কিছু ওয়েব-সাইট আর ফেইসবুকের কল্যাণে লাখো মানুষের কাছে একটা তথ্য পৌঁছে গেছে যে সেল ফোন ব্যবহার করে গোপন ক্যামেরা সনাক্ত করা সম্ভব। ঐখানে যেভাবে সনাক্তকরণের কথা বলা হয়েছে সেটা টেলিকম এ পড়াশোনা করা একজন হিসেবে আমাকে বেশ ভাবালো। সেই থেকে আমি, আমার বন্ধু পার্থ আর আবরার মিলে এই লেখাটা দাঁড় করালাম। আশাকরি অনেকের কাজে লাগবে।
আমার বন্ধু সনেট কিছুদিন আগে 'শেলটেক ক্যাম্পাস হিরো' নামের এক রিয়েলিটি শো তে অংশ নিয়েছিলো। শো এর উদ্যোক্তা চ্যানেল আই। বলতেই হবে, চ্যানেল আই'র হাতেগোনা কিছু ভালো উদ্যোগের মধ্যে এটি একটি। তো, বন্ধুত্বের খাতিরেই হোক আর জমাট সন্ধ্যায় রিমোট নিয়ে গুঁতোগুঁতি করতে করতেই হোক, এই প্রোগ্রামের বেশ কয়েকটি পর্ব দেখবার সৌভাগ্য আমার হয়েছিলো। শুরুর দিকের কোন এক পর্বে আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যার দারুণ একটি কথা বলেছি
[justify] আজকাল ঘুমাতে পারিনা একেবারেই। ঠিক সময়ে ঘুম না আসার এই রোগটা অবশ্য পরিবারের সবারই কম বেশী আছে। প্রচণ্ড ক্লান্ত থাকা স্বত্বেও ঘুমাতে পারি না এতটুকুও। মনের কোন এক সঙ্কীর্ণ এলাকা থেকে দাঁত আর নখ নিয়ে আলতো পায়ে হানা দেয় একটা আজব ভয় তখন। ঘুম হীন রাত গুলো চোখের নিচে কাকের পা বসিয়ে গেলেও করার কিছুই থাকে না। এভাবে রাতের পর রাত না ঘুমানোর ভোতা একটা যন্ত্রণা নিয়ে কাটাতে হয় দিনের সবটুকুই। রাত আসলেই শুরু হয় আবার সেই ছটফটানি।
[justify]আহমদ ছফার জন্ম ১৯৪৩ সালের ৩০শে জুন চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার হাশিমপুর ইউনিয়নের গাছবাড়িয়া গ্রামে। তাঁর পিতা মরহুম হেদায়েত আলী ওরফে ধন মিয়া। মা মরহুমা আসিয়া খাতুন।
সপ্তমপর্ব
কোহেতুর পাহাড়ের গান
..............................................
ফুলের ঝুমকো
আমার মায়ের কানে দুলতে দেখেছি
এ রকম ঝুমকো :
কয়েকটি যুক্তফুলের গোলাকার গুচ্ছকে
অনুভূতির সূক্ষ্মবৃত্তে বসিয়ে
তোমার কানের দুল
এখন সত্যি সত্যিই আমি
ফুল দিয়ে বানিয়ে দিতে পারি :
তাতে- গুড়ি গুড়ি-
বুটি বুটি
ঝুলে থাকবে-
হলুদ-
সবুজঝুরি...।
বনের ঠিক যেখানে ওরা ফুটে আছে -
ভরদুপুরে নিরিবিলি
তাদের সমুখে দাঁড়িয়ে বলেছি :
হে আমার মায়ের কানের ঝুমকো,
১. লেখক
তার-ও আছে শরৎচিঠি ফড়িংরঙ খুব
রাতের অনুষদে
নক্ষত্রের ভবঘুরে আলো হয়ে ওঠে অতি-বেগুনি
নিরর্থক জীবনকে অর্থময় করে তোলার প্রচেষ্টা নিরন্তর।
জাগতিক জীবনে সঞ্চিত অভিজ্ঞতা ...
আন্ধকার থেকে আলোয় আসতে ,
ছিন্ন ভিন্ন করেছি অসংখ্য অদৃশ্য জাল।
আকন্ঠ পান করেছি জীবনসুধা,
নিমগ্ন থেকেছি নৈসর্গিক চেতনায়।
পথ চলতে চলতে ক্লান্ত হয়ে ,
শুয়ে পড়েছি সবুজ ঘাসের বুকে।
শান্ত দিঘির জলে নিজেকে ডুবিয়েছি,
ভূলে সব ক্লান্তি।
আদিগন্ত অবারিত সবুজ মাঠে,
ছুটেছি লাটাই ছেড়া ঘুড়ির খোঁজে।
[center]০১
উন্মাতাল ঢেউ তার উত্তাল গর্জনে
বেসুরো প্রকৃতির কোন কোণে
পাহাড়ের সারি-আকাশকে ছাপিয়ে
অসীম থেকে শুরু আর
পায়ে আছড়ে পড়ে শেষ আমার!
০২
পাশে বালুচর সমুদ্র; শেষে অচলের
গোমরা থমকে যাওয়া চাউনি;
বুক ফেড়ে শ্বেতস্রোতের বিন্দু বিন্দু জলে
বৃষ্টির মত ঝরনা মনে বিষণ্ন সাধ আনে!