ছোটখাটো শ্যামলা চেহারার নাজমা বেগম থাকেন ছোট্ট এক উপজেলা শহরে। পরিবার পরিকল্পনা অফিসে হেলথ ভিজিটর পদে কাজ করেন, স্বামী সেই অফিসেই আরও নিচু এক ধাপের কর্মচারী। এঁদের ছেলেমেয়েরা মাঝে সাঝে শহরে বেড়াতে এলে আমাদের পাড়াসুদ্ধু বাচ্চাদের বড় দুঃখ হত। দুঃখটা বৈষয়িক। ওরা ওই বয়েসেই ব্যাটারিওলা গাড়ি, আলোজ্বলা কেডস এইসব দুর্লভ সম্পদের অধিকারি ছিল। একবার মেয়েকে সোনার ঘড়ি কিনে দিয়ে আমাদের সবাইকে তাক লাগি
টুপুর কে তোমরা চিনবে না। তোমরা অবশ্য আমাকেও চিনো না। দোষটা তোমাদের নয় । আমি এমন কোন জগৎ বিখ্যাত লোক নই যাকে না চিনলে লোকে মামলা ঠুকে দিবে।আমি হচ্ছি টুপুর এর ছেলেবন্ধু। এই কথাটা বলার সময় আমার চোখে একটা ছেলেমানুষী ধরনের বিশ্ব্জয়ের হাসি খেলে যায়।টুপুর বাড়াবাড়ি ধরনের সুন্দর একটা মেয়ে।খুব কমন কথা মনে হচ্ছে ।হতে পারে, আমি তো আর আনকমন কেউ নই।সে যাক!!
ডিস্ক্লেইমারঃ দেশের বিদ্যুৎব্যবস্থার অতুলনীয় উন্নতির ঘর্মাক্ত সাক্ষী আর সেইসাথে মশককুলের মনোহারিণী সঙ্গীতসহকার ভালোবাসায় বিদ্ধ হতে হতে মনে মনে রচিত নিম্নোক্ত অতি আজাইরা পঙক্তিমালা। সুতরাং নিজের মূল্যবান সময় অপচয়ের ইচ্ছা না থাকলে এখানেই ক্ষ্যামা দ্যান।
ঘোরলাগা সন্ধ্যায়
একা বসে বারান্দায়
ঘরে ফেরে পাখি উড়ে, মানুষ রাস্তায়
এলোমেলো সোনারঙা মেঘেদের আনাগোনায়
**কখনো ভাবিনি যেই সচলায়তনে আমি অনুকাব্য, কবিতা, ছড়া লিখেছি; সেই সচলায়তনে আমাকে এক অসহায় সন্তান হয়ে দুঃখগাঁথা লিখতে হবে। বড় বিক্ষিপ্ত, হতাশা-ভারাক্রান্ত মন নিয়েই আজ লিখছি। তাই অনুরোধ জানাই ভুলভ্রান্তিগুলো ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার জন্যে…**
আমার ছেলে অনুভব। বয়স সাড়ে তিন বছর। সিগারেটের সাথে ইতিমধ্যে তার এক ধরনের সম্পর্ক তৈরী হয়ে গিয়েছে। এই সম্পর্ক নিয়েই আমার এই লিখা। তবে মূল ঘটনায় যাওয়ার আগে অনুভব সম্পর্কে ২/১ টা কথা বলে নেয়া ভাল। অন্যান্য সকল বাচ্চাদের মতই সেও তীব্র কৌতুহল আর ক্রিয়েটিভিটি নিয়ে জন্মেছে। আমরা সবসময়ই চেষ্টা করি আমাদের পক্ষ থেকে যতটুকু সম্ভব তার কৌতুহলকে উৎসাহ দেয়ার। আর তার ক্রিয়েটিভিটির ঘটনাগুলো নিয়ে অনেকদিন ধরেই ইচ্ছা
সবুজ আলোয় ঢেউ তোলা তরল
পুকুরজুড়ে কেন্দ্রাতিগ বৃত্ত এঁকে গেল
আর নীল দ্রবণ একটু গা বাঁচিয়ে
জলের বালতিতে ছটফট করতে করতে
ঝাঁপ দিলো সবুজ বেড়ি ভেঙে নিজের দখল নিতে...
স্বর্গের ওপেনিং-ডে তে শয়তান এসে এমনই কিছু মন্ত্র পড়লেন
স্বর্গবাসীরা চুপ, শুধু সবার পকেটের টাকারা কথা বলে উঠলো
আনন্দময় করতালিতে ফেটে গেল চত্ত্বর
শয়তান আরও কিছু বললেন
নির্বাক মানুষের কাছ থেকে টাকাগুলো
হৈ-করে উড়ে গেল মঞ্চে
পাঁজরের কবিতা
যে পাঁজর মেখেছিলো জাফরান রোদ
সে পাঁজর এখনো কি বাজায় সরোদ?
কবিতা তোমার ঠোঁট মরমী আঙুল
কবিতা জলের ফোঁটা করোটির ফুল।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা ও সঙ্গীত বিভাগ
উপাচার্যের স্বেচ্ছাচারিতার শিকার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিরঙ্কুশ ক্ষমতা ও বেনজির স্বেচ্ছাচারিতার শিকার হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়টির নাট্যকলা ও সঙ্গীত বিভাগ। গত ২৩শে জুলাই বিভাগের এ্যাডহক নিয়োগপ্রাপ্ত ৩ শিক্ষকের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর চাকরীর সময়সীমা নবায়ন না করা নিয়ে নাট্যকলা ও সঙ্গীত বিভাগে এই অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে।
আজকের গল্প আটালান্টার। সে যখন ফুটফুটে একটা মেয়ে, সবেমাত্র জন্মেছে, তখনই তার বাবা-মা তাকে ফেলে এলো বনের ধারে। তখন শীতের শুরু, রাতের বেলা বেশ শীত পড়ে। বাচ্চা শীতেই মরে যাবে না হলে আমিষাশী বন্যজন্তুরাই বাচ্চাটাকে খেয়ে ফেলবে, ঝামেলা শেষ। এই ভেবে বাবা-মা ফিরে চলে গেল, তাদের পুত্রসন্তান চাই, মেয়ে দিয়ে কোন কচুটা হবে?
শেষবারের মত ঘুরে আসা যাক ধূলিময় প্রিয় প্রান্তর
যেখানে আমার গতিময় পদচ্ছাপ
চাপা পড়েছে বিকট কংক্রিটের নিচে
সেই এক জলমগ্ন নৌকার খোলে আমার সর্পভীতি
রূপান্তরিত হয় জলাবদ্ধতায় অদৃশ্য ম্যানহোলের অন্ধকারে
শেষবারের মত আমি সেই গা-ছমছম দৃশ্যটি ছুঁতে চাই।
এখনো আমি খুব বিমর্ষতায় ভোরের ঘুম-ভাঙা মাঠের
শিশির জড়ানো আলোতে
আঁকড়ে ধরি গোলপোস্ট, কর্নার কিক, রেফারির বাঁশি