তুমুল বর্ষণ দিন ফুরিয়েছে বেশ আগে। বিস্রস্ত ভাবনার মতো
এখানে ওখানে ছেঁড়া মেঘ ঝুলে আছে ঈশান নৈঋতে।
চাদরের ওম খোঁজে বৃদ্ধ শরীর পাল ছেঁড়া বাতাসের শীতে।
ফসলের দিন শেষে উদাম হয়েছে ফের ফলবতী জমিনের ক্ষত।
কলার মোচায় জমেছে ক্লান্ত শিশির। বয়েসি পাতার ফাঁকে ফাঁকে
জেগে থাকে একলা ঘুঘু। গাছের পাতারা কাঁপে; শীত কি এলো?
মুঠো মুঠো কুয়াশায় মেখে থাকে বাঁকা চাঁদ আর পৌষের ধুলো।
#
আমাদের বাসার পাশে থাকা উৎকট গন্ধ ছড়ানো ডাস্টবিনটি একদিন চুরি হয়ে গেলে কিংবা বলা যায় গায়েব হয়ে যাওয়াতে আমরা সবাই খুব অবাক হই এবং কিছুক্ষণের মাঝে বুঝতে পারি এই অবাক হয়ে যাওয়াটা আনন্দে পরিণত হচ্ছে। আমি নিশ্চিত করেই বলতে পারে ডাস্টবিনের আশেপাশে থাকা সকল বাড়িতে এক-ই ধরনের আনন্দের হিল্লোল বয়ে যাচ্ছে। প্রাথমিক উচ্ছ্বাস থেমে গেলে আমি গিয়ে জানালাটা খুলে দেই। দীর্ঘদিনের পঙ্গুত্তে জানালাটি নবজাতক শিশুর মতো কেঁদে ওঠে, মেঠোপথে ধুলোর ঝড় ওঠার মতো করে ধুলো উড়ে, আমি চোখ বন্ধ করে ফেলি।
নতুন যে কোনো সদ্যজাত (start-up) কোম্পানিই শুরু হয় কিছু “অসাধারণ” আইডিয়া থেকে। আনিসের কথা মনে আছে আপনাদের? ঐ যে হুমায়ূন আহমদের 'বহুব্রীহি' নাটকের জনপ্রিয় চরিত্র (আসাদুজ্জামান নূর অভিনীত) যে কিনা 'উপদেশকেন্দ্র' নামে একটি কোম্পানি দিয়েছিলো। টাকার বিনিময়ে সে সমস্যাগ্রস্ত মানুষকে বুদ্ধি বাতলে দিতো।
পুরাণকথা, পর্ব-৬ (ভারতকথাও বটে)
প্রাচীনকালে সমাজ ব্যবস্থায় বিভিন্ন প্রকার সন্তানোৎপাদন প্রথা প্রচলিত থাকার কারনে অদ্ভুত ধরনের সব সম্পর্কের দেখা পাওয়া যায়। যেমন, পিতা এবং মাতা উভয়ই পৃথক পৃথক হওয়া স্বত্বেও ভীষ্ম ও বেদব্যাস পরস্পর ভাই।
সালেক খোকন
‘ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলসের দিনাজপুর সেক্টরের হেডকোয়ার্টার্স ছিল দিনাজপুর শহরের দক্ষিণে কুটিবাড়িতে। সেখানকার বাঙালি ইপিআর সদস্যরা আশপাশের গ্রামের মানুষদের সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ গড়ে তোলে। ফলে আমরা জানতাম কুটিবাড়ির ভেতরে কী ঘটছে। কথা ছিল গুলির শব্দ পেলেই কুটিবাড়িতে হানা দিতে হবে।
ক্রুসেড যুগে ইংল্যাণ্ডের রাজা রিচার্ড বলেছিলেন,
একজন রাজা কখোনো ভূল করেনা, কারো কাছ থেকে প্রতিদান প্রত্যাশা করেনা, এবং কারোর দয়া ভিক্ষা করেনা।
[justify]আজকের গল্প রাজা রিচার্ডকে নিয়ে নয়, অন্য কাউকে নিয়ে। ধরে নেই তার নাম খবির মিয়া। বয়স হবে সত্তুরের কিছু কম বা কিছু বেশি। পেশায় রিক্সাচালক।
১.
মা কইল, তারা শুধু ছেলের লেখাপড়া টা চায় আর কিছু না।
আমি কইলাম, পড়াশুনা বিক্রি করিনা।
মা কইল, পড়াশুনা কি নিজের জন্য?
আমি কইলাম, না। পরকে বিলাইয়া দেওয়ার জন্য, নিজের পড়শুনা জাহির কইরা বিক্রির জন্য না। অন্ধজনে দেহ আলো। Let there be light.
মা কইল, ওরাও তো পর।
আমি কইলাম, তাইলে আপন হইতে চায় কেন?
শোনো ছেলের কথা। তাই বলে কি বিয়ে করবি না?
আমার দেশ স্বাধীন। আমি স্বাধীন। এবং আমার দেশের স্বাধীনতা। আমার আজ আর অহংকার হয়না। আমি আমার দেশকে কেন মন থেকে ভালবাসতে পারছিনা। কেন আজ বারবার বাক্যহারা হয়ে যাচ্ছি। কোনটা আমার স্বাধীন দেশ? যে দেশ তিনটি টুকরোতে খণ্ডিত হয়ে গড়েছে তাদের সোপান – সেই কোন দেশ?