বাবুর লোদীর লড়াই। ইয়া ঢিশুমা!
সম্পূর্ণ রঙ্গীন সামাজিক অ্যাকশনধর্মী ভিডিও ব্লগ। ঢাকাসহ সারাদেশে শুভমুক্তি।
তার পোলা যদি তার পোলার মায়ায় আটকাইয়া যায় তবে সবকিছু ভেসে যাবে তার। তাই ভীমেরে সংসারছাড়া কইরা কুন্তী পলায়। কই যাইব কোথায় যাইব কিছু ভাবে নাই; বিদুরের লগেও যোগাযোগ বন্ধ বহুদিন... কিন্তু কোনো একজন মানুষের পরামর্শ এখন দরকার তার। আর এই জঙ্গলে কৃষ্ণ দ্বৈপায়ন ছাড়া কোনো বান্ধব নাই কুন্তীর...
বন বদলাইয়া কুন্তী গিয়া হাজির হয় শ্বশুর দ্বৈপায়নরে ডেরায়- পিতা। বড়োবেশি বেচইন আছি সবকিছু নিয়া...
প্রিয় বন্ধু রতিকান্ত,
আমাদের অভিযান আপাততঃ সফল। কোনো সমস্যা ছাড়াই গন্তব্যস্থল অবধি পৌঁছাতে পেরেছি। সময়যানটি চলার কয়েক মিনিটের মাঝেই ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। জেগে ওঠে মাথায় সামান্য যন্ত্রণা অনুভব করলেও তা সহ্যের ভেতরেই আছে। কোথাও বসে বড়ো চিঠি লেখার সুযোগ নেই, তাই সামনের চিঠিতে বিস্তারিত জানাতে পারব বলে আশা রাখি।
ইতি
তোমার বন্ধু রামকুমার
------------------------
১.
১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১২ তারিখে হণ্ডুরাসের রাজধানী তেগুসিগালপা থেকে কিছু দূরে কোমায়াগুয়া শহরের কারাগারে আগুন [১] লাগে। পেনিতেনসিয়ারিয়া নাসিওনাল দে কোমায়াগুয়ার সাড়ে আটশো কয়েদীর মাঝে একজন রাজ্যপালকে ফোন করে চিৎকার করে বলে, এই কারাগার সে আগুন লাগিয়ে ধ্বংস করে দেবে।
কেউ কেউ পরে অনুমান করেছে, তার বান্ধবী তাকে ছেড়ে গিয়েছিলো তার আগের দিন, ১৪ তারিখ, ভালোবাসা দিবসে।
দেশ থেকে ফেরত আসার একদিন পরেই মাঝরাতে বরের সাথে ঝগড়া হয়ে গেলো। ভুক্তভোগী মাত্রই জিজ্ঞাসা করবেন না কেন। ১৮-১৯ দিন বাবা-মা আত্নীয়স্বজনের সামনে আদর্শ দম্পতির মূর্ত প্রতীক হিসেবে অভিনয় করার পর এইটা অপ্রতিরোধ্য কন্সিকোয়েন্স। এতো দীর্ঘ সময় ঝগড়া না করে থাকা দাম্পত্যজীবনের জন্য খুবই অস্বাস্থ্যকর। আসল প্রশ্ন হল মাঝরাতে কেন?
শ্বেতশুভ্র চুল-দাড়ির বর্ষীয়ান মানুষটি তাকিয়ে আছেন জানালার বাইরে। হালকা শীতের সকালে সামনের গাছটায় ছোট্ট দুটো চড়ুই পাখির ঝগড়া। ঠান্ডা বাতাসে একটু একটু করে কাঁপে গাছের শুকনো পাতা। রাস্তা দিয়ে রোজকার মতো আজকেও ব্যতিব্যস্ত মানুষের দল ছুটে চলে অনির্দিষ্ট পথে। এসব কিছুই তাঁর ধ্যানভঙ্গ করতে পারেনা আজকে। আকাশের দিকে তাকিয়ে তিনি শুধু ভাবেন, ভেবে চলেন, মাথার ভেতরে অজস্র স্মৃতিরা যুদ্ধ করে, ফিরে ফিরে আসে। নিজের অজান্তেই একটা হালকা দীর্ঘশ্বাস মিশে যায় যান্ত্রিক জীবনের কোলাহলমুখরতায়।
[justify]
আমি গল্প লিখছিনা দুবছরের অধিক কাল। শেষ গল্প বোধ হয় লিখেছিলাম যে বছর দেশে ফিরে আসি সে বছরের শেষের দিকে, বিদেশ বিভুঁয়ে বসে- দেশের গল্পই। দেশে ফিরে আর দেশের গল্প হয়নি, বিদেশের ও না।
তবে দেশে ফিরে ঘুরাঘুরি হয়েছে বেশ। আমি যে শহরে থাকি তাকে উত্তর পূর্ব থেকে উত্তর পশ্চিম দিকে ঘিরে রেখেছে বেশ দীর্ঘ এক পাহাড় শ্রেনী। একেবারে উত্তর-পুর্বে শুরু জৈন্তিয়া পাহাড়, এটি এসে মিশেছে পূর্ব খাসিয়া পাহাড়, পূর্ব এসে মিশেছে পশ্চিম পাহাড়ে, সেই পশ্চিম শেষ হতে হতে গারো পাহাড়ের শুরু। বিচ্ছিন্নভাবে পশ্চিম খাসিয়া পাহাড়ের নীচ থেকে গারো পাহাড়ের দিকে ঘুরেছি কিন্তু অবিচ্ছিন্নভাবে জৈন্তিয়া পাহাড়ের নীচ থেকে পাশ্চিম খাসিয়া পাহাড়ের শুরু পর্যন্ত পুরোটাই ঘুরা হয়েছে পায়ে হেঁটে।