২/৭/১১
জীবন ছড়িয়ে আছে তোমার
এখানে সেখানে
জন্মমাত্রই পিতৃহীন, তারপর
জননীও দিয়েছেন পাড়ি অন্যভূবণে
মামা, চাচা, ভাই, কোথায়
না আশ্রয় খুঁজেছ তুমি! তোমার
স্মৃতিগুলো মুড়কির মতো
ছড়িয়ে পড়েছে সবখানে। আর
আজ সকল দুঃখবোধ জড়ো
হলো এই একাকী বাড়িতে…
পিতা আমার, চিরকালিন শিশু আমার
এইবার তবে বিদায়, অথবা চীর বসবাস
আমার বুকে, নিভৃতে…
২.
তেষট্টি বছরের পিতৃশোক!
কতটা ভার বুকে নিয়ে তুমি
পোস্টের সম্পূর্ণ বক্তব্যই আমার একান্ত নিজস্ব ভাবনা। কোন বিশেষ গোষ্ঠীর প্রোপাগান্ডার কথা জানাতে এখানে আমার উপস্থিতি ভেবে থাকলে ভুল করবেন। সচলায়তনে এটাই আমার প্রথম পোস্ট। আশা করি অল্প কিছুদিনের মাঝেই পুরোপুরিভাবে সচল হতে পারব।
- - - - - - - - -
পাপী
- - - - - - - - -
১.
মাঝে মাঝে শিলং পাহাড়ে এসে ঘর বাঁধে
চেরাপুঞ্জির অভিমানী মেঘ ... বিচ্ছিন্ন চোখের
পাতায় পরায় ভরা কাজলের রেখা, শুরু হয়
ঝলমলে নংক্রেম উৎসব।
খোঁপার জন্য প্রজাপতি-রাতজোনাকি
রোদে আগুনলাগা দুপুরে এখানে এসে বসলে
এক ধরনের প্রজাপতি উড়ে এসে
বসতে চায় মাথায়। আমি তাদের
জায়গা করে দিয়েছি কবিতায়।
আমার কবিতা থেকে এখন
উৎসারিত হতে পারে ঝর্ণা।
উড়ে যেতে পারে প্রজাপতি,
তোমার খোঁপার উদ্দেশ্যে আর
রাতজোনাকির মৃদুঝিলমিল।
কিন্তু নিসর্গকে পড়তে, আয়ত্ব করতে
আমাকে বহুবার জন্মাতে হবে এই নিসর্গে ;
আরও উদ্দিষ্ট-অনুদ্দিষ্টকাল বনে জঙ্গলে-
শিকাগোতে এতো গরম পড়তে পারে ধারনা ছিলো না। ৯৮ ডিগ্রী ফারেনহাইট (৩৬.৬৭ ডি সি) তাপমাত্রা এখন। ফিলস লাইক ১০২ ডিগ্রী ফারেনহাইট। ১১০-১২০ ডিগ্রীর তাপমাত্রা অ্যারিজোনাতেই পেয়েছি। শুষ্ক তাপমাত্রা বলে গায়ে লাগেনি অতটা। কিন্তু এখন তাপামাত্রা পাশাপাশি হিউমিডিটি যুক্ত হয়ে খুব ভ্যাপসা গরম পড়েছে এখানে। ইনফ্যাক্ট পুরো নর্থ আমেরিকাতেই হিট ডোম নামের এই গরমের হলকা বইছে ক'দিন ধরে। আজ দুপুরে লেকের দিকে যেতে গিয়েও মাঝ পথে ফিরে এলাম গরমে।
এই উপকথা ব্যাবিলনের। তবে রচিত গল্প হিসাবে এটাকে আমরা প্রথম পাই রোমান কবি ওভিডের লেখায়। পিরেমুজ আর থিসবির করুণ-মধুর কাহিনি। এ কাহিনি চিরকালের, যুগে যুগে দেশে দেশে বারে বারে এ কাহিনি আমরা পেয়েছি ভিন্ন ভিন্ন আঙ্গিকে, মানুষের নিবিড় ভালোবাসার কাছে সংঘবদ্ধ বিষয়বুদ্ধি কীভাবে পরাজিত হয়েছে, তার গল্প!
এই উপকথা ব্যাবিলনের। তবে লিখিত গল্প হিসাবে এটাকে আমরা প্রথম পাই রোমান কবি ওভিদের লেখায়। পিরেমুজ আর থিসবির করুণ মধুর কাহিনি। এ কাহিনি আসলে চিরকালের, যুগে যুগে দেশে দেশে এই কাহিনি আমরা পেয়েছি নানা আঙ্গিকে। মানুষের ভালোবাসার কাছে সংঘবদ্ধ বিষয়বুদ্ধি কীভাবে পরাজিত হয়েছে, তার গল্প!
সংবিধান সংশোধনে ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলায় অনেকেই অসন্তুষ্ট। যারা দেশে প্রকৃত অর্থেই ধর্মনিরপেক্ষতা চেয়েছিলো তারাও অসন্তুষ্ট। একদিকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম ও বিসমিল্লাহ বহাল রেখে আরেকদিকে আবার ধর্মনিরপেক্ষতার বুলি কপচানো প্রকৃত অর্থে প্রলাপ ছাড়া কিছুই নয়। দেশের উচ্চ আদালত এরকম প্রলাপীয় সংস্কার যদি সমর্থন করতে পারে, তাহলে সেই আদালত পরবর্তীতে যে আরো প্রলাপকে সমর্থন দেবে না, তার নিশ্চয়তা কী?
আমাদের ছোট দেশ মরে ধুঁকে ধুঁকে,
একপাল পশু বাস করে তার বুকে।
সে পশুরা ক্রমাগত করে যায় খুন,
সে পাতেই করে বমি, যেথা খায় নুন।