হাফমিদুল হাসে মিটিমিটি।
কাজটা মার্চ মাসে যতটা কঠিন ছিলো, এপ্রিলে এসে ততটাই সহজ হয়ে গেছে। কত সব ঘটনা ঘটে চলছে চারপাশে, মানুষের ছোট্ট স্মৃতি কতটুকু আর আগলে রাখতে পারে? যতই দিন যাচ্ছে, আসল কথা ভুলে যাচ্ছে লোকে। এখন প্রোপাগাণ্ডা মেশিনে স্টার্ট দিতে হবে, মনে মনে ভাবে হাফমিদুল হক। মেহেরযৌবন নিষিদ্ধ কেন কর্তৃপক্ষ জবাব চাই!
মেঘ আর রোদ্দুর
---------------- প্রখর রোদ্দুর
লাল খামেতে চিঠি এলো
মন খারাপের রাতে
স্বপ্ন মাসি গাঙ্গ পেরুবে
ডাক পিয়নের নাতে ।
চিঠি ছিলো হলুদ খামে
সাদা, ধূসর হরেক রঙে
কমলা খামের বিলিও শেষ
নীল টা বাকী লুকোনো নামে ।
প্রদীপ যেমন নিভার আগে একবার দপ্ করে জ্বলে ওঠে, তেমনি কাসেম সাহেব বছর খানেক আগে সাতাত্তুর বছর বয়সে জ্বলে উঠেছিলেন একবার। ‘নিরবকুঞ্জ’ নামের ছায়া সুনিবিড় বাড়ীটিতে তিনি তাঁর পুরাতন স্ত্রীকে নিয়ে থাকেন, তবে আলাদা খাটে। আর ছেলে-মেয়েরা নিজেদের ‘নিউক্লিয়ার ফ্যামিলি’ নিয়ে স্ব-স্ব ফ্ল্যাটে ব্যস্ত। সকলেই আর্থিক ভাবে বেশ স্বচ্ছল। বাবা-মা’র সব ধরনের প্রয়োজন মেটাতে কেউ সামান্যতম কার্পণ্য করে না, শুধুমাত্র সঙ্গ
১.
হাইস্কুল জীবনটা ছিল মোটামুটি জঘন্য রকমের। ক্লাস সিক্সে ওঠার পর ভুগোল, ইতিহাস, ধর্ম, বাংলা ব্যাকরন, ইংরেজী গ্রামার,পাটীগনিত, জ্যামিতি ইত্যাদির অত্যাচারে দম বন্ধ হয়ে আসতো সময় সময়। সিক্স থেকে এইট এই তিন বছরের যেসব স্মৃতি আছে সব জ্যৈষ্ঠের খরতপ্ত দুপুরের মতো ঝলসানো। বেত নামক লিকলিকে ভয়ংকর বস্তুটার সাথে প্রতিদিন দেখা সাক্ষাত হলে, আর বাড়ির কাজ যথাসময়ে শেষ না করলে যা হবার কথা আর কি।
হঠাৎ কালিম্পং! তুষারিত নদীটির তীর,
সেখানে লাবণ্যপ্রভা বসে থাকে অবসাদে একা
শেষের কবিতা রূপে সে বিষাদ হয়েছিলো দেখা
করুণ স্বপ্ন নিয়ে বুনে যায় আজো তার নীড়।
ভরপুর ঝরে পড়া ধাঁধাশীল ভালোবাসা তুই,
চেরাপুঞ্জির পথে ধাবমান নদীর ওপর
সন্ধ্যারা বাড়ি এলে পাখি পরে পাতার টোপর
চারফোঁটা নোনাজল সোনাঝরা আবেগী চড়ুই।
[justify]নির্লিপ্ত নটরডেম কলেজ থেকে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণে গিয়েছিল লৌহজং। তাদের সাথে হলিক্রস কলেজের কিছু মেয়েও গিয়েছিল। এদের মাঝে একজন ছিল অন্তরা বিশ্বাস। সেই সূত্রেই প্রথম পরিচয়। প্রথম পরিচয়ে অন্তরা অবশ্য নিজের সারনেম ভুল দিয়েছিল। সেই নামেই অন্তরাকে চিনে নির্লিপ্ত।
নতুন কেনা লেক্সাসের নরম চামড়ায় হেলান দিয়ে মুচকি হাসির সাথে একটা তৃপ্তির শ্বাস ছাড়ে নুমায়ের মাহমেদ। সুমি আনাদিল খান, না! হট বেইব, হট নেইম! মাগী দামী গাড়ি আর দামী রেস্টোরান্ট পছন্দ করে,গতির পেছনে ছোটে। সেই গতি নুমায়ের দিতে পারে এখন, কিন্তু আনাদিলের জন্য আর কতটাই বা বরাদ্দ রাখা যায় তার মহামূল্যবান সময়ের? সাময়িক বিনোদন, ছুঁড়ে ফেলে দাও একটু পরেই, এমন কত খানম-চৌধুরানী পেছন পেছন ঘুরবে!
উন্মোচিত গল্পের রাত পার হয়ে যায়
পেছনে রেখে আসি ঝিঁঝিঁর ঘুঙুর।
নরম-শান্ত এক টুকরো আলো আসন পাতে
চোখের ভেতর আর পাখির পরশে
মগ্নতা ভাঙে বেকার আকাশ-
বিছিন্ন জীবনের ওপর ধূলো ছিটিয়ে দূরের পথে
চলে গেলো একজোড়া পা।
বিসর্জনের পৃষ্ঠা ওল্টাতে গেলে বুক ফেটে যায়
অথৈ পিপাসায়। তবু প্রার্থনা; বৃষ্টি নামুক এ-শহরে,
আরো একবার কাঁদুক একলা পাথর!
তারপরও রোদ, টুকরানো চিঠির মতোন