আমার এক ফুপু। যুদ্ধে স্বামী হারানোর পর বিয়েশাদি না করে দেড় বছরের ছেলেটাকে বড়ো করে তুললেন। পড়াশোনা রাজনীতি নাটক আর চাকরি করতে করতে একদিন জন্ডিস বাঁধিয়ে ধুপ করে ছেলেটা মরে গেলে ফুপু একদম ঝিম মেরে গেলেন। তার এই অবস্থায় সবাই ঠিক করল ফুপু যদি ঘুরে ঘুরে সবার বাড়িতে কিছুদিন করে থাকেন তাহলে হয়ত ধাক্কাটা কাটিয়ে উঠতে পারবেন...
বিহ্বল হয়ে আছে মনথর আষাঢ়ের দিন
--------------- প্রখর রোদ্দুর
মধ্য দুপুরের কিছু পরে-
সিঁধেল চোরের মতো যেদিন একটু আঁচ,
মাড়োয়ারি কোকিলের কুউউউ বাশির ফুউউক,
লোলুপ বেড়ালের মতো মোম শিখা টুকুর উত্তাপে,
প্রথম পরশ দিয়েই,
অনবরত ছড়িয়ে গেছো স্পর্শের শিকড় বাকড়-
সেদিন বুঝি....
দিনাতিপাত সূর্য গ্রহনের হরিপদ উপোষ,
অমাবস্যা থেকে পূর্ণিমার হিসেব কষে যাওয়া খড়ি রঙ্গে,
টিনটিনের পরেই বোধহয় বিদেশী কমিক্সের মধ্যে অ্যাসটেরিক্স আমাদের কাছে সবচেয়ে সমাদৃত। প্রতিযোগিতায় অ্যাসটেরিক্সের পিছিয়ে থাকার একটা বড় কারণ অবশ্য এর অনুবাদের অভাব। ১৯৯৫ থেকে শুরু হয়ে ২০০২ সাল অবধি প্রথম দশটা বই বাংলায় বের হয়েই অনুবাদ বন্ধ হয়ে যায়। শুনছি এই বছর আবার নতুন করে অনুবাদ চালু হয়েছে, ‘ঢালের খোঁজে অ্যাসটেরিক্স’ দিয়ে।
আজকের পত্রিকার অনেক খবরের মাঝে রাষ্ট্রপতি'র ক্ষমা বিষয়ক একটি খবর আছে। দেশের সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি বিশেষ ক্ষমতার অধিকারী। সর্বোচ্চ সাজাপ্রাপ্ত, বাংলাদেশের যে কোন নাগরিককে তিনি ক্ষমা করতে পারেন; বাংলাদেশের জনগণ সেই অধিকার তাকে দিয়েছে। সেই অধিকার বলে তিনি এবার ক্ষমা করেছেন চিহ্ণিত এক খুনিকে।
[justify]ছোটবেলা থেকেই আমি আবার তেনাদের ব্যাপারে একটু ডোরপোক কিসিমের। প্রায় রাতেই হাবিজাবি স্বপ্ন দেখে চিৎকার করে জেগে উঠা ছিলো তখনকারদিনের নিত্যনৈমিওিক ঘটনা।। আর যেটা মজার ব্যাপার ছিলো তা হোল, রাতের বেলা নাকি আমি একা একা নাটক ফাটক করতাম। আপুরা ডাকাডাকি করলে নাটক বন্ধ করে আবার নাকি ঘুমিয়ে পড়তাম। কিন্তু বেশিরভাগ সময় নাকি আপুরা ফ্রিতে সেই রাতের শো দেখতো আর হাসাহাসি করতো। সকালে উঠে যদি ও আমার কিছুই
সকালের সূর্য নাকি জানান দেয় গোটা দিনটি কেমন যাবে। কিন্তু প্রবাদের দফারফা হতে দেখেছি বহুবার। ঝলমলে দিনের মুখ নিমিষেই হাড়িপনা কালো হতে দেখেছি। তারপর ছিঁচকাঁদুনী মেয়েটার মত দুপুরভর কেঁদেকেটে ঘনহয়ে আসা বিকেলে ফিক করে হেসে উঠতে দেখেছি। এতকিছু দেখাদেখির অভিজ্ঞতা থাকলেও আমার ছেলেবেলায় যে কাজিনের হাতে সবচেয়ে বেশি নাকাল হতে হয়েছিলো তার যে কোনই পরিবর্তন হবে না এটা আমি এক রকম নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিলাম।
ছুটির সন্ধ্যায় জম্পেস পারিবারিক আড্ডা চলছে, এর মাঝে ছোট্ট তুতুন মাকে জিজ্ঞেস করে বসল, আমি তোমার পেটে কি করে এলাম আম্মু ?
দয়া করে আমার এই পোষ্টে খারাপ লেগেছে কিংবা দুঃখ পেয়েছেন এ জাতীয় মন্তব্য করবেন না। কারুর সহমর্মিতা অথবা সহানুভূতি চেয়ে মানবিক আবেদন জানানোও আমার উদ্দ্যেশ্য নয়। এ লেখার তাৎপর্য কেউ বুঝতে পারলেই লেখার সার্থকতা খুঁজে পাবো। ধন্যবাদ।
সাবরিনা সুলতানা
এক ভরদুপুরে, জনারণ্যে -
খুঁজে পেয়ে নির্জনতা
তোর হাতে আলতো ছুঁয়ে,
ঝিলিক চোখে চোখ লাগিয়ে,
বলেছিলাম একটু কথা।