[justify]কদিন হল বাড়ি খুঁজে খুঁজে হয়রান হচ্ছি। কারণ আমার ডোরপোক বাড়িওয়ালা আমাকে একমাসের নোটিসে বাসা ছেড়ে দিতে বলেছে। শুনেই আমার যথারীতি মাথা আউলা। ঈদের তিনদিন বন্ধে মোটামুটি জনা পঞ্চাশ এজেন্টকে ফোন করে করে একবেডের বাসা পেলাম অবশেষে। তো এই শনিবারে বাড়িওয়ালা এসেছে আমার সাথে কথা বলতে, এমন হঠাত করে বাসা ছেড়ে দিতে বলায় সে বেজায় দুঃখিত সেটা জানাতে। এই কথায় সেই কথায় হুট করে জিজ্ঞেস করছে আম
মুদ্রণপ্রমাদ জীবন পাণ্ডুলিপির স্বত্ত্ব গ্রহণ করছো সহাস্যে
ফড়িঙের জীবন, অমরত্ব ভেবে নেচে যাচ্ছো তা থৈ থৈ
তৈরি করে যাচ্ছো নতুন নতুন চিত্রলিপি!
আমি তার বুঝি না কিছুই
না বুঝেই হাওয়ার শরীরে নির্জনে চুমু ভাসিয়ে দেই!
হলুদ পাতার দল উড়ে গেছে কোন সে কালে
জীবন বিভ্রাটে কেটেছে কতো না শতাব্দী,
আজ যা দেখি সব ধূসর,
স্বপ্নের মিছিলে ক্লান্তির জলস্রোত
স্মৃতি দর্শনে হারিয়ে যায় গোধূলি পাঠ্য বিস্তার
আপনারা হয়তো লক্ষ্য করে থাকবেন চেকবইয়ের হিসাব-নিকাশ আর স্মৃতিচারণ দুটো একসাথে করা খুবই কঠিন। মস্তিষ্কের দুর্গম এবং দুর্বোধ্য একটি অঞ্চল থেকে পর্যাপ্ত সিগন্যাল সংগ্রহের পর এই সংঘাতের কারণ খুঁজে পেয়েছেন স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ মেডিসিনের কয়েকজন গবেষক।
যে পেয়েছে শৈশবে সুকুমার রায়কে
তার মজা আজীবন, তাকে আর পায় কে!
লাল মলাটের বই মাঝে অই ম্যাঁও-টা
বেড়ালটা কতো প্রিয়! আমি তার ন্যাওটা!
দুপুর দুটো বেজে এক মিনিট। শুনছেন বিজ্ঞাপন তরঙ্গ।
আজকে আমার মনের মাঝে
ধাঁই ধপাধপ্ তবলা বাজে
আলোয় ঢাকা অন্ধকার
ঘণ্টা বাজে গন্ধে তার
আজকে দাদা যাবার আগে
বলবো যা মোর চিত্তে লাগে
নাই-বা তাহার অর্থ হোক
নাই-বা বুঝুক বেবাক্ লোক
সপ্তম পর্ব:
নিদারুণ শীত এবছর! দমকা ঝড়ো হাওয়ার পর প্রথমে বরফ-বৃষ্টি ও তারপর তুষারপাত। এরপর শুধুই কঠিন বরফ, যা ফেব্রুয়ারি অবধি জমাট বেঁধে থাকে। বাতাসকল পুনর্নির্মাণের কাজে সর্বশক্তিতে খাটে পশুরা। তাদের দিকে যে নজর সবার, সেটি অজানা নয় তাদের। নির্মম সত্য এই যে, তাদের যে কোনো ব্যর্থতায় জয়ের উল্লাসে ফেটে পড়বে হিংসুটে মানুষ।
প্রথম দুইদিন ভয়ে চুলাই জ্বালাইনি | দুধ, সিরিয়াল, পাওরুটি আর ফলমূল খেয়েছিলাম | সাথে আসিফ চিকেন নাগেটস ভেজেছিল | তৃতীয় দিনেই আমাদের বাঙালি মন ভাতের চাহিদা জানান দিল | আমার তখনো সময় ব্যবধানের সাথে ঘুমের সামঞ্জস্য হয়নি | বাংলাদেশের সকালের সময়ে (আমেরিকার রাতে) ঘুম থেকে উঠে দেখি আসিফ ভাত, বেগুন ভাজা আর ডিম অমলেট তৈরী করে খেতে ডাকছে | চোখে পানি চলে আসল, যাক ! ও কথা রেখেছে | পেট ভরে ভাত খেয়ে ভাবলাম আগামীকাল আমিও রান্নায় যোগ দিব | পরের দিনের দুজনে একসাথে চিংড়ি রান্না করলাম | লবণ বেশি হয়ে গেল, বাসায় বেল পেপারস (ক্যাপসিকাম) ছিল, মিলিয়ে দিলাম তাতেও কাজ হলো না | বেশিক্ষণ ধরে রান্না করার কারণে চিংড়ি কেমন যেন শক্ত হয়ে গেল | নিজের প্রথম রান্না করা খাবার খেতে আমি ব্যর্থ হলাম | পরে চিংড়ির প্যাকেট এ লেখা দেখেছিলাম এগুলো লবণ দিয়ে সিদ্ধ করাই ছিল | ইশ ! আগে যদি জানতাম !
এই ক্বীন ব্রীজ দিয়ে হাঁটতে গেলে একটা মজার ব্যাপার চোখে পড়বেই; ধনুকের মত বাঁকা ব্রীজকির উপর দিয়ে রিক্সা জাতীয় কিছু পার হতে গেলে চারপাশ থেকে কয়েকটা ছেলে ছোকরা কিংবা বয়স্ক লোক এসে রিক্সার কাছে এসে ভীড় জমাবেই, আর চেঁচিয়ে উঠবেঃ
"ঠ্যালা লাগবে, ঠ্যালা?"
নাহ! আমাদের আগেও কখনো ঠ্যালা লাগে নি, আজও লাগবে না। কারণ, বরাবরের মত আজকেও আমরা বেশ কয়েকজন হেঁটে এ মাথা থেকে ও মাথা পর্যন্ত পাড়ি দিচ্ছি।