আগের পর্ব
পর্ব ৫
দূর থেকেই অর্ণব দেখল রহিম কাকা বারান্দায় উন্মুখ হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন! বাড়িতে রহিম কাকা আর ও ছাড়া আপাততঃ কেউ নেই। এই লোকটা সেই ছোট বেলা থেকে অর্ণবকে আগলে রেখেছেন। কখন থেকে তিনি এ বাড়িতে অর্ণব ঠিক বলতে পারবে না। কিন্তু হুঁশ হবার পর থেকে রহিম কাকাকে তার সাথী হিসেবে পেয়ে এসেছে ও। তাই অর্ণবকে সবার চেয়ে তিনি বোঝেনও বেশি। বাবা-মা তাকে কখনোই রাত-বিরেতে বাইরে থাকতে দিতেন না! রহিম কাকাও চাননি তবে অর্ণব তাকে ম্যানেজ করে ফেলেছে ঠিক। ‘কাউকে না জানিয়ে সারারাত বাড়ির বাইরে থাকা কি ভালো?’ একটা কাকুতি যেন ঝরে পড়ল রহিম কাকার কন্ঠ থেকে। উত্তরে মিষ্টি করে একটু হাসল ও শুধু। অর্ণব জানে এই হাসির বদৌলতে সাত খুনও মাফ হয়ে যেতে পারে!
চৌর্যবৃত্তি আর নানা ব্যবসায় অনেক অযাচিত ঝামেলায় পড়ার পর মাইনকা চোরা সিদ্ধান্ত নিল এইবার সে ভালো হয়ে যাবে। ভাবনাটাতেই অনেক শান্তি শান্তি লাগতে লাগলো। দিন দশেক আগে পাশের পাড়ার সন্ত'র বাড়ী থেকে হাপিস করে দেয়া বইগুলো'র দিকে তাকিয়ে আপসোস হলো তার - এখনও বিক্রী করা যায়নাই। অন্য তেমন কিছু নাপেয়ে বইগুলোই জেদ করে নিয়ে এসেছিলো। পুরনো বই থেকে লাভ হয়না। ওজন বেশী, সাইজে বড় কিন্তু দাম কম। ব্যাটা সন্ত'র বাড়ীতে এক
আমাদের সেই উমনো ঝুমনো ছেলেবেলায় শীত আসত রাজার মত|
ধান নদী খাল, এই তিনে বরিশাল।
বাংলার 'ভেনিস' এই বরিশালে রিকশা চালান ইউনুস আলী। পঁচিশ বছরের টগবগে যুবক। বিয়ে করেছেন, স্ত্রীর নাম লাইজু বেগম। আর্থিক অনটন ব্যতিত আর কোনো অশান্তি নেই। দুজনে মিলেই এই দৈন্যদায় মেটাতে চেষ্টা করেন। লাইজু বিভিন্ন বাসাবাড়িতে গৃহপরিচারিকার কাজ করেন। দাম্পত্য জীবন সুখের।
[justify] মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ছিলেন এদেশের নির্যাতিত-নিপীড়িত , মেহনতি মানুষের মুক্তির দিশারী। বায়ান্নর আন্দোলনের ভাষা তিনি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছিলেন। ভাষা আন্দোলনের সময় গঠিত সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা কর্মপরিষদ এর সভাপতি ছিলেন। ভাষা আন্দোলনে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখার জন্য তিনি কারাবরণ পর্যন্ত করেছিলেন। ৬৯ এর আন্দোলনেও তিনি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন। স্বাধীন বাংলাদেশের
পৃথিবীর প্রতিটা মানুষের বুকে ভালোবাসার বোকাটে লাল পাতা
হেমন্তের আধখাওয়া রোদ, কিংবা এক একটা ঘূর্ণিপাক
বাস করে। তবু কোথায়ো পুড়ছে সংসার, তারো গভীরে জ্বলছে আগুনদাহ।
যতটুকু প্রাণ পুড়ে হয় অনির্বাণ শিখা, তারো বেশি
বিচিত্র বিন্যাস আমাকে আশ্রয় করেছে। আর, ক্রমাগত
শুদ্ধতার ধোঁয়া আমার আবেগের কন্ঠ ছুঁয়েছে
ভাটার মত পিছিয়ে পড়তে পড়তে জেনেছি- এর নাম গতি।
তীর থেকে, বিশুদ্ধ বালুকার বুক ছেড়ে
এক খানা কৌতুক বলিয়া শুরু করা যাক। পূর্বে শুনিয়া থাকিবেন হয়ত, স্বর্গের দুয়ারে প্রবেশের পূর্বে অনেক প্রকার ঘটনা ঘটিয়া থাকে, সেই রূপ একখানি ঘটনা সংশ্লিষ্ট কৌতুক।
রুমি আর সুবর্ণার সম্পর্কটা ভালো ছিল, বেশ পোক্ত। ওদের দুজনের বন্ধুমহলের কেউই ভাবেনি সম্পর্কের শেষটা এভাবে ঘটবে। কিন্তু কত কিছুই তো আমরা ভাবি না, কিন্তু এমনি এমনি ঘটে। তাই ওদের গল্পটাও মিলনাত্মক হোল না।
ভালো যদি বাসবেই কাউকে
তবে বাসতে কবিতাকে,
জানি, কবিকে জেনেছো অদ্ভুত জীব এক,
জেনেছো মোদোমাতাল, জেনেছো ভাবের হাটের ফকির,
জেনেছো কাছে গ্যালেই ক্যাপ্সটানের গন্ধ,
হয়তো গোসল খাওয়া কোনটাই হয়নি,
অথবা ঘুমিয়েছে আর্ট কলেজের বারান্দায় – এমন,
কিন্তু কবিতা তেমন নয়, কবিতা যেমন জানো
তারো চেয়ে গোছানো অনেক,
তোমার ড্রইংরুমে দামি কথা বলতে পারে
এমন সুশীল, নিমিষেই বলে দিতে পারে তোমার