~উপক্রমণিকা~
- “হ্যালো, রিমি পালের সাথে কথা বলা যাবে?”
- “হ্যাঁ, বলছি, আপনি কে বলছেন?”
রাগের মাথায় অথবা অবজ্ঞা অবহেলা করে অতি তুচ্ছ কারণেই মা'কে আঁতে ঘা দিয়ে কথা বলি, মনের ঝাল মিটিয়ে শান্তি পাই মনে; মা শুধু নির্বাক হয়ে তাকিয়ে থাকে, কিংবা বড়জোর মা অভিমান করে একদিন খাবার টেবিলে কথা না বলে চুপচাপ শুধু খাবার দিয়ে যায়;- মায়ের ঐসব ছেলেমানুষি আবেগে ভারাক্রান্ত হয়ে মান ভাঙাগড়ার সময় আছে? আগামি কালকের ইন্টার-কলেজ ফাইনালে কাপটা আমাদের হাতছাড়া হয়ে যায় কিনা- এই চিন্তায় বাঁচি না!
[justify][left]আমি বা। বয়স একুশ। দিনকাল ভালোই যাচ্ছিল। মাসে মাসে বাপের পাঠানো টাকা, হলের খাবার আর অল্প-স্বল্প পড়াশুনা আমার অবস্থা এক কথায় বোঝানোর জন্য যথেষ্ট ছিল।
এক পুরাতন ঘুমের জাদু, মঞ্চ জুড়ে তুমুল কলরব,
প্রেক্ষাপটে রঙগুলো সব চর্চিত সরব
আর জাদুকরের ইন্দ্রজালে ফাঁকি...
আমার ক্ষেত্রফলের সরাইখানায় বাকি,
তালপুকুরের আয়না গেছে চুরি;
সনাতন শারদা-সুন্দরী
হারিয়ে ফেলেছে প্রবারণা পূর্ণিমা যতো...
তুমি, আমি, আমাদের চেতনায় আহুত
বাতাসের চাইতেও ছুঁয়ে যাওয়া আরও কোন বোধেরাও লুপ্তপ্রায় --
ক্ষয়ে গেছে তাম্রলিপি, সমপ্রাণ বোধ, বিলুপ্ত বিহার...
All that is necessary for the triumph of evil is that good men do nothing.
-Edmund Burke
মানুষের নৃশংসতার নগ্ন একটি উদাহরণ হল নানকিং-এর গণহত্যা।
দুপুর বড় একলা। চারদিকে যখন সকাল, বিকাল, সন্ধ্যা আর রাতের জয়জয়কার দুপুর তখন সৎ ভাইয়ের মত একলা দাডিয়ে। স্নিগ্দ্ধ সকাল, শেষ বিকেলের আলো, সন্ধ্যার আবছায়া আর রাতের রহস্য এইসব চমৎকার উপমা যখন বরাদ্দ বাকীদের জন্য দুপুরের ঝুলি তখন শূণ্য খাঁ খাঁ। লেখকেরা তখন ভয় দেখায় রৌদ্রদগ্দ্ধ তপ্ত, ক্লান্ত দুপুরের। তবুও কেন জানি এই দুপুর কে বেশ লাগে আমার। টুপ করে শেষ হয়ে যাওয়া শীতের দুপুর নয় বরং গ্রীষ্মের রৌদ্রদগ্দ্ধ, তপ্ত, অলস ঘড়ির কাটার ক্লান্ত দুপুর।
১
[justify]চকিতে ভিড়ের ভেতর দৃষ্টি গিয়ে পড়লে নজু দেখতে পায় এক হাতে পায়ের ঝোলানো স্যান্ডেল অন্য হাতে ছোট্ট হাত ব্যাগটি দিয়ে উড়ে যাওয়া অথবা হাওয়ার বিক্রমে স্থানচ্যুত হওয়ার আশংকায় চেপে ধরা কমলা রঙের ওড়নার মাঝামাঝি।
সচলে মাঝে মধ্যে পাঠক শুধায় ভাই আপনের নাম সত্যপীর ক্যান? সত্যপীর মানে কি?
বাইরের দুনিয়াটাকে দরজার বাইরেই আটকে রাখা খুব কঠিন একটা কাজ। বিশেষ করে আজকালকার এই ইন্টারনেট, অনলাইন মিডিয়া, সামাজিক নেটওয়ার্কিং এর যুগে। আপনি না চাইলেও নাছোড়বান্দা দুনিয়াটা ঠিকই আপনার দরজায় ধাক্কাধাক্কি শুরু করবে। এড়িয়ে যেতে চাইলেও পারবেন না। দরজাটা একটু ফাঁক করামাত্রই প্রথমে মাথা, তারপরে গলা, তারপরে কাঁধ গলিয়ে আপনাকে বলতে গেলে ধাক্কা দিয়েই ঘরে ঢুকে পড়বে। তারপরে কোনকিছুর তোয়াক্কা না করেই আপনার প