এবার কিশোরগঞ্জ গিয়ে চোখ জুড়ানো সোনালী ক্ষেতে মানুষের ব্যাস্ততা দেখে অবাক হলাম। যতটুকু সময় পেলাম শুধু শাটার চেপেই গেলাম ... ৪ দিনে ১২ গিগাবাইট মেমরি ফুল! কিন্তু আমি আবার খুব আলসে টাইপ, তাই প্রসেসিং-এ অনেক টাইম নেই। অনেক গুঁতাগুঁতির পর কয়েকটা রেডি করতে পারলাম। সেগুলো নিয়েই এই ব্লগ।
দাপ্তরিক কাজে যশোরে এসেছিলাম। যশোর আমার পূর্ব পরিচিত। তরুণ জীবনের কিছু সোনালি দিন কাটিয়েছি এখানে। আমার সেই পরিচিত যশোর দুই দশকে ফেরে পাল্টে গেছে অনেক। বুড়ি ভৈরব আর নবগঙ্গার বুক শুকিয়ে গেছে, সবুজকে উপড়ে ফেলে অহংকারের মূর্তির মতো সারি বেঁধে দাঁড়িয়েছে আধুনিক ধাঁচের অট্টালিকার সারি। সেখানে মান আছে প্রাণ নেই। এমনিতেই এবারে কাজের ব্যস্ততা ছিল বেশি। দম ফেলবার ফুসরত মিলছিল না কিছুতেই। তার উপর কিছু নির্বোধ
চুরি বিদ্যা বড় বিদ্যা...
আজকাল পৃথিবীটা বোঝা বড় দায় হয়ে উঠেছে।
কেন বলছি এ কথা?
একটু বিশদ ব্যাখ্যা করতে হয় তাহলে।
ফুলেল বহ্ণি
স্কুলে পড়তে বাসে করে বাড়ি ফেরার সময়ে ফেব্রুয়ারি মাসে আমার প্রিয় খেলা ছিল শিমুল গাছ গোনা। যে কোন জার্নিতে আমার গল্প-গুজবে আগ্রহ বরাবর কম। হয় সাথে থাকা বই পড়ি নাহলে কয়েক দশকে স্ব-উদ্ভাবিত ‘জার্নি বাই বাস-ট্রেইন গেইম’ আছে আমার বেশ কিছু, আগ্রহী গেমারের সংখ্যা ভেদে সেগুলো মডিফাই হতে থাকে। সে সময়ে ২০-২৫টা পাতাহীন লাল-লাল শিমুলের মাথা গুনতাম প্রতিদিন। মাঝেমাঝেই দুই-চারটা এদিক সেদিক হতো হিসেবে। পরদিন আবার গুনতাম। নিজেকে তখন ‘বলাই’ মনে হত।
চক্রাকারে ঘুরে কেউ যদি ফিরে আসে
ধাঁধায়
তাকে বারণ করো না—
অন্তত বাস্তবতাটুকু বুঝে-ওঠার আগে
সেও নিয়ে আসতে পারে চায়ের পেয়ালায় ধরে
রাখা ফকফকা কিছু স্বপ্ন কিংবা শাদা-সমাধান
কেউ যদি না ফেরে, তাকে ফেরাতে যাবে না কারণ
দেহের প্রণোদনায় লুকিয়েছে অহংকার, ছায়াবাঁধা মন
খুব সহজেই হাসতে পারো
একটু সুখেই প্রাণ খোলে,
খুব সহজেই ভুলতে পারো
একটু নিজের স্বার্থ হলে।
তোমার কাছে ভালোবাসা
সাগর পারে বালুর ঘর,
ইচ্ছে হলেই সাজাও নিজে
ইচ্ছে হলেই অনাদর।
জানেন কি?
যুদ্ধাপরাধের বিচার ঠেকাতে জামাত নেতা মীর কাশেম ২০০ কোটি টাকা ব্যায়ে ওয়াশিংটনে লবিয়িস্ট নিয়োগ করেছে?
খবর ডট কমের বরাত দিয়ে জানা গেছে -
বিষণ্ণতার নামে আজ মামলা ঠুকে দেব
একাকীত্বের গলায় দড়ি পরিয়ে নগরীর প্রতিটি রাস্তায় ঘোরাবো
হতাশার মাথা ন্যাড়া করে তাতে আশার সিল মেরে দেব।
দুঃখের সাথে আজ আমার আড়ি,
সুখের সাথে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা বসব
কিভাবে সুখের চাহিদা ও যোগান সমান রাখা যায়,
কিভাবে সুখ আর দুঃখের ক্রসফায়ারে সুখ কালো পোশাকধারী হতে পারে।