#
পলেস্তরা খসে পড়া ঘর, ঝুল মাখা ছাদ; কাঁচবিহীন জানালাবন্দী আমি ক্রমশ গতিহীন হয়ে পড়া ফ্যানের বাতাসে হাত পা ছড়ানো অবস্থায় প্রতিদিন বিষণ্ণ, নিস্তেজ সকালে নিজেকে আবিষ্কার করি। দেখি- চোখ দু’টো খোলা অবস্থায়,তিরতির করে কাঁপতে থাকা চোখের পাতায়, ঝুরঝুর করে ভেঙে পড়া, স্বপ্নের ভারে ক্ষয়ে যাওয়া বৈশিষ্ট্যহীন আমাকে।
আমি অর্ক। ক্লাস ফাইভে পড়ি। ফাইনাল পরীক্ষার পর লম্বা ছুটি। আমি আর মা গ্রামে এসেছি। এবার মামা বাড়ি। প্রতিবার এই সময়টা দারুণ কাটে। বাবা আসলে আরও মজা হতো।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর গাড়িচালককে জিজ্ঞেস করলাম, তুমি কী পাস? সে বলল, ‘‘আমি তো স্যার ফাইভ পাস।’’ সেও প্রধানমন্ত্রীর গাড়ি ভালোভাবে চালায়।
“ ডুবে ডুবে ডুবে ডুবে গিয়ে আবার একটু সময়ের জন্য ভেসে উঠে
অবশেষে ডুবে গেলাম দেখে নিয়ে
আমার স্বপ্ন ডাঙায় কোন সে হরিণ
জেগে জেগে জেগে জেগে তোমার সঙ্গে পুরোটা সময় খেলা করে...”
: লর্ড ক্লাইভের মত একটা খলনায়কও আত্মহত্যা করেছিল। কেন জানিস? সাতসমুদ্র পাড়ি দিয়ে আরেকটা দেশ জয় করতে যে শক্তিটা লাগে ওর সেটা ছিল। কিন্তু চারপাশের আত্মসন্মানহীন আমাদের নায়কদের দিকে তাকা। পারবে ওরা? ওরা পারবে না। ঐ শক্তিই নেই।
লাস্টবেঞ্চি উজ্জ্বল তারার মত জ্বলতে থাকে। তার আলোর তীব্র বিচ্ছুরনে আমি অন্ধ হয়ে বসে থাকি।
: বঙ্গবন্ধু... তার মৃত্যুর কথা ভাব। কী আশ্চর্য্য আর অপূর্ব এক আয়োজন।
বিনা সুতোর মালা গাঁথার প্রতিশ্রুতি নিয়ে বসেছিলাম, কিন্তু গাঁথতে পারলাম না। একটা একটা করে পুঁতি তুলে নিই, পরপর সাজাই। সেই বর্ষাবিকেলের নীল পুঁতি যার ভিতরে কেমন একটা মায়াবী আলো ঝিলমিল করতো, সেইটার গায়ে হাত বুলিয়ে চুপটি করে নামিয়ে রাখি। পাশে রাখি ঝকমকে লাল আর সাদা দুটি পুঁতি, ওরা বৈশাখের সন্ধ্যা, ওরা জয়জয়ন্তী।
১।
মৌনতার মধ্যে কয়েকফোঁটা অনিশ্চয়তা মিশে আছে।
মাঝে মাঝে সেই গন্ধে বেঁচে উঠি
মাঝে মাঝে সেই গন্ধে মরে যাই!
২।
হৃদয় ওখানে নয়
হৃদয়ের বেশ দূরে আছো
ওখানে সমস্ত মেঘ
অতি তুচ্ছ বৃষ্টি যায় আসে।
অভিজ্ঞ তড়িৎ গতি
মাঝে মাঝে সামলে নেয়া ভালো
আমি তো জ্যোৎস্না চাই
তুমি শুধু অন্ধকার ঢালো!
৩।
নিজের মৃত্যু সম্পর্কিত একটা দৃশ্যে একটা পাখিকে একা একা গান গাইতে দেখি।
৪।
প্রাইমারীতে থাকতে পাশের বাসার পাড়াতো দাদা-দাদীর কল্যানে টিনটিন,চাচা চৌধুরী, হাঁদা-ভোদা, নন্টে ফন্টে, বাঁটুল দ্যা গ্রেট ইত্যাদি চমৎকার সব কমিকস পড়া শেষ।
তারপর সেই দাদীর কল্যানেই বোমকেশ বক্সী কিংবা কিরিটি শেষ এবং তারপর প্রফেসর শঙ্কু, ফেলুদা,ঘনাদা,টেনিদা মোটামুটি একটা কব্জা করা গেছে।
বয়েসের দোষ নাকি কে জানে, আজকাল বিয়ে 'খেয়ে' তেমন আরাম পাওয়া যাচ্ছেনা। রোদবৃষ্টির ভ্যাপসা গরমের মাঝেও সেদিন একখানা বিয়ের দাওয়াতে গেলাম। দেখি এসিওলা ফিটফাট কমিউনিটি সেন্টারের ফুলসাজানো কোণায় বরকনে হাসিমুখে সোফাসিন। সুবেশী সুশীল লোকজন সবাই এসে মাপা হাসি দিয়ে কথা বলছে, টকাটক ছবি তুলছে, ভিডিও উঠছে। এসবকিছু শেষ হতে ওদিকে টেবল রেডি, ঝাঁক বেঁধে সবাই গিয়ে বিরিয়ানি খেয়ে মিছরি দেয়া পান চিবোতে চ