দৃষ্টিহীন দৃষ্টি বাড়িয়ে প্রতিদিন, ছুঁয়ে থাকি এইসব স্বাভাবিক শহর।
উদ্বুদ্ধ হই প্রায়শই তোমার চোখে তরলতা, শব্দে পক্ষপাত অনুভব করে।
বাকিটা সময় কাটে নিমগ্নতায়, জলাবদ্ধ জানালায় বসে
আমাকে ঠেস দিয়ে রাখা পচনশীল কাঠে হাত বুলিয়ে;
নদীদের লিখে রাখা গোপন কথা স্বশব্দে অনুমান করে।
পথভুলে হঠাৎ হাজিরা দেয়া স্বপ্নজড়িত ভয়ংকর আশ্রয়
এখন নিয়মিত ধেয়ে আসে চেতনার মধ্যবিন্দু লক্ষ্য করে।
নোনতা বিস্কুট তিতিনের পছন্দ। একটু একটু পছন্দ নয়, অনেক পছন্দ। একটুখানি খেলেই অনেক্ষণ জিভে লেগে থাকে! বিস্কুটের প্যাকেটগুলো কেবল বাজে। সহজে ছেঁড়া যায় না। মা অবশ্য ঝট করে ছিঁড়ে ফেলতে পারেন। আর মা থাকলে তাকে খাবার ঘরে এসেও খেতে হয় না। মা-ই তার ঘরে খাবার নিয়ে যান। ঠিক ঠিক নিয়ম করে। মা যে কিভাবে টের পান তিতিনের কখন খিদে লাগবে তা কে জানে! অথবা হয়তো মা খাবার নিয়ে ঢুকলেই তিতিনের খিদে পেয়ে যায়!
কোথাও ভাত নেই। সাদা কালো লাল হলুদ কোন রকমের চাল বাজারে নেই। মানুষ রাস্তায় রাস্তায় হন্যে হয়ে ঘুরছে একমুঠো ভাতের জন্য। কেউ পকেটে টাকা নিয়ে, কেউ হাতে ভিক্ষার থালা নিয়ে। ধনী-দরিদ্র-ফকির-মিসকিন সব এক হয়ে গেছে, কেউ ভাত খেতে পারছে না। চালের আড়ত থেকে উধাও হয়ে গেছে চালের বস্তাগুলো। চাল বণিক আড়ত বন্ধ করে বাড়ি চলে গেছে।
সপ্তম শ্রেণীতে পড়ি তখন, নতুন নতুন বই পড়ার প্রবল নেশা সারাক্ষন আচ্ছন্ন করে রাখে, নতুন কিছুকে জানার, নতুন কিছুকে চেনার জন্য কচি মন সর্বদাই আঁকুপাঁকু করে। বাড়ীতে রাখা হত দেশের অন্যতম জনপ্রিয় পত্রিকা দৈনিক ইত্তেফাক, তার শুক্রবারের সংখ্যাটি ছিল বড়ই আকর্ষণীয়, নানা রঙ্গিন ছবির সাথে দেশ-বিদেশের জ্ঞান-বিজ্ঞানের চিত্র-বিচিত্র নানা খবরের ভাণ্ড।
আদৌ কোন নামের প্রয়োজন নেই
---------------------------- প্রখর রোদ্দুর
এভাবে বসে থাকলে হবেনা বুঝলে? এ তোমাদের পৈত্রিক বাড়ি তা আমিও মানি; তারও চেয়ে বড় কথা এ বাড়ি আমার আর তোমার মায়ের হাতেই গড়া তাই তোমাদের থেকে আমার মায়া কোন অংশে কম নয়। কিন্তু...... বলেই থেমে গেলেন তিনি। ঘরের এক কোনে বড় ছেলে আর আরেক কোনে মেজ বউমা পাতলা আদ্দির পঞ্চটা ভাঁজ করতে করতে তার কথা শুনছিলো। শোবার ঘরের কোথাও কোথাও পলেস্তরা খসে গেছে। দেখলে অনেকটা দগদগে ক্ষত চিহ্নের মতোই লাগে কার্নিশে জমে ওঠা শেওলার ঘরবসতি গুলো।
