দু'বছর আগে কাপ্তাই বেড়াতে যেয়ে কিছু ছবি তুলেছিলাম কাপ্তাই লেকে ও তার আশপাশে। ছবি অতিনিম্ন মানের হয়েছে। কিন্তু দেশের কথা যখন খুব মনে হয় তখন ছবিগুলো দেখি আর ভাবি একদিন আমি আবারও...
১।
অনিয়ন্ত্রিত মুদ্রাস্ফীতি যেকোন অর্থনীতির জন্যই ভয়ানক একটি ব্যাপার। আর এই ব্যাপারটি যদি ঘটে থাকে বাংলাদেশের মত একটি স্বল্পোন্নত দেশের অর্থনীতিতে তাহলেতো কথাই নেই। বাংলাদেশের বিগত সরকারগুলোর মত বর্তমান সরকার ও মুদ্রাস্ফীতি রোধে ও নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছে। শুধু তাই নয়......বর্তমান সরকারের গৃহীত কিছু পদক্ষেপ আগুনে ঘি ঢেলে দেওয়ার মত পরিস্থিতি তৈরি করেছে।
এখানে এমন গান, ঝরে পড়ে গোলাপের দল
ঘাসের ওপর পড়ে, এই সুর তার চেয়ে ধীর,
আলোছায়াময় রাতে গিরিপথে শিশিরের জল
তার চেয়ে এই গান আরো সুকোমল সুনিবিড়।
অপরূপ স্পর্শ আনে, সেই গান দুই চোখ জুড়ে
টেনে আনে ক্লান্ত ছায়া, ঝরাসময়ের সেই সুর,
অস্ফুট পাতার কলি ডানা মেলে দেখো বীজ ফুঁড়ে
অসীম আকাশ থেকে বয়ে আনে ঘুম সমধুর!
আমাদের বাড়িটা দোতলা।আশেপাশের অসংখ্য জীর্ণ দালানের ভেতরে আলাদা করে চোখে পড়েনা। দ্বিতীয়বার রঙ করা হয়নি, দেয়ালগুলো হলদে, শ্যাওলায় ঢাকা। বাইরে থেকে দেখলে মনে হয় বাড়িটা ধসে পড়বার অপেক্ষায় আছে। ভেতরটাও দারুণ মলিন, স্যাঁতস্যাতে নোংরা দেয়াল, ভাঙ্গা মেঝে। আলো বাতাস সাধারণত এদিকে উঁকি দেয়না।তবু ভাড়াটিয়ার কখনো অভাব নেই। ভাড়া কম, বাড়িওলা ঝামেলা করেনা, এ জন্য বাড়ির মালিন্যও ভাড়াটিয়াদের নিরুৎসাহিত করেনা। কিন্তু
ধর্মতলার ব্যস্ত ফুটপাত দিয়ে বছর পনের আগে জনতার স্রোত ঠেলে মা হাঁটছিল আমায় একহাতে ধরে রেখে। অন্য হাতে ঝুলছিল পাটের একটা ব্যাগ, ওতে“ ঢাকেশ্বরী বস্ত্রালয়” থেকে এক আত্মীয়ার বিয়ের জন্য সদ্য কেনা শাড়ী। ধর্মতলার ধর্ম বজায় রেখে লোকজন হন্যে হয়ে ছুটছে; কারো প্রতি কারো ভ্রুক্ষেপ নেই। এমন সময় হঠাৎ কোথা থেকে যেন ভেসে এল ক্ল্যারিনেটের অমোঘ একটা সুর। ধর্মতলার সবগুলো কর্কশ শব্দ তাতে ম্লান হয়ে গেল, কোলকাতার দুপুরক
জোনাথান ফ্র্যানজেন আমার খুব প্রিয় লেখক। বার্নস এ্যান্ড নোবেলস এর মিট দ্য রাইটার্স সিরিজে ফ্র্যানজেনের একটা ইন্টারভিউ দেখছিলাম। দেখলেই বোঝা যায় ফ্র্যানজেন কি পরিমান - 'সৎ' একজন লোক। বুকের ভিতর থেকে কথাগুলো বের হয়ে আসে। না, ফ্র্যানজেন সব কথা খুব দরদ দিয়ে বলেন সেটা না। কিন্তু সততার সাথে বলেন। এবসোলিউট এ্যান্ড ব্রুটাল ট্রুথ যাকে বলে, হয়তো।
মুরুগাপ্পা স্ট্রিট
ছবিটার নাম দেখে বোঝার উপায় নেই যে এই ছবিটা চট্টগ্রামের সেই বিদ্রোহের ঘটনা নিয়ে যার মহানায়ক সূর্যসেন। এত বছরেও বাংলাদেশ পারেনি সূর্যসেনকে নিয়ে একটা যুতসই ছবি তৈরী করতে, বোম্বে অন্ততঃ বাংলাকে সম্মান দেখিয়েছে ছবিটা তৈরী করে। সেই ভেবে মনে মনে পরিচালক Ashutosh Gowariker এর উপর কৃতজ্ঞতাবোধ নিয়ে ছবিটা দেখতে শুরু করি। কিন্তু ছবি যতই এগোতে থাকে কৃতজ্ঞতাবোধ কমতে থাকে আর মুখের ভেতর জমতে থাকে বিবমিষা তরল। মাঝ
প্রায় এক যুগ আগের কথা। ছেলেটা তখন একটি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ে। সামনেই বার্ষিক পরীক্ষা।
স্কুলের ছুটির সময় ছেলেটাকে আনতে গেলে কিছুক্ষণ ওয়েটিংরুমে অপেক্ষা করতে হত। সেখানেই কয়েকজন অভিভাবকের সাথে পরিচয়। তাঁদের আলোচনায় জানতে পারি এক ব্যাতিক্রমি কোচিং সেন্টারের কথা।