আমি নিশ্চিত অনেকেই ক্যারিয়ারের একটি প্রান্তে এসে এধরনের সিদ্ধান্তের মুখোমুখি হন। কিন্তু এ রকম বিষয়ে আলোচনার একটি জায়গা পাওয়া মুশকিল। অনলাইনে যদিও প্রচুর আলোচনা রয়েছে, কিন্তু প্রত্যেকের ইস্যু স্বতন্ত্র্য বলে বেশীরভাগ আলোচনাই অনেক ক্ষেত্রে ফলপ্রসু সিদ্ধান্তের সহায়ক নয়। আমি একই রকম পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়ে এই ব্লগটির মাধ্যমে আমার চিন্তাভাবনাকে স্ট্রিমলাইন করতে চেষ্টা করছি। আশা করছি আলোচনাটা হয়ত আরো অনেকের সিদ্ধান্ত নিতে সহায়ক হবে।
আমি মানুষের বিশ্বাস নিয়ে আগ্রহবোধ করি। এ কারণে মানুষের বিশ্বাস নিয়ে আমি তাদের সাথে আলোচনা করি। আমার ল্যাবে একজন ইরানি ছাত্র এসেছে। নাম মোহাম্মদ। ঠিক আমার পিছে বসে, উল্টোদিকে ফিরে। সে অতিরিক্তরকমের ফিলোসফিক্যাল এবং অতিরিক্তরকম বাচাল। একবার শুরু করলে আর থামতে চায় না। প্রায়ই নৈর্ব্যক্তিক বাস্তবতা/অবজেক্টিভ রিয়েলিটি আর ঈশ্বরের অস্তিত্ব প্রমাণ করতে চায়। আর যেকোন কথা থেকে ঘুরেফিরে নৈতিকতা, নৈর্ব্যক্তিক বাস্তবতা আর বিজ্ঞানের দর্শনে চলে যেতে পারে সে। একবার বাসা ভাড়া করা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে চলে গিয়েছিলো নন-টিউরিং কম্পিউটেবল ফাংশনে। তাকে জায়নামাজ ভাঁজ করতে দেখেছি। আবার বিয়ার পার্টিতে বিয়ার খেতেও দেখেছি। এখন আবার খারাপ সুগারের উছিলায় বিয়ার খাওয়া ছেড়ে দিয়েছে। বিশ্বাস নিয়ে সে দোদুল্যমান। আজ অজ্ঞেয়বাদী আস্তিক তো কাল অজ্ঞেয়বাদী নাস্তিক। শেষবার সে অজ্ঞেয়বাদী আস্তিকে স্থিত হয়েছে এবং বিশ্বাসের একটা সুসংবদ্ধ গাণিতিক সিস্টেম সে প্রস্তাব করেছে। এটার একটা ভালো দিক আর একটা খারাপ দিক। ভালোদিক এই যে সে স্বীকার করেছে যে সব শেষে এটা একটা বিশ্বাসই কেবল। খারাপ দিকটা এই যে এই সুসংবদ্ধ সিস্টেমে তার নৈতিকভাবে খুন করার সুযোগ রয়েছে।
আজ ৫ জুন, বিশ্ব পরিবেশ দিবস। জাতিসঙ্ঘ ২০১১ সালকে International Year of Forests ঘোষনা করেছে, আর তার সাথে সংগতি রেখে এ বছরের পরিবেশ দিবসের প্রতিপাদ্য "Forests: Nature at Your Service"। ১৯৭২ সালের ৫-১৬ জুন অনুষ্ঠিত UN Conference on Human Environment-এর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিশ্বব্যাপী প্রতিবছরের এই দিনে পালন করা হয় পরিবেশ দিবস।
বেশি কথা বলে লাভ নাই... যা বলার তা এই পোস্টে বলছি।
বলে দেখা যাচ্ছে খুব একটা লাভ হয় নাই
লেখা যা পাওয়া গেছে তা দিয়ে কোনোভাবেই একটা সম্মানজনক ইবুক করা সম্ভব না।
৫ তারিখ শেষদিন
জলদি জলদি লেখা দিন
লেখার বিষয়: বর্ষা
লেখা জমা দেওয়ার ঠিকানা:
শব্দ সংখ্যা: দেড় থেকে দুহাজার
ফর্মেট: ইউনিকোড
ফন্ট: সোলাইমানলিপি
[justify]আমাদের পাড়ায় একদিন সকালে সব বিড়াল মরতে শুরু করে। অনেকে বলে, শুরুটা হয়েছিল আকবর হোসেন সাহেবের বিড়ালের মৃত্যু দিয়ে। আকবর সাহেবের বয়স প্রায় পঁয়ষট্টি। স্ত্রী রেহানা মারা গেছেন মাস আটেক আগে। স্ত্রী মারা যাবার পরে একদিন তিনি বিকেলে বেরিয়ে কোথা থেকে কালো কুচকুচে একটা বেড়ালের বাচ্চা জোগাড় করে আনেন। ফর্সা সুন্দর নিজের বউয়ের নামটা দিয়ে দেন বিড়ালটিকে আর অত্যন্ত যত্ন-আত্তি শুরু করেন। বাসার বুয়া সাহেব
আমার ভালোলাগে না এই বিপন্ন অস্থিরতা
আমার ভালোলাগে না এই বহুরূপী ভোরে গার্মেন্টস কর্মীদের কর্মমিছিল,
যে নারী দুধের শিশুকে খাবার না দিয়ে হাওয়ায় ধরেছে বাসের হাতল...
[justify]
প্রথম পর্বে বাংলাদেশ ও ভারতের আভ্যন্তরীণ নৌপথ এবং বাংলাদেশ-ভারত প্রটোকল নৌপথ নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হয়েছে। আজ দ্বিতীয় পর্বে প্রটোকল নৌপথের ব্যবহারের সাম্প্রতিক উপাত্ত নিয়ে পরিসংখ্যানগত কিছু আলোচনা এবং সেই সাথে বাংলাদেশের নাব্যতা সমস্যা ও বাংলাদেশ-ভারত প্রটোকল নৌপথের আলোকে তার সমস্যা সমাধানের সম্ভাব্যতা নিয়ে একটি ব্যবচ্ছেদ থাকবে। প্রথম পর্বেই বলা হয়েছে, এটি প্রারম্ভিক আলোচনা। সুতরাং এই পোষ্টে সবার আলোচনা, সমালোচনা প্রত্যাশা করছি তবে তা অবশ্যই যুক্তি এবং উপাত্তভিত্তিক হতে হবে। ভারত-বাংলাদেশে সম্পর্কের অন্যান্য দিকগুলো নিয়ে আলোচনা কিংবা একতরফা ভারত প্রীতি বা একতরফা ভারতবিদ্বেষী বক্তব্য এক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।
এবার কিশোরগঞ্জ গিয়ে চোখ জুড়ানো সোনালী ক্ষেতে মানুষের ব্যাস্ততা দেখে অবাক হলাম। যতটুকু সময় পেলাম শুধু শাটার চেপেই গেলাম ... ৪ দিনে ১২ গিগাবাইট মেমরি ফুল! কিন্তু আমি আবার খুব আলসে টাইপ, তাই প্রসেসিং-এ অনেক টাইম নেই। অনেক গুঁতাগুঁতির পর কয়েকটা রেডি করতে পারলাম। সেগুলো নিয়েই এই ব্লগ।
দাপ্তরিক কাজে যশোরে এসেছিলাম। যশোর আমার পূর্ব পরিচিত। তরুণ জীবনের কিছু সোনালি দিন কাটিয়েছি এখানে। আমার সেই পরিচিত যশোর দুই দশকে ফেরে পাল্টে গেছে অনেক। বুড়ি ভৈরব আর নবগঙ্গার বুক শুকিয়ে গেছে, সবুজকে উপড়ে ফেলে অহংকারের মূর্তির মতো সারি বেঁধে দাঁড়িয়েছে আধুনিক ধাঁচের অট্টালিকার সারি। সেখানে মান আছে প্রাণ নেই। এমনিতেই এবারে কাজের ব্যস্ততা ছিল বেশি। দম ফেলবার ফুসরত মিলছিল না কিছুতেই। তার উপর কিছু নির্বোধ