বাংলাদেশের যে রাজনৈতিক সংষ্কৃতি বর্তমানে গড়ে উঠেছে তা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে যে লুটেরা শ্রেণীর চরিত্র পূর্নাঙ্গভাবে ধারন করেছে এ কথা আজ নির্মম সত্য। দূর্নীতি আজ সমাজে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করেছে। প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলের শ্রেণী চরিত্র মূলতঃ একই হলেও এটা ঐতিহাসিক সত্য নয়। বিভিন্ন ধারার সবচেয়ে লুটেরা শ্রেনীর লোকগুলো সামরিক ও বেসামরিক আমলা ও মধ্যস্বত্বভোগী মধ্যবিত্ত সাম্রাজ্যবাদের দালাল বুদ্ধিজীবিদের নেতৃত্বে বাংলাদেশের শুরু থেকেই সংগঠিত হয়েছে। এরাই অগনতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থার রূপকার, ধারক ও বাহক যা এদের শ্রেণী চরিত্র টিকিয়ে রাখার জন্য চরমভাবে অপরিহার্য। এরাই কৌশলগতভাবে সর্বহারা, শ্রমজীবি ও কৃষক ইত্যাদি নিন্মবর্গীয় শ্রেণী থেকে দালাল সৃাষ্টি করে এবং এইসব দালালদের অর্থনৈতিক শ্রেনী-উত্তোরণ ঘটায়। এসব দালালের মাধ্যমেই সাম্রাজ্যবাদী নেটওর্য়াক নিন্মবর্গীয় মানুষের উপর একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রিত অর্থনৈতিক শৃঙ্খল তৈরির মাধ্যমে শোষনমূলক এক অসম অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বহমান রেখেছে।
জীবনে কখন্ও বড় স্বপ্ন দেখিনি যে ভবিষ্যতে এটা হব সেটা হব।সময় আর ঘটনাপ্রবাহ যেদিকে আমাকে ধাবিত করছিল ওদিকেই আমি ছুটছিলাম।স্কুল-কলেজের দুরন্ত সময় পেরিয়ে যখন ভবিষ্যৎ নির্ধারণী বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার সম্মুখীন হলাম বুঝতে পারলামি এই অসম্ভব প্রতিযোগীতার জন্য আমি প্রস্তুত না।যাই হোক মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান আমি,নিজের ইচ্ছা-অনিচ্ছাকে পাত্তা দেই বা না দেই মধ্যবিত্ত মানসিকতা জিইয়ে রাখতে হবে।দেশব্যাপী
বিষাদ তুমি মায়ের চোখের অপেক্ষা জল,
তোমার দেয়া শুভ্র রুমাল -
হলদে হওয়া,
বিষাদ তুমি সকাল বিকাল -
শ্রাবণ সাঁঝের ইলশেগুঁড়ির খুব কোলাহল,
বিষাদ তুমি কর্মমুখর আটপৌরে -
দিনের শুরুর - স্মৃতির সকাল,
বিষাদ তুমি - তোমার সাথে মেলায় কেনা হারমোনিকা -
হারমোনিকায় সুরের আকাল।
বিষাদ আমার - তোমায় নিয়ে কাব্য লেখা,
মুঠোফোনের পুরোনো মেসেজ হাতড়ে দেখা।
বিষাদ তুমি খুব নিশ্চুপ পড়ার টেবিল,
বাসা পাশা পাশি,
ছিলো আসা আসি,
সেই থেকে হয়ে গেলো
ভালোবাসাবাসি।
ওরা লেখে চিঠি,
কতো কথা মিঠি,
দিনে দিনে বাড়ে দুটো
হৃদয়ের ‘গিঁঠি’।
[justify]একটা পরিসংখান আমার খুব জানার ইচ্ছা –ইনসমনিয়ার রোগীদের কতো পার্সেন্ট বিবাহিত পুরুষ